সুন্দরবন ভ্রমণ(চতুর্থ পর্ব)।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মংলা পোর্ট এর উদ্দেশ্যে বাস চলছে। বাসের মধ্যে গান বাজছে। কিন্তু আমি জানালা দিয়ে বাইরে টা দেখছি। নতুন জায়গা নতুন পরিবেশ। যা দেখছি তাই নতুন লাগছে। কিছুদূর যেতেই চোখে পড়লো বিশাল মাঠ। এবং পুরো মাঠ জুড়ে মাছের ঘের। মাছের ছোট ছোট ঘের তৈরি করে চিংড়ি জাতীয় মাছ চাষ করা হয়।এই ঘের পদ্ধতিতে মাছ চাষ এদিকেই দেখা যায়। এবং এরপর চোখে পড়লো কিছু বাড়িঘর। এখানকার বাড়িঘর একটু অন্যরকম। কারণ প্রতিবছর ঝড়ে সব ভেঙে যায় আবার নতুন করে করতে হয়। আর সমুদ্র তীরবর্তী স্থান সেজন্য ঝড়ের প্রকট এবং ক্ষতির পরিমাণও বেশি হয়। এভাবে যেতে যেতে আমরা ১০ টার কিছুটা আগে পৌঁছে যায় মংলা পোর্ট আমাদের পিকনিক স্পটে।
আমাদের মতো আরও অসংখ্য মানুষ এসেছে ঘুরতে। বাসটা পার্ক করা হলে আমরা বাস থেকে নামলাম মোটামুটি রান্নার জায়গা ঠিক হয়ে গেল। স্যার বলল তোমরা এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করো সকালের নাস্তা তৈরি হলে খেয়ে আমরা সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে যাব। সেই মতো আমরা এদিক সেদিক ঘুরতে থাকি। অসংখ্য লোক ছিল। এবং দিনটা শুক্রবার হওয়াই পর্যটক সংখ্যা একটু বেশি ছিল। ঘুরতে ঘুরতে আমরা গেলাম নদীর পাড়ে। নদী বলতে এটা হলো পশুর নদী। এই পশুর নদী ধরে যত এগিয়ে যাবেন ততই যেন সমুদ্রের দিকে যাবেন।
যাইহোক আমরা মংলা পোর্টে ঘুরে বিভিন্ন জাহাজ,দেখলাম ট্রলার দেখলাম বেশ দারুণ লাগছিল। হঠাৎ আমার বন্ধু শিশিরের ফোন। বলল সকালের নাস্তা রেডি সবাইকে নিয়ে চলে আয়। প্রায় ঘন্টাখানেকের বেশি লেগেছিল সকালের নাস্তা তৈরি করতে। সকালেরা নাস্তায় ছিল সবজি দিয়ে ভোনা খিচুড়ি এবং শসা টমেটোর সালাত। যাকে বলে একেবারে জমে ক্ষীর হি হি। সত্যি বলতে সকালের নাস্তা করি আমরা ১১:৩০ টা এর সময়। আর পিকনিকে গেলে খাওয়া টা যে সময় মতো হবে না এটা নিশ্চিত থাকুন। খিচুড়ি টা অসাধারণ স্বাদের হয়েছিল।যাইহোক উদর পূর্ণ করলাম। এরপর কিছুটা হাটাহাটি করলাম। স্যার আমাদের উদ্দেশ্যে বলল খুব দ্রুতই আমরা সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে যাব সবাই আশেপাশে থাক। এবং সবাই নিজের প্রয়োজনীয় কিছু থাকলে নিয়ে নাও আমরা সুন্দরবন গেলে ফিরব চারটার সময়। চলে গেলাম বাসের মধ্যে। ব্যাগের মধ্যে পানির বোতল আরও কিছু জরুরি জিনিস নিয়ে বাকিটা বাসে রেখে চলে গেলাম। সবাই একএিত হলাম পশুর নদীর পাড়ে। এখান থেকে ট্রলার ছাড়ে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। ট্রলার ভাড়া করবে স্যার। এখানেও আমাদের খরচ নেই।
যাইহোক আমরা মোট ছিলাম ১০০ জনের উপর। এতজন তো এক ট্রলারে যাওয়া সম্ভব না। তাই স্যার রা দুইটা ট্রলার ঠিক করলেন। কিন্তু দুই ট্রলারে টাকা বেশি চাইতেছিল। কিন্তু স্যার রা নিজেদের জায়গাই অটুট। বেশি টাকা দেবে না। অন্যদিকে জোয়ার চলে দ্রুত যেতে হবে ভাটা পড়ে গেলে সমস্যা হবে। যাইহোক শেষ পর্যায়ে ট্রলার মালিক এবং স্যারদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে যায়। এই ট্রলারেই যাব এবং ফিরে আসব আমরা। আমাদের মধ্যে কিন্তু অসংখ্য পোলাপান সাঁতার জানতো না। ওরা বেশ ভয় পাচ্ছিল এটা দেখে আমি বেশ মজা নিচ্চিলাম। যাইহোক দুই ভাগে ভাগ হয়ে ট্রলারে উঠে পড়লাম। ট্রলার যাএা শুরু করলো ঠিক ১২:১৫ ঐর সময়।যতই যাচ্ছি ততই যেন পশুর নদীর প্রশস্তটা বাড়ছে। মনে হচ্ছে আমরা ক্রমেই সমুদ্রের দিকে আগ্রসর হচ্ছি। এভাবে চলতে চলতে অনেকক্ষণ সময় গেল। এরপর প্রথম চোখে পড়লো সুন্দরবনের কিছু অংশ। আহা সত্যি প্রথম দর্শন টার অনূভুতি টা আলাদা ছিল।। ঠিক ৪৫ মিনিট ট্রলারে যাএা করার পর আমরা সুন্দরবন গেলাম।।।
চলবে....
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।




.png)


প্রাকৃতিক সোন্দর্য উপভোগ করার জন্য আমাদের যত ভ্রমন , সুন্দর এর মহীমা প্রকাশ পায় প্রাকৃতিক বন এবং সমুদ্র এর মাধ্যমে
ঠিক বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।।
ভাইয়া আপনার সুন্দরবম ভ্রমণ(চতুর্থ পর্ব) পড়ে বেশ ভালোই লাগল।সত্যি মংলা পোর্টে ঘুরে বিভিন্ন জাহাজ, ট্রলার বেশ লাগছিল মনে হচ্ছে । পশুর নদীর তীরে হেঁটে সমুদ্রের দিকে এগিয়ে যাওয়া দারুণ। আপনার পোস্ট পরে আমার ও যেতে ইচ্ছে করছে হাহাহা । সকালের নাস্তায় খিচুড়ি সে তে অসাধারণ। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
চলে যান আপু অনেক সুন্দর জায়গা ধন্যবাদ
আপনাকে।।
Thanks to visited my post...
দারুন সুন্দরবন ঘুরার অনুভূতি গুলো পড়ে ভাই খুব ভালো লাগছে। আপনি সুন্দরবন ঘুরে আপনার অনুভূতিগুলো পোস্ট আকারে শেয়ার করছেন, আর আমি আপনার পোস্টটি পড়ে নিজেকে সুন্দরবন ঘুরে দেখার অনুভূতিটা মজা নিচ্ছি, ভালই লাগছে সব মিলিয়ে। এখনো সুন্দরবন যাওয়া হয়নি তবে আমার প্রচুর ইচ্ছা। হয়তোবা এমনও হতে পারে পুরো পরিবার নিয়ে একদিন হাজির হয়ে যেতে পারি, ঘুরে আসতে পারি আমাদের বিখ্যাত সুন্দরবন। আপনার পোস্টটি পড়ে কিভাবে কোথায় যেতে হবে সে সাথে আমার জানাও হয়ে যাচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।।
১০০ জন লোকের মত মিলে আপনার সুন্দরবন যাচ্ছেন শুনে অবাক হলাম। তবে এমন বন্ধু-বান্ধব নিয়ে স্যারদের সাথে গেলে মজাই লাগে। আপনারা সুন্দরবন দিয়ে আশা করি খুব মজা করেছেন। খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন । নদীর ফটোগ্রাফি টা দেখে আমার খুব যেতে ইচ্ছে করছে। যদিও এমন নদী সাগর আমার খুব ভয় লাগে।
ধন্যবাদ আপু।।
যাক অবশেষে সুন্দরবন পৌঁছে গেলে।
মংলার এই জায়গাটা অনেক মানুষের সমাগম হয় শুনেছি। যাক ট্রলার নিয়ে বাকবিতন্ড দারুন ছিল, ভাগ্যিস স্যাররা মিটিয়ে নিয়েছেন ভাড়া। তবে ট্রলারে উঠতে আমারও ভয় লাগে।
দেখা যাক পরের পর্বে সুন্দরবনে কি ঘটে 🤗
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।।
ওরে ভাই আপনি এত দূরে থেকে সুন্দরবন দেখে আসলেন,, আর আমি সুন্দরবনের পাশে ছয় মাস চাকরি করেও বনের ভিতর ঘুরে আসতে পারলাম না ☹️। একেই বলে কপাল 😅। ভালো যে দুইটা ট্রলার ভাড়া করে ভেতরে ঢুকেছিল সবাই। রিস্ক টা কম হয়েছিল। আমার তো আবার নদী আর জল দেখলেই ভয় করে 😉।
কথাটা শুনে আমারই খারাপ লাগছে মিস করে গেছেন আপনি দাদা।।
সুন্দরবন ভ্রমণের অনেক সুন্দর সুন্দর কথা লিখেছেন আপনি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য সুন্দরবন আমাদের বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান একটি পিকনিক স্পট। পশুর নদীতে বয়ে সুন্দরবনে যাওয়ার সময় সুন্দরবনের কিছু অংশ চোখে পড়তে নিশ্চয়ই আপনার মনে সুন্দরের হাওয়া লেগেছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।।
ভাইয়া সুন্দরবন ভ্রমন করেছেন শুনে ভাল লাগলো। আমিও সুন্দরবন দেখেছি,অনেক সুন্দর জায়গা। আমরা অবশ্য অল্প কিছু মানুষ গিয়েছি এক ট্রলারে,আপনারা দুই ট্রলারে গিয়েছেন। ভাই যারা সাতাঁর পারে না তাদের দেখে আপনার হাসাটা কি ঠিক হলো। যারা সাতারে পারে না তারা জানে পানি কি জিনিষ হা হা হ ধন্যবাদ।
আপনার কথাটা ঠিক আছে ভাই যারা সাতার পারে না তারা জানে পানিটা কী জিনিস হি হি।।