মানুষ কী বলবে?
আশা করছি সবাই ভালো থাকার চেষ্টা করছেন। সে চেষ্টাটা কতদিন অব্যাহত রাখতে হবে জানা নেই। হয়তো মৃত্যুর আগ অবধি। মানুষের ভালো থাকা সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়। মানুষের ধর্ম হলো যত পায় তত চাই। চাওয়ার কোনো শেষ নেই আসলে। তবে চাহিদা থেকে যখন চাওয়াটা বেশি হয়ে যায় তখনই সমস্যাটা তৈরি হয়। তো সে বিষয় নিয়ে আজকে বলবো না। আসলে একজন মানুষের অনেকটা জীবন কেটে যায় মানুষ কি বলবে শুনতে শুনতে! সেই শৈশব থেকে বড় হওয়া অবধি। কতো রকমের কথা শুনতে হয় মানুষকে। আপনি কেন এ কাজ করলেন? এভাবে কেন করলেন না? আর এসবই যেন শুনতে হয়। তবে এসব কোয়েশ্চনই আমাদের মাঝে তৈরি করে ভয় ভীতি।
মানুষ একটা কাজ শুরু করতে গেলে আশেপাশ থেকে নানা রকমের মন্তব্য আসে। আর আপনি সে কথাগুলো শুনে মনে করেন আপনার কাজটি মনে হয় হবে না। তার আগেই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যখন সে কাজটি নিজের ইচ্ছায় করে যাবেন তখন দেখবেন আপনি অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারবেন। আসলে মানুষ মূলত এতো কিছু মনে রাখে না। আপনার সামনে আপনাকে মন্তব্য করলেও সারাদিন কিন্তু আপনাকে নিয়ে ভাবার তার সময় নেই! তবে আমাদের মাঝে সংকোচ তৈরি হয় তারা সবসময় হয়তো আপনাকে নিয়ে গবেষনা করছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন দুনিয়াতে কাউকে নিয়ে সারাদিন সময় নেই ভাবার। আমাদের মন আমাদেরকে মনে করায় যে তারা হয়তো ভাবছে আমাদের নিয়ে।
আসলে আমি নিজেও আগে সংকোচে থাকতাম ভীষণ। মানুষ কি বলবে এ ভয়ে কতো কিছু করিনাই। বিশ্ববিদ্যালয় আসলে শেখায় না কোনো কাজ ই ছোট। সবকাজের গুুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। আপনি জমিতে কাজ করেন, চা বিক্রি করেন, ব্যবসা করেন সব কাজই সমান। এখন আপনি ভাবতে পারেন আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র হয়ে ব্যবসা করবো? এটা কেমন দেখায়? মানুষ কী বলবে? মানুষ আসলেই কিছু মনে করবে না। আপনি ভাবতেছেন মানুষ কিছু মনে করবে। কিন্তু কিছুই মনে করবে না! আমাদের আসলে সেটাই করা উচিত যেটা আমাদের ভালো লাগে। জাপানে অলরেডি সেটার দিকেই ফোকাস করেছে। এমন একটা সিস্টেম তৈরি করেছে যেখানে যে মানুষ যে কাজে পারদর্শী অথবা যে কাজটি ভালো লাগে সেটাই করতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে!
আপনাদের সাথে একটা ঘটনা শেয়ার করি। আসলে আমার এক আত্মীয়ের মেয়েকে ছোটবেলা থেকেই এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিজ শেখাতে উদ্বুদ্ধ করছে। কিন্তু কয়েকজন সেটা নিয়ে নানা রকম নেগেটিভ কথা বলছে! কেন মেয়ে হয়ে এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিজ শিখবে? কিন্তু আমার সে আত্মীয় মানুষদের কথায় পাত্তা না দিয়ে নিজের মেয়েকে সে কাজগুলোই করাচ্ছে। বিষয়টা আমার সাথেও শেয়ার করেছিল। আমিও তাকে বললাম এটা করানোই ভালো হবে। কারণ এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিজ যেমন নাচ, গান দরকার আছে। কথা হলো নীতি নৈতিকতা চর্চা করতে পারলেই হলো। আসলে আমাদের জীবনের বেশিরভাগ সময় নষ্ট করি এমানুষ কি বলবে সেটা শুনে। আমাদের তাই করা উচিত যেটা আমাদের ভালো লাগে। তবে আপনার ফোন ইউজ করতে ভালো লাগে বলে আবার সেটা করতে যাবেন না! যে কাজগুলো আপনাকে ডেভেলপ করবে সে কাজগুলোই করুন।
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।



