যশোরে ঘুরতে যাওয়ার তৃতীয় পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আমার প্রিয় সহযাত্রী ভাই বোনেরা? আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আশা করি সবার দিনটা ভাল কেটেছে। আজকে আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি একটি ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে আপনাদের সবার মাঝে হাজির হয়েছি। অনেক অনেক ভ্রমণ পোস্ট মোবাইলে জমা হয়ে আছে। সেগুলো সময় করে লিখতে পাচ্ছি না। তাই আজ ভাবলাম এবছর ফেব্রুয়ারিতে যশোরে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে আপনাদের মাঝে অনেকগুলো পর্ব ভ্রমণ পোস্ট শেয়ার করব। এবার ফেব্রুয়ারিতে যশোরে এতটা সময় কাটিয়েছি আর এত আনন্দ করেছি যা অনেক অনেক পর্ব লেখলেও শেষ হবে না। তারপরও আমি চেষ্টা করব আমার এই যশোরের ভ্রমণ পোস্টগুলো শর্টকাটে কয়েক পর্বের মাঝে শেষ করে দাওয়ার জন্য।
আমি জানিনা পারবো কিনা? তবে চেষ্টা করব আশা করি আপনাদের সবার কাছে আমার যশোরে ঘুরতে যাওয়ার আজকের তৃতীয় পর্বটিও অনেক ভালো লাগবে। তাহলে চলুন আজও আমার ভ্রমণ পোস্টর তৃতীয় পর্ব দেখে আসি কেমন হয়েছে। গত পর্বে আপনারা দেখেছেন আমরা খালাতো বোনের বাসায় গিয়ে পৌঁছেছি। এখানে আমার দ্বিতীয় পর্বটি শেষ করেছিলাম। আজ হচ্ছে এর তৃতীয় পর্ব।

এরপর খালাতো বোনের বাসার কাছে যখন গিয়েছিলাম তখনও কিন্তু সকালের শীতের হালকা কুয়াশা ঘেরা অন্ধকার কাটেনি। কিন্তু গ্রামের মানুষ অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। এরপর আমরা যখন দরজার কাছে গিয়ে আপু আপু। বলে ডাকলাম । আমরা সব সময় যশোর গেলে প্রথমে খালাতো বোনের বাসায় গিয়ে উঠি কারণ আমাদের খালাদের বাড়ি আর একটু যশোরের ভেতরের দিকে তাই আমরা প্রথমে যশোরে শহরের দিকে খালাতো বোনের বাসায় গিয়ে উঠি। এরপর আপুরা বলে ডাক দিলাম কারণ আমার খালাতো বোন দুইজন একসাথে থাকে।


আর তখন সবাই তো অনেক অবাক একদম হতবাক হয়ে গেছিল আমাদেরকে দেখে আর সাথে সাথে দেখলাম খালা বেরিয়ে এসেছে খালা আপার বাসায় এসেছে আর আমাদের জড়িয়ে ধরে খালা কেঁদে দিয়েছে। অবশ্য এই ছবিগুলো নেয়া হয়নি কারন আমার খালারা ররিবারের সবাই ইসলামিক তাই তারা কোন রকমের ছবি তোলা পছন্দ করে না। এটা আমরা আগের থেকেই জানি। তাই কোন রকম ছবি তোলার চেষ্টা করিনি। সব সময় যশোর কালে বাইরের প্রকৃতির ছবিগুলো তোলা হয়। যাইহোক আমরা প্রতিটা খালার বাসায় যে সময় গুলো কাটিয়েছি তার প্রতিটা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করব।



এরপর সবাই তো আমাদের দেখে অবাক ছোট বড় সবাই অনেক খুশি আমাদের জড়িয়ে ধরে সে কি কান্না আর ছোটগুলো মানে খালাতো বোনের ছেলেমেয়ের আমাদের দেখলেই আর আমাদের পিছু ছাড়তে চায় না। আপুর বাসায় গেলে ছোটদের এই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখে আর আসতে ইচ্ছে করে না। শুধু ছোটরা না বড়রাও কিন্তু অনেক স্নেহ আদর ও ভালোবাসায় জড়িয়ে রাখে আমাদের। আর সেই বন্ধন গুলোর এক একটা স্মৃতি কখনো ভোলা যায় না। এরপর খালাতো বোন খালা খালাতো বোনের ছেলে মেয়েরা সবাই মিলে কান্নাকাটির পর আমাদের ঘরের ভিতরে নিয়ে গেল। আমাদের বললো একটু রেস্ট নেয়ার জন্য সারারাত জার্নি করে গিয়েছি। যতই জার্নি করে যাই না কেন যশোর গেলে আমার আর রেস্ট নিতে ইচ্ছে করে না কারণ যশোরের সকালের প্রকৃতির সুন্দর অপরূপ দৃশ্য আমায় মুগ্ধ করে। তাই আমি যাওয়ার পরপরই সকালের চারিপাশের প্রকৃতির ছবি তোলা শুরু করে দেই। তাই দেরি না করে চলে গেলাম আপুদের বাড়ির পেছনদিকে গাছ বাগানে সেখানে গিয়ে দেখি সকালের কি অপরূপ শীতের হালকা কুয়াশা ঘেরা প্রকৃতি। আপুদের বাড়ির পেছনের দিকে আমার খুব ভালো লাগে খুব সুন্দর সুন্দর অনেকগুলো গাছ তার মধ্যে এবার দেখতে পেলাম বাচ্চাগুলো গাছের সাথে একটি দোলনা বেঁধেছে।



এরপর চারিপাশের কিছু ছবি টবি তুলে ঘরের ভিতরে গিয়ে শুনি ডাক্তারের কথা কেউ যেন ডাক্তার দেখাতে যাবে। পরে ভালো করে শুনে দেখি খালাকে নিয়ে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যাবে। এরপর জিজ্ঞাসা করে শুনতে পেলাম যে খালা অসুস্থ হার্ডের নাকি একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই আপার বাসায় থেকে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করতে এসেছে। এরপর আপু আর খালা বলল আমাদের রেস্ট নেয়ার জন্য। আর এ কথা শুনে আমাদের কি আর রেস্ট নেওয়া হয়? আমরাও বললাম আমরা খালার সাথে ডাক্তারের কাছে যাব। কিন্তু খালা তো নারাজ আমাদের সাথে নেবে না কারন আমরা সারারাত জার্নি করে এসেছি। শুধু খালা না বাড়ির সবাই আমাদের যেতে দিতে চাইছিল না।তো আমরা জিজ্ঞেস করলাম এটা কবে থেকে আমাদের জানানো হয়নি কেন? খালা বলল দুদিন আগে থেকে আমাদের জানানো হয়নি কারণ আমরা খালাকে নিয়ে টেনশন করবো বলে। খালা আমাদেরকে অনেক ভালোবাসে তাই আমাদের কোন কিছু হলে জানাতে চায় না। খালা বলল ডাক্তার দেখানোর পর এখন একটু ভালো আছে। তাই আমাদের আর বলেনি।


এরপর খালাতো বোনেরা অনেক রকমের নাস্তা বানালো আমাদের জন্য। এত সকালে জার্নি করে তার মধ্যে খালার এই সমস্যা জেনে খাবার কি আর রুচি থাকে। যাইহোক কোনরকমে কিছুটা নাস্তা করে আমরাও খালার সাথে রওনা হয়ে গেলাম যশোর আদ দিন হাসপাতালে। এরপর খালাকে নিয়ে যশোর আদ দিন হাসপাতালে গিয়ে কি কি করলাম তাই আপনাদের সাথে পরের পর্বে শেয়ার করব। বলেছিলাম না যশোর গিয়ে অনেক কিছু করেছি অনেক বেরিয়েছি অনেক আনন্দ করেছি সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি এর প্রতিটা আপনাদের সাথে এক এক করে শেয়ার করব যশোর এর আগেও গিয়েছিলাম কিন্তু এবার একটু বেশি সময় ধরে ছিলাম তাই অনেক স্মৃতি জমা হয়ে আছে।

যাইহোক আজকের মত আবারো আমার এই ভ্রমণ পোস্টটি এখানেই শেষ করলাম। আশা করছি আমার আজকের এই যশোরে ভ্রমণ পোষ্টের তৃতীয় পর্ব ও আপনাদের অবশ্যই অবশ্যই অনেক ভালো লেগেছে। এরপর সামনে আরো যশোরে কাটানো ও রেখে আসা সুন্দর স্মৃতি ও সুন্দর মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে এক এক করে আমার পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করব। যশোরে কাটানো সুন্দর স্মৃতি গুলো আজও আমার হৃদয়ে গেছে আছে। তাই আপনারা সবাই আমার ভ্রমণ পোষ্টের সুন্দর স্মৃতিগুলো আগামী প্রতিটা পর্ব গুলো পড়ার জন্য আগ্রহ নিয়ে বসে থাকবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।


কেমন হয়েছে আজ আমার যশোরে ভ্রমণ পর্ব পোস্টটি? আশা করছি আপনাদের সবার কাছে আমার পোস্টটি পড়েও অনেক ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন। আগামীতে আবার নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসবো ইনশাল্লাহ। আল্লাহাফেজ।

