ট্রাভেল পোস্ট- "মাওয়াঘাট ও পদ্মার পাড় ভ্রমনের ১৫ তম পর্ব " II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন এটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো ভ্রমণ। আসলে ভ্রমণ গুলোকে আমি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে ভ্রমণের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভ্রমণের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার ভ্রমণের পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।

তারপর সেদিন আমরা সবাই মিলে সেই পদ্মার পাড়ের ছোট্র এবং সুন্দর জায়গাটি বেশ সুন্দর করে ঘুরে দেখছিলাম। বিশাল পদ্মার পাড়ে দাড়িঁয়ে চারদিকের বিশাল পদ্মা নদী দেখতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগছিল। সেই সাথে ভরে উঠেছিল মন আর প্রাণ। আকাশে সাদা কালো মেঘের ভেলা আর বিকেলের পদ্মার ঢেউ জেন একাকার হয়ে গিয়েছিল সেদিন। সত্যি বলতে বিশাল পদ্মার পাশে দাড়িঁয়ে এমন দারুন দৃশ্য দেখলে কিন্ত মনের দুঃখ গুলো সব দূর হয়ে যায় এক নিমিষে।


বিশাল নদীর পাড়ে বড় বড় বালির বস্তা ফেলে বাধঁ দিয়ে সুন্দর এই রিসোর্ট এর আকর্ষণ বৃদ্ধি করা হচেছ। কাঠ আর লোহা দিয়ে খুব সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে রিসোর্টটি। সেই সাথে করা হয়েছে কাচঁ দিয়ে এর রিসোর্ট আরও বৃদ্ধি। এখানে বসে এককাপ চা হাতে নদীর ঢেউ দেখতে দেখতে পার করে দেওয়া যায় দিনের পর দিন। কারন এমন সুন্দর প্রকৃতি এর আগে আর কোথাও দেখা হয়ে উঠেনি।


আমরা ততক্ষনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি সুন্দর এই জায়গাটিতে নিজেদের মত করে ফটোগ্রাফি করার জন্য। কেউ ফটোগ্রাফি করছে নদীর পাড়ে, কেউ বা ভিতরে বিছিয়ে রাখা সোফা আর দোলনার উপর। আমি তো কেবল ফটোগ্রাফি করেই সময় পাড় করেছি। কারন এমন দারুন জায়গায় গিয়ে যদি মনের মত করে ফটোগ্রাফি না করি তাহলে কি আর হয়। সেই কথাটি মাথায় রেখেই কখনও দোলনায়, কখণও সোফায় আবার কখনও বা নদীর পাড়ে ফটোগ্রাফি করে সময় পাড় করেছি। সত্যি বলতে আমাদের দেশে যে এমন দারুন দারুন প্রকৃতি আছে সেটা কিন্তু আমি এর আগে দেখিনি।



বিশাল পদ্মা দিয়ে যখন বড় বড় বালি ভরা ট্রলার গুলো বয়ে যাচিছলো তখন তো দেখে মনে হচিছলো যে কোন বাহিরের দেশে বসবাস করছি। সেই সাথে এখানে বেড়াতে আশা হাজারও মানুষের আনন্দ দেখে তো মনের ভিতরে আরও বেশী আনন্দ কাজ করছিল। এখানে ঘুরতে আসা হাজারও মানুষ সে দিন আনন্দে মেতেছিল নিজেদের মত করে। কেউ দোলনায় বসে আনন্দ করছে। সেই সাথে আনন্দ করছে ফটোগ্রাফি করেও । অনেকের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তারাও আমাদের মত করে ঢাকা থেকেই এখানে এসেছে সময় কাটাতে।

আমরা অবশ্য কিছুটা সময় ভিতরে বসে কফি খেয়ে নিয়েছিলাম। তবে এখানকার কফিটাও সেই। কফি খেতে খেতে নদীর দিকে কিছুটা সময় চেয়ে থাকলে মনে হয় এই পৃথিবী কিছু্ই না।জীবন থেকে একসময়ে সব কিছু চলে যাবে কিন্তু রয়ে যাবে এমন সুন্দর দৃশ্য গুলো। মানুষ হিসেবে এমন সুন্দর একটি সময় যদি এক কাপ কফি হাতে নদীর পাড়ে বসে কাটিয়ে দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু আমাদের মনটাও বেশ ফ্রেশ হযে যায়। আর এত কাছ থেকে নদী দেখা যে কতটা সৌভাগ্যের ব্যাপার সেটা বুঝিয়ে বলা যাবে না।

দোলনায় বসে দোল খাওয়া, ফটোগ্রাফি করা, আবার সোফায় বসে ফটোগ্রাফি করা সহ চারদিকের এমন দারুন প্রকৃতি।সেই সাথে রয়েছে মেঘলা আকাশ, মানুষের আনন্দ, আর সুন্দর একটি জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ। সব যেন মনটাকে আরও বেশী উৎফুল্ল করে তুলেছিল। এমন সুন্দর সময়গুলো যদি জীবনে বার বার আসে তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু আমাদের যে ব্যস্ত জীবন তাতে এমন সুন্দর জায়গায় ঘুরে আসার সময় কই আমদের ।

পোস্ট বিবরণ
| শ্রেণী | ভ্রমণ |
|---|---|
| ক্যামেরা | Vivo y18 |
| পোস্ট তৈরি | @maksudakawsar |
| লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy




