ট্রাভেল পোস্ট- "মাওয়াঘাট ও পদ্মার পাড় ভ্রমনের ১৪ তম পর্ব " II written by @maksudakawsarII
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ আমি নতুন এটি ব্লগ নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমার ব্লগের বিষয় হলো ভ্রমণ। আসলে ভ্রমণ গুলোকে আমি ব্লগের মাধ্যমে শেয়ার করতে পারলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমি চেষ্টা করি সপ্তাহে কমপক্ষে ভ্রমণের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভ্রমণের পোস্টগুলো শেয়ার করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমি আশা করি আপনাদের সবার আজকের পোস্টে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নিচে আমার ভ্রমণের পোস্টটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। কেমন হয়েছে তা অবশ্যই জানাবেন।

তো আমরা পৌঁছে গেলাম আমাদের নতুন ভ্রমনের জায়গায়। অটো ওয়ালা মামার টাকা পরিশোধ করেই ঢুকে গেলাম পড়লাম সেই নতুন জায়গাটি ভ্রমন করতে। সত্যি ঢুকার আগেই জায়গাটি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ভিতরে খুব সুন্দর একটি পাটাটন করা রেস্টুরেন্ট। যা কিনা বিক্রমপুরের বিখ্যাত সেই পাটাটন করা। সামনে আছে সুন্দর বাগান। দূরে দেখা যাচেছ বিশাল পদ্মা। বালি ফেলে এই জায়গাটি ভরাট করে সুন্দর এই জায়গাটি বানানো হয়েছে। পরিবেশ দেখেই আমরা হতবাক। ধীরে ধীরে আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম। যতই ভিতরে যাচ্ছি ততই ভিতরের অবস্থা দেখে হলাম।


ভিতরে বেশ সুন্দর সুন্দর ফুলের বাগান। দেখে যেন মনে হচ্ছিলো এই ফুলের বাগান যেন বেহেস্ত। সেই সাথে রয়েছে বেশ সুন্দর করে বসার জন্য সোফা। আর সোফার পাশেই রয়েছে বেশ সুন্দর সুন্দর দুটো দলনা। এখানে যারা বেড়াতে আসে তারা নদীর দৃশ্য দেখার জন্য সে দোলনায় বসে বসে দোল খায় আর সুন্দর নদী দেখে। সেই সাথে সেখানে ছিল বেশ সুুন্দর একটি সাইট ভিউ। যেখান থেকে পদ্মার দৃশ্য বেশ কাছ থেকে উপলব্দি করা যায়। দেখা যায় পদ্মার বিশালতা। তো উপভোগ করা যায় বেশ সহজেই। আর পদ্মার পাড়ে বসে থাকা ছোট ছোট সোফাগুলো যেন প্রকৃতির বন্ধু। যাই হোক আমরা বেশ খুশি হলাম। কিন্তু সেই খুশি হারিয়ে গেল নিমিষেই।



কিছু সময় পর আমাদের সামনে দু জন লোক দৌড়ে আস। আমরা কি খাবো। কিন্তু যেহেতু আমরা দুপুরে পেট ভরে প্রিয় ইলিশ দিয়ে ভাত খেয়েছি তাই তেমন ভারী কিছু আর খেতে পারবো না। কিন্তু সমস্যা হলো যে এখানে যদি কোন কিছু না খাওয়া হয় তাহলে আমরা এখানকার সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করতে পারবো না। আবার এখানে সময়ও কাটাতে পারবো না। তাই তাদের খাবারের মেনু দেখে নিলাম কি কি আছে। আমরা সেদিন যদিও এখানে খাবারের দাম একটু বেশী ছিল। তাই এখানকার খাবার একটু একেবারে কম নিলাম। যা না নিলেই নয়।


কারন এমন একটি সুন্দর জায়গায় বেড়াতে যাবো আর সেই দৃশ্য উপভোগ না করেই চলে আসবো সেটা কেমন করে হয়। তাই কিছু একটু খেয়ে আমরা রয়ে গেলাম সেখানের দৃশ্য দেখার জন্য। সেদিন কেবল আমরা নয় আরও অনেক মানুষ ছিল সেই পদ্মার পাড়ের দৃশ্য দেখার জন্য। সবার ভিতরে ছিল বেশ আনন্দ। আমরা ও বেশ আনন্দ নিয়ে কিছু সময়ের জন্য এই জায়গায় নিজেকে সুপে দিলাম। এখানকার প্রকৃতি আর বাতাস যেন আমাদের কে কিছু সময়ের জন্য সব কিছু ভুলিয়ে দিচিছলো। মনে চাচ্ছিলো যে এই জায়গায় দিনের পর দিন থেকে যাই। কিন্তু তা তো আর সম্ভব নয়। শুধু দেখেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম।


এরপর আমরা ধীরে ধীরে আমাদের সুন্দর সময় সেখানে পার করলাম। তো সেদিন আমরা সেই পদ্মার পারে আর কি কি করলাম সেটা জানার জন্য আশা করি আপনারা আমার সাথে থাকবেন। সেই অবদি সবাই ভালো থাকেন।


পোস্ট বিবরণ
| শ্রেণী | ভ্রমণ |
|---|---|
| ক্যামেরা | Vivo y18 |
| পোস্ট তৈরি | @maksudakawsar |
| লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy




