উষ্ণতা মাত্রাহীন

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

IMG_0378.jpeg

made by canva

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আজকাল যে পরিমাণ গরম আমাদের দেশে পরছে। তেমনটা হয়তো বিগত কয়েক বছরেও পরেনি। আর বর্তমানে গ্রীষ্ম শুধুমাত্র শুরু হয়েছে। আর এখনই যদি এই অবস্থা হয়। তাহলে আর কয়েকদিন পর কিংবা গ্রীষ্মের একেবারে মাঝামাঝি অবস্থায়, দেশের কি অবস্থা হবে সেটা হয়তো আমরা কেউ ভয়েও কল্পনা করতে পারছি না। কারণ ব্যাপারটা আসলে কল্পনার চেয়েও বেশি ভয়ংকর মনে হচ্ছে। কারণ বর্তমানের যে অবস্থা। আর এখন যেভাবে গরম পরছে। না জানি আর কিছুদিন পরে কি করে আমরা জীবনযাপন করবো। কারণ সারাক্ষণ ঘরের ফ্যানের নিচে বসে থেকে তো আসলে জীবন চালানো যায় না। আর তার উপর এতোটাই গরম পরছে যে, ফ্যানের বাতাসটা থেকেও আজকাল মনে হচ্ছে যেনো গরম হাওয়া বের হচ্ছে।

আর এখন যদি কেউ বলে যে এসির নিচে থাকলেই তো হয়ে গেলো, তাও সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশের বর্তমানে যে পরিমাণ লোডশেডিং হচ্ছে। সেটা আসলে কারেন্ট থাকা আর না থাকা সমান বলা চলে। এই যে গ্রীষ্মের তাপদাহে মানুষের জীবন যাপন একেবারে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আচ্ছা আপনি কি মনে করেন এসবের জন্য দায়ী কে?

প্রকৃতি কিন্তু সব সময় সবকিছু হিসাব বরাবর করেই শোধ দেয়। আমরা প্রকৃতিকে প্রতি নিয়তই দূষিত করে যাচ্ছি। সে ক্ষেত্রে আমরা কিভাবে ভাবি যে আমরা প্রকৃতি থেকে ভালো কিছু পাবো? আমরা যেমন গাছ কেটে ফেলছি, প্রকৃতি ধ্বংস করে ফেলছি, নদী-নালা ভরাট করে ফেলছি। ঠিক তেমনটাই আমাদের কাছ থেকে শীতল পরিবেশটাও প্রকৃতি নিয়ে নিচ্ছে। এটা কিন্তু প্রকৃতির দোষ নয়,এটা আমাদের দোষ। আমরা আমাদের নিজেদের দোষেই আমাদের পরিবেশটাকে এতোটাই ধ্বংস করে ফেলেছি যে। আজকালকার অবস্থা এমন হয়েছে যে, রাস্তায় সাধারণভাবে বের হওয়া যাচ্ছে না রোদের তাপের জন্য।

বর্তমানে তো ৪০ ডিগ্রীর কাছাকাছি গরম পরছে। কিন্তু যখন পঞ্চাশ ডিগ্রীর মতো গরম পরবে। তখন যে আমাদের কি হবে সেটা আমরা কেউই জানি না। শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে সরকারের দোষ দিয়ে লাভ নাই। এই ক্ষেত্রে সরকার যতোটা দোষী, আমরা নিজেরাও কিন্তু ঠিক ততোটাই দোষী। কারণ ঘরবাড়ি করার সময় আমরা নিজেরাই গাছ-গাছালির জন্য এক হাত জায়গা রাখতেও কেউ রাজি হই না।
Sort:  
 2 years ago 

গরম নিয়ে সময়োপযোগি একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। তীব্র গরম। বিশেষ করে গত দুই-দিন ধরে ঢাকায় অসহনীয় গরম। আপনি ঠিকেই বলেছেন,পকৃতি আমরা প্রতিদিন দূষিত করে যাচ্ছি। শুধু দূষিত নয় ধবংস করে যাচ্ছি। বন-জঙ্গল উজার করছি, জলাশয় ভরাট করছি। তারেই প্রতিশোধ নিচ্ছে প্রকৃতি। এই গরম রোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, প্রাণ-প্রকৃতিকে বাঁচাতে হবে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

তীব্র গরমে জনজীবন একেবারে অতিষ্ঠ। আর এই তীব্র গরমের জন্য আমরাই দায়ী। কারণ আমরা প্রকৃতির উপর যে পরিমাণে অত্যাচার করেছি, প্রকৃতি এখন আমাদের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে,আর এটাই তো স্বাভাবিক। একটি কথা সবসময় আমাদের মাথায় রাখা উচিত, প্রকৃতি আমাদেরকে ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের যথাসম্ভব বৃক্ষরোপণ করা উচিত। নয়তো আগামী প্রজন্ম আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago (edited)

গরমের তীব্রতা নিয়ে বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিনিয়ত যেভাবে গরম বাড়ছে পৃথিবীটা যেন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। এসির নিচে থাকাও সম্ভব হচ্ছে না কারণ লোডশেডিং এর মাত্রা বেশি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।