শৈশবের স্মৃতি- ছেলেবেলার কটকুটি খাওয়ার অনুভুতি

কেমন আছেন আমার প্রিয় ও সহযাত্রী সকল ভাই ও বোনেরা। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন।আজ আবারও হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের সবার অতি নিকটে। ফেলে আশা অনেক স্মৃতির মাঝ থেকে কিছু স্মৃতি নিয়ে। আমাদের চলার পথে জীবনে সুখ দুঃখ কতো স্মৃতি জড়িয়ে আছে।সেই শৈশব থেকে শুরু করে মৃতুর আগ পর্যন্ত স্মৃতিগুলো যেন চোখে ও মনের মনি কোঠায় ভেসে বেড়ায়। আর তার মধ্যে জীবনে এমন অনেক ঘটনা থাকে যা কখনও ভোলা যায় না।

প্রতিটি মানুষের জীবনে শৈশব হলো এক অনন্য সময়, এক সত্যিকারের স্বর্ণযুগ। আমরা যত বড়ই হই না কেন, আমাদের শৈশবকে কখনও ভুলতে পারি না। জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে, প্রতিটি সুখ-দুঃখের মুহূর্তে শৈশব যেন ফিরে আসে মধুর স্মৃতির পরশ নিয়ে। কখনও মনে হয়, যদি আবার সেই দিনগুলোয় ফিরে যাওয়া যেত, যেখানে ছিল নিঃস্বার্থ হাসি, খেলাধুলা আর নির্ভেজাল আনন্দে ভরা দিনরাত্রি। কিন্তু সময়ের টানে, জীবনের বাস্তবতায় আমাদের সবাইকেই ফিরে আসতে হয় বর্তমানে। তবুও হৃদয়ের এক কোণে শৈশবের আলো, সেই নির্ভার সময়গুলোর স্মৃতি আজও জ্বলজ্বল করে।

আজ বার বার একটি কথা মনে হচেছ, আর সেটা হলো ছেলেবেলার কটকুটি খাওয়ার কথা। ছেলেবেলায় যখন কোয়াটারে থাকতাম তখন মাঝে মাঝেই দেখতাম কটকটি ওয়ালা আসতো। পুরানো বই খাতা দিয়েও কিন্তু সেই কটকটি খাওয়া যেত। আর সে কারনেই আমরা পুরানো বই আর খাতা জমিয়ে রাখতাম সেই কটকটি খাওয়ার জন্য। আর প্রতি সপ্তাহে যখন সেই কটকটি ওয়ালা আসতো তখন আমরা দৌড়ে নিচে নেমে যেতাম সেই মজাদার কটকটি খাওয়ার জন্য।

বিভিন্ন রকমের কটকটি বানানো হতো। বাদামের কটকটি, নারিকেল কটকটি, গুড়ের কটকটি সহ আরও অনেক রকমের কটকটি। কিন্তু যে রকমের হউক না কেন ছেলেবেলায় এই কটকুটি খেতে কিন্তু বেশ মজাই লাগতো। তাই নিজের পুরানো লেখার খাতা আর বই গুছিয়ে রাখতাম। অবশ্য এসব বই খাতাগুলো লুকিয়ে রাখতাম। কারন বাবা দেখলে তো বেশ পেদানো দিতো। কিন্তু সব মিলিয়ে যখন কটকটি ওযালা আসতো তখন দৌড় দিয়ে নীচে নেমে যেতাম। আর নীচে যেতাম লুকিয়ে লুকিয়ে যাতে করে পায়ের চোখে না পড়ি। কি যে সাবধানতা অবলম্বন করতাম তখন।

আবার মনটা বেশী খারাপ হয়ে যেত তখন, যখন অনেক গুলো বই খাতা জমিয়ে রেখেও কটকটি ওয়ালা আসতো না। বা বেশী দামের জন্য অনেক সময় মজাদার কটকটি খেতে পারতাম না। আবার যখন কটকটি কিনে নিয়ে যেতাম তা নিয়ে বাসায় ছোট ভাইয়ের সাথে বেশ ঝগড়া হতো। মাঝে মাঝে মারামারিও হতো। আর মারামারি করে এক সময়ে মায়ের মারও খেতাম। তারপর আবার সেই মজাদার কটকটি দুই ভাই বোনের মধ্যে ভাগাভাগি করে খেতাম। সব মিলিয়ে ছেলেবেলার কটকটি খাওয়ার কথা কখনও ভুলে যাওয়ার নয়। আমার মত কার কার এমন স্মৃতি রয়েছে একটু বলবেন প্লিজ।