জেনারেল রাইটিং- কিছু মানুষ কষ্টের মাঝেই সুখ খুজেঁ নেয়
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করবো সবাই ভালো আছেন। সৃষ্টিকর্তার রহমতে আমিও আছি ভালোই। তবে ব্যস্ত এ নগরে কতটুকু সময় ভালো থাকতে পারবো সেটা বলা মুশকিল। শত ঘাত প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে কাটাতে হয় যান্ত্রিক জীবন। মাঝে মাঝে মনে হয় সব কিছুকে বন্ধ করে দিয়ে দূরে কোথাও সবুজ গাছের ছায়ায় নিজেকে একটু স্বস্থির ছায়া দিতে। কিন্তু ঐ যে বাস্তবতা, সেটা তো বড়ই নিষ্ঠুর আর নির্মম। কোন কিছুতেই ছাড় দিতে চায় না। সে যাই হোক বাবা । চলুন মূল পোস্টে ফিরে যাওয়া যাক।
প্রতিদিনই চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে সুন্দর করে কিছু লিখে উপহার দেওয়ার জন্য। চাই চারদিকের মানুষগুলোর মধ্যে লুকিয়ে থাকা কষ্টগুলো কে আমার লেখার যাদুতে আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে। জানিনা কতটুকু আপনাদের মাঝে নিজের মনের কথা গুলো কে শেয়ার করতে পারি। আজ চেষ্টা করলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করার জন্য। আশা করি প্রতিদিনের মত করে আমার আজকের জেনারেল রাইটিংটিও আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে।

মানুষ হিসাবে আমরা বেশ আবেগ প্রবণ। আর সেই আবেগের তারণায় আমাদের মনে তৈরি হয় মানবের জন্য মানবের ভালোবাসা বা মায়া মমতা। আর সেই মায়া মমতার টানে আবেগী মানুষ গুলো নিজেদের কে উজার করে দেয় বেশ অচিরেই। আর এমন উজার করে দিতে গিয়ে নিজের অজান্তেই মনের মাঝে জমা হয়ে পড়ে হাজারও কষ্টের পাহাড়। চাপা পড়ে যায় হাজারও না বলা কথা বা গল্প। কারন বাস্তবতা যে বড়ই কঠিন। তাই হয়তো আবেগী মানুষ গুলোর কষ্ট আর দুঃখ শোনার মত এখানে প্রকৃত মানুষ বেশ কমই পাওয়া যায়। যেখানের কেউ মনের কষ্ট গুলো উজার করে শেয়ার করতে পারবে। আর এমন হাজারও বাধার বুকে মানুষ হয়ে পড়ে বেশ অসহায়। তাকে ঘিরে ধরে অনেক ভয়।
আমাদের চারপাশে এমনও মানুষ আছে যাদের মনের ভিতর শত শত না বলা কথা। যে কথা গুলো হয়তো কারও কাছে শেয়ার করতে পারলে কিছুটা সময়ের জন্য একটু স্বস্থি পাওয়া যেত। হয়তো একটু ভালো সময় কাটানো যেত। আবার হয়তো বা বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারতো। কিন্তু বাস্তবতা এমনটা কঠিন যে চারপাশে মানুষ থাকলেও বিশ্বাসযোগ্য মানুষ খুজেঁ পাওয়া যায় না। আর সেই কারনেই আজকাল মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে বেশী। তার কারন হলো মনের ভিতরে জমে থাকা কষ্ট গুলো এক সময় আর কষ্ট থাকে না। হয়ে পড়ে মরিচিকা। আর এই ঝমে ধরা মরিচিকার কারনেই মানুষ বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
অথচ কষ্ট বয়ে নেওয়া মানুষগুলো মনের গভীরে বয়ে চলা কষ্ট গুলো কে লুকিয়ে রেখে সমাজে হাসিমুখে ঘুরে বেড়ায়। মানুষের প্রয়োজনে বিলিয়ে দেয় নিজের সময় আর শ্রম। হয়তো চারপাশের মানুষ ভাবে যে মানুষটি অনেক সুখী। হয়তো চারপাশের মানুষ ভাবে যে মানুষটির ভিতরে কোন দুঃখ নেই, তাই কেউ আর সেই দুঃখী মানুষের গভীরে লুকিয়ে থাকা কষ্ট গুলোকে বুঝতে পারে না বা বুঝতে চায়না। কারন ঐ যে মানুষটি বেশ হাসিখুশি আর সোশ্যাল। আর এমন করে অভিনয় করতে করতে হয়তো এক সময়ে কষ্ট লুকিয়ে রাখা মানুষটি একজন ভালো অভিনয় শিল্পী হয়ে উঠে।
অথচ পৃথিবীর কেউ বুঝতে বা জানতে পারে না কতটা ব্যাথা আর বেদনায় কেটে যায় সেই মানুষটির জীবন। কতটা অতৃপ্তি আর না পাওয়ার বেদনা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় মানুষটি। আবার এটাও ভেবে দেখে না যে কতটা কষ্টের মাঝে কেটে যায় মানুষটির জীবন। সমাজ আর পরিবার কেবল দেখে তার হাসি মাখা সময় আর মুখ। অথচ এমন করে কত অগিত মানুষ যে আমাদের চারপাশে অভিনয় করে নিজের মনের ভিতরে কষ্টের পাহাড়, না বলা কষ্ট নিয়ে ঘুরে ঘুরে বেড়ায় সেটা কেউ জানেনা বা জানার চেষ্টা করে না।
পরিশেষে এমন হাজারও কষ্টে থাকা মানুষগুলোর জন্য মনের গভীর হতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শেষ করছি আমার আজকের লেখাটুকু। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
কেমন লাগলো আমার আজকের পোস্টটি। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের আশায় থেকে আজ এখানেই শেষ করছি।
আমার পরিচিতি
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
.gif)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy



আজকে আপনি খুব সুন্দর একটি শিক্ষনীয় পোস্ট করেছেন। কিছু মানুষ কষ্টের মাঝে সুখ খুঁজে নেই এটি কিন্তু বাস্তব। আর আর পৃথিবীতে কেউ যদি বুঝতে না পারে মনের কষ্ট বেদনা তারপরও মানুষ জীবনের সামনের দিকে এগিয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।