'হৃদয়ের স্পন্দন'গল্প পর্ব:২
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে হৃদয়ের স্পন্দন গল্পের প্রথম পর্বটি শুরু করছি। আশা করি, গল্পের দ্বিতীয় পর্বটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাই বিলম্ব না করে আমার পোস্ট লেখাটি শুরু করছি।
পূজা হোটেলের রুমে যেতেই। বাবা বললো, কখন থেকে তাকে ফোন করে যাচ্ছি ফোনটা তো রিসিভ করতে হয়। অচেনা জায়গা, অপরিচিত মানুষ কিনা কি হয় টেনশন হয় তো বুঝতে হয় মা। পূজা বলে, সরি বাবা। সমুদ্রের ঢেউয়ের শব্দে আমি ফোনের শব্দটা শুনতে পারিনি।বাবা বলে, আচ্ছা ঠিক আছে। দু বোন রেডি হয়ে নেও আমরা সবাই মিলে বের হব রাতের সমুদ্র দেখতে। পূজা দেরী না করে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নেয়। এরপর পরিবারের সবাই মিলে রাতের সমুদ্র দেখতে বের হয়। সবাই যখন রাতের সমুদ্র দেখতে ব্যস্ত পূজা তখন রকিকে খুঁজছে। কিন্তু পূজা রকিকে কোথাও খুঁজে পায় না। তখন পূজার বোন পূজাকে বলে, কি হয়েছে দিদি এত ব্যাকুল হয়ে কাকে খুঁজছো? পূজা বলে, কোথায় কাউকে খুঁজছি না তো। ছোট বোন বলে, আমি জানি তুমি কাকে খুঁজছো। পূজা বলে, কি বাজে কথা বলছিস আমি কাকে খুঁজতে যাব। ছোট বোন হাসতে হাসতে😄😄 বলে, যে ছেলেটা তোমাকে সমুদ্রে ডুবে যাওয়া হাত থেকে বাঁচিয়ে ছিল। যার সঙ্গে সন্ধ্যায় তোমার কথা হয়েছিল। তুমি তাকেই খুঁজছো তাইনা দিদি। পূজা বলে, তুমি অনেক পেকে গিয়েছো চুপ কর।
অনেকক্ষণ সমুদ্রে কিনারে থাকার পর পূজার বাবা বলে, চলো সবাই রাতের খাবার খেতে হবে। এরপর তারা একটি ভালো রেস্টুরেন্টে যে খাবার খায়। খাবার খেতে খেতে আচমকা পূজার ছোট বোন পূজাকে বলে, দিদি ওই দেখো ওই সেই ছেলেটি। পূজা বলে, তুই কি চুপ করবি চুপচাপ খাবার খা। ছোট বোন আবারো বলে, আরে দিদি দেখো না ঐ সেই ছেলেটি তুমি যাকে খুঁজছিলে। এরপর পূজা তাকিয়ে দেখে সে যাকে খুঁজছিল সে তার সামনের টেবিলে বসে খাবার খাচ্ছে। ছোট বোন বলে, আমি কি মিথ্যা বলছিলাম তামাকে। পূজা বলে, চুপ কর বাবা-মা সবাই রয়েছে একবার বুঝতে পারলে আমাদের দুজনকে মারবে। পূজা খাবার খাচ্ছিল আর রকির দিকে তাকাচ্ছিল। পূজা মনে মনে ভাবছিল একটি পার রকি তার দিকে ঘুরে তাকাক। কিন্তু রকি একটি বারও পেছন ঘুরে তাকায়নি।ছোট বোন বলে, কি হলো দিদি একটিবারও ওই ছেলেটি তোর দিকে তাকালো না। পূজা বলে, আরে সে কিভাবে বুঝবে আমি তার পিছনে বসে আছি।
এরপর পূজারা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সোজা চলে আসে হোটেলে। হোটেলে আসার পর পূজা শুয়ে শুয়ে চিন্তা করতে থাকে আমি তাকে খুজছিলাম তার সঙ্গে দেখা হল কিন্তু সে কি একটা বার বুঝতে পারল না আমি তার খুব কাছাকাছি রয়েছি। ছোট বোন বলে, তুমি এত চিন্তা করছ কেন? পূজা বলে, তোকে কে বললো আমি চিন্তা করছি। ছোট বোন বলে, আমি বুঝতে পারি দিদি তুমি ওই ছেলেকে নিয়ে চিন্তা করছো। পূজা বলে, তোর কি সব সময় ওই ছেলে কথা মাথার ভেতর ঘুরছে। ছোট বোন বলে, দিদি একটা সত্যি কথা বলতো? পূজা বলে, কি কথা। ছোট বোন বলে, তুমি কি মনে মনে ওই ছেলেকে ভালোবেসে ফেলেছ। পূজা বলে, তুই কি পাগল হয়ে গেলি। দুদিন হয়নি তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে আর এই অল্প সময়তে তাকে আমি ভালোবেসে ফেলব। ভালোবাসা কি এতটা সত্য মনে হয়। ছোট বোন বলে, তুমি মুখে যাই বলো কিন্তু আমি বুঝতে পারছি তুমি তাকে একটু হলেও ভালোবেসে ফেলেছ। পূজা রাগান্বিত কন্ঠে বলে, তুই যদি এবার চুপ না করিস আমি কিন্তু বাবাকে বলতে বাধ্য হব। ছোট বোন বলে, আচ্ছা ঠিক আছে আমি আর কিছু বলছি না কিন্তু পরবর্তীতে আমাকে যেন কিছু বলা না হয়।
ছোট বোন ঘুমিয়ে পড়ে কিন্তু পূজা ঘুমাতে পারছিল না সে ভাবছিল আবার কখন তার সঙ্গে দেখা হবে। ফিসফিস করে বলছিল পূজার ছোট বোনকে। তুই ঠিক বলেছিস বোন আমি তাকে ভালোবেসে ফেলেছি। কিন্তু আমি তাকে বলব কিভাবে কারণ আমি তো তাকে সেই ভাবে চিনি না জানি না। হঠাৎ তার সঙ্গে দেখা আমরা যেমন ঘুরতে এসেছি হয়তো সেও করতে এসেছে। হয়তো কিছুদিন পর সেও চলে যাবে আমার ভালোবাসা হয়তো এখানেই শেষ হয়ে যাবে। তখন আচমকা তার ছোট বোন বলে, ভালোবাসা এখনো শেষ হয়ে যায়নি বাঁচিয়ে রাখো কাল সকালের জন্য। পূজা বলে, তুই এখনো ঘুমাসনি আমি তো ভেবেছি তুই ঘুমিয়ে পড়েছিস। ছোট বোন চোখ মেলে বলে, আমি জানতাম দিদি তুমি তাকে ভালবেসে ফেলেছ। পূজা বলে, হ্যাঁরে আমি তোকে ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু তাকে কিভাবে বলব। ছোট বোন বলে, যদি তুমি মন থেকে ভালোবেসে থাকো তাহলে সৃষ্টিকর্তা হয়তো আবার তোমাদের দুজনকে এক করবে। সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখো সে হয়তো তোমার এই মন ভাঙবে না। ঈশ্বরের কাছে কোন কিছু চাইলে সে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয় না। অনেক রাত হয়েছে দিদি ঘুমিয়ে পড়ো কাল সকালে ওই ছেলেকে খুঁজতে বের হব আমি আর তুমি।
.jpg)
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟