বন্ধু জিহাদের সাথে ফ্যান লাগানোর কিছু মুহূর্ত।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরো একটি নতুন পোস্ট। কিছুদিন আগেই আমি একটা পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম যে আমার ছোটবেলার বন্ধু জিহাদ জীবিকার তাগিদে দেশ থেকে বিদেশ চলে গেল। এক দিক থেকে বলা চলে ও হুট করেই বিদেশে চলে গেল। অর্থাৎ ও আমাদেরকে অনেকদিন ধরেই বলছিল বিদেশ যাবে বিদেশ যাবে কিন্তু কবে যাবে সেটা বলছিল না। আর এর কারণ ও নিজেও জানতো না যে ও কবে বিদেশ যাবে,তবে ও অনেকদিন ধরেই যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছিল। আমি কিছুদিন আগেই জানতে পেরেছিলাম যে ও আর কিছুদিনের মধ্যেই বিদেশ চলে যাবে। তবে মজার বিষয় হচ্ছে লাস্ট যেদিন ও বিদেশ চলে যাবে সেদিন শুধুমাত্র কয়েকটা বন্ধুই জানতাম যে ও বিদেশ চলে যাচ্ছে। শেষে কয়েকটা বন্ধুকে ফোন দিয়ে বলতে হয়েছিল যে জিহাদ কিছুক্ষনের মধ্যেই বিদেশ এর পথে রওনা দিচ্ছে তোরা চাইলে এসে দেখা করে যেতে পারিস। আর এর কারণ খুবই সহজ ও কাউকে জানাতে চাচ্ছিল না।

যাই হোক আজকে আমি আপনাদের মাঝে জিহাদের সাথে ফ্যান লাগানোর একটি মুহূর্ত শেয়ার করব। আসলে জিহাদ ইলেকট্রিক্যাল কাজ জানতো তাই ও বিদেশ যাওয়ার কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে ডেকেছিলাম,একটা ফ্যান লাগিয়ে দেওয়ার জন্য। সেই মোতাবেক একদিন আমি এবং জিহাদ দুজনে মিলে লেগে পড়লাম আমাদের বাসার ফ্যানটা লাগানোর জন্য। তবে দুঃখজনক বিষয় হলো ফ্যান লাগানোর সময় অনেক প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো আর খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তার জন্য কিছুক্ষণ বসে থাকতে হয়েছিল তবে শেষমেষ জিহাদের বাড়ি থেকেই কিছু সামগ্রী নিয়ে আসি।

এরপর দুই বন্ধু মিলে গল্প করতে করতে ফ্যানটা লাগাচ্ছিলাম। আর ফ্যানটি লাগানোর সময় আমি কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম আর ওকে বলেছিলাম তুই বিদেশ চলে গেলে এই গুলা আমি বাংলা ব্লগে শেয়ার করব। আর আজকেই মূলত সেটা শেয়ার করছি আপনাদের মাঝে। যাইহোক এরপর দুজনে মিলে এটা ওটা নিয়ে আলোচনা করছিলাম এবং ফ্যানটা লাগাচ্ছিলাম। যেহেতু প্রয়োজনীয় সামগ্রীগুলো প্রথমে পাওয়া যাচ্ছিল না তাই ফ্যানটা লাগাতে গিয়ে বেশ সময় পার হয়ে গিয়েছিল। তবে বেশ সময় পার হয়ে গেলেও আমার খারাপ লাগছিল না কারণ বন্ধুর সাথে কাজ করছি। আর এমনিতেই কিছুদিন পরে বিদেশ চলে যাবে আবার কবে দেখা হবে তার কোনো ঠিক নাই। এর জন্যই মূলত একটু বেশি ভালো লাগছিল।

যাইহোক কিছুক্ষণ ধরে চেষ্টা করার পর আমরা ফ্যানটা লাগাতে সক্ষম হলাম এবং ফ্যানটা চালু করে দেখলাম ভালো মতোই ঘুরছে। আর ফ্যানটা আমার ঘরে লাগানো হয়েছিল যার কারণে একটু বেশি ভালো লাগছিল। কারণ টেবিল ফ্যানের বাতাস খেতে আর ভালো লাগতো না।

** তো প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। এটাই ছিল মূলত বন্ধু জিহাদ বিদেশ যাওয়ার আগে দুজনে মিলে ফ্যান লাগানোর কিছু মুহূর্ত। তো আজকের মত এটুকুই। আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।**

আল্লাহ হাফেজ