মানুষ আর হতে পারিনি!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

একটি নিউজ দেখে আমি এতোটাই ভেঙ্গে পরেছি যে, আসলে কয়েকটা রাত আমার ঠিকমতো ঘুম হয়নি। কারণ কিছু কিছু এমন ব্যাপার মাঝেমধ্যে চোখের সামনে চলে আসে।যে ব্যাপার গুলো দেখলে মনে হয় যে, এই ব্যাপারগুলো যদি আমি না জানতাম কিংবা কোনো না কোনো ভাবে যদি এই ব্যাপারগুলো আমার চোখের সামনে না আসতো। তাহলে বোধহয় আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম। কিন্তু আমার পরক্ষণে মনে হয় যে, এই ব্যাপারটি আমার চোখে এসেছে হয়তো সৃষ্টিকর্তার আমার প্রতি একটু হলেও মায়া আছে। সে কারণেই তিনি আমাকে এই নিউজটি আমার চোখে ফেলার মাধ্যমে আমাকে সতর্ক করেছেন। অর্থাৎ একটা মানুষ যখন দুটি চিন্তার মাঝখানে পরে যায়। তখন মানুষটার অবস্থা সত্যিই খারাপ হয়ে যায়। যাই হোক, কথা না বাড়ি আসলে আমি মূল কথাটাতেই আসি।

একটা নিউজ যেটা আমাকে বারবার নাড়া দিয়েছে। সেটা হচ্ছে আমাদের দেশে খুব অল্প কয়েকটা দিন আগেই একটা তৃতীয় শ্রেণীর শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এটা কি একটু হলেও ভাবতে পারছেন ব্যাপারটা আসলে করো বেশি ভয়ানক আমাদের সমাজের জন্য! আমাদের সমাজটা কতো বেশি খারাপ পর্যায়ে গেলে এই ধরনের একটা পরিস্থিতি ঘটতে পারে।

আসলে এর কারনে আমি শুধু সমাজের মানুষকেই দোষ দিবো না। এ কারণে আসলে ওই খারাপ মানুষগুলো যতোটা দায়ী তার চেয়ে হয়তো কিঞ্চিত পরিমাণ কম হলেও বাচ্চার গার্জিয়ান গুলো কিন্তু কিছুটা হলেও দায়ী। কারণ এই যে এই তৃতীয় শ্রেণীর বাচ্চাটা ঘরে একা ফিরছিলো,তার মা কোথায় ছিলো? কিংবা তার বাবা কোথায় ছিলো? একটা এতো ছোট বাচ্চা কেনো স্কুল থেকে ঘরে একা ফিরবে?

এটা শুধুমাত্র ওই পরিবারের সমস্যা কিন্তু নয়। এটা কিন্তু আমাদের নিজেদের পরিবারেরও সমস্যা। কারণ আমরা আসলে একটা বাচ্চা যখন অল্প কিছু কাজ নিজে নিজে করতে শিখে তখন আমরা পুরোপুরি ভুলেই যাই যে বাচ্চাটার আমাদের প্রোটেকশনের অনেক বেশি দরকার রয়েছে।

আর একটি ব্যাপার হলো,যেই ঘরে মেয়ে বাচ্চা রয়েছে। তাদের কিন্তু সব সময় অনেক বেশি সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত। যেটা আসলে বেশিরভাগ পরিবারের মানুষেরাই ভুলে যায়। আমাদের ঘরের ছোট ছোট বাচ্চাগুলো কিন্তু কোথাও সেইফ নয়। তাই তাদেরকে ২৪ ঘন্টা নজরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। কারন তারা নিজেদের রক্ষা কখনোই নিজেরা করতে পারবে না।

তাই এই পোস্টটি যারা পড়ছেন। তাদের আমি অনুরোধ করবো যে, কোনো বাচ্চাকে অর্থাৎ নিজেদের ঘরের বাচ্চাকে কোনো কাজিনের কাছে পর্যন্ত দিয়ে কোথাও যাবেন না। কারণ একটা কথা আপনার মাথায় একেবারে সেট করে ফেলুন যে, আপনারা অর্থাৎ একেবারে ঘরের অল্প কজন মানুষ ছাড়া পরিবারের আর কেউ ওই বাচ্চাটির জন্য নিরাপদ নয়। আমি কিন্তু একটা কথা উল্লেখ করেছি। সেটা হলো, পরিবারের কেউ ই নিরাপদ নয়। তার মানে বুঝতেই পারছেন পরিবারের বাইরের কেউ নিরাপদ এটাতো প্রশ্নই উঠছে না। তাই নিজেদের বাচ্চারা অর্থাৎ আমাদের নিজেদের ঘরের বাচ্চারা যখন ঘরের বাইরে যায়। তখন অবশ্যই তাদেরকে কখনোই একা ছাড়বেন না।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।