কুমন্ত্রণা দেওয়ার লোকের নেই অভাব!

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করি। আশা করছি আজকের লেখাটি আপনাদের বরাবরের মতোই ভালো লাগবে। আর আজকে সব সময় এর মতো আমি আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি, তাহলে চলুন শুরু করি।

জীবনের বিভিন্ন সময়ে আমরা বিভিন্ন রকমের পরিস্থিতিতে পরি। আর আজকে একটা সত্যি কথা যদি বলি। তবে সেটা হচ্ছে আমাদেরকে ভালো পরামর্শ দেওয়ার চেয়ে, আমাদের জীবনে খারাপ পরামর্শ দেওয়ার লোকের একেবারেই অভাব নেই। অর্থাৎ আপনি কোনো সমস্যায় পরে দেখবেন। আপনার ভালো পরামর্শ দেওয়ার লোকের কিন্তু অনেক অভাব রয়েছে জীবনে। কিন্তু খারাপ পরামর্শ অর্থাৎ কুমন্ত্রণা দেওয়ার লোকের অভাব মোটেও নেই। যেটার অভাব থাকা কিন্তু সবচেয়ে বেশি জরুরি ছিলো!

আমি আসলে এই ধরনের মানুষদের কাছে থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকা চেষ্টা করি। কারণ ধরুন এই যে আপনি কোনো বিষয় নিয়ে খুব গভীরভাবে চিন্তা করছেন কিংবা কোনো একটা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পরেছেন। ঠিক তখনই আপনি আশা করেন যে, আপনাকে যেনো কেউ কোনো ভালো পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুক। তখনই দেখবেন যে আমাদের কানের কাছে কিছু মানুষ এমন সব কু-মন্ত্রণা দিবে। যেগুলো আসলে আপনার একটু ভাবতেই কষ্ট হবে। অর্থাৎ আপনি তখন ভাববার পরিস্থিতিতে থাকবেন না যে এক্সসেটা ভুল নাকি খারাপ সেটা বিবেচনা করতে পারেন। কারণ তখন আপনি একটা সাজেশন এর জন্য মরিয়া হয়ে আছেন।

ঠিক ওই সময়টাকেই ওই কুমন্ত্রণা দেওয়া মানুষগুলো কাজে লাগায়। কারণ যখন আপনি একটা সাজেশনের জন্য মরিয়া হয়ে আছেন। তখন আপনি যে কোনো সাজেশন পাওয়ার সাথে সাথেই সেটা লুফে নিবেন এবং সে অনুযায়ী আগানোর চেষ্টা করবেন, যেখানেই আসলে আমরা ভুলটা করি। কারন আমরা ভুলে যাই যে আমাদেরকে ভালো সাজেশন দেওয়ার লোকের সত্যিই খুব অভাব রয়েছে। আর যারা খারাপ সাজেশন দেয়। তারা কিন্তু সেগুলো জেনে বুঝেই করে। অর্থাৎ আমাদের ক্ষতি চায় বলেই কিন্তু তারা আমাদের খারাপ মন্ত্রণাগুলো দেয়।

আর আমরা যখন তাদের সেই খারাপ পরামর্শ গুলো অনুযায়ী কাজ করা শুরু করি। তখন দেখি যে একেবারে শেষ মুহূর্তে এসেই আমাদের খুব ভালো রকমের একটা লস হয়ে যায়। যেটা আসলে আমরা অনেক সময় পূরণ করতে অক্ষম থাকি। অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ চাইলেও করতে পারিনা। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হলো এটাই। যাদের এই কুমন্ত্রণা দেওয়ার স্বভাব রয়েছে। তাদের কাছে থেকে সব সময় দূরে থাকা। আর আমাদের প্রয়োজনের সময় যদি দেখিও যে তারা কোনো ভালো পরামর্শ ও দিচ্ছে। তাও তাদের কাছ থেকে দূরে থাকা। কারণ তারা কখন যে ভালো পরামর্শ দিতে দিতে কুমন্ত্রণা দিয়ে ফেলবে, সেটা আপনি নিজেও টের পাবেন না!

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।