বৃষ্টিতেই যেনো স্বস্তি
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
কি অবস্থা সবার। আশা করি আপনারা সবাই জোশ মুড এ আছেন। আমিও আছি চমৎকার। কাল তো সেই এক বৃষ্টি হইলো। যদিও ঠান্ডা টা ওভাবে ধরে রাখতে পারেনি। আজই কেমন গরম গরম ভাব। তবে কাল সেই মজা হয়েছে। বৃষ্টি হলে ভালোই লাগে আর যাই বলেন। আজ সে সব নিয়েই বলবো। আশা করি ভালো লাগবে।
বৃষ্টির ব্যাখ্যা এক এক জনের কাছে এক এক রকম। আমার কাছে বৃষ্টি মানেই স্বস্তি। আসলে বৃষ্টি এক দিক দিয়ে হয়তো ভালো লাগে না যে কাঁদা হয়ে যাওয়ার কারণে রাস্তায় চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করে। এ ছাড়া সব কিছুতেই উপকার বৃষ্টি আসলে। অন্তত আমার কাছে এটাই মনে হয়। বিশেষ করে শহর এর দিকে বৃষ্টি না আসলে কি যে সমস্যা বেধে যেতো তা বলাই বাহুল্য। আমাদের ঢাকাতে এমনিতেই যে পরিমান ধুলোবালি শীতের সময় ঘর বাড়ির চালের দিকে বা গাছ গুলো পাতার দিকে তাকালেই বুঝা যায়। সব যেনো ধুলো স্নান নিয়ে বসে আছি শরীর খানা না মুছে। এসব ধুলোবালি সব পরিষ্কার হয়ে যায় এক পসলা বৃষ্টি আসলে। আর পরিবেশের ঠান্ডা? এটা বাদ দিলে চলে? কিছু দিন আগে কি পরিমান একটা গরম গিয়েছে খেয়াল আছে? এমন গরম যেনো একদম সহ্য করার মতন না। সেই কঠিন গরম ও কিন্তু বৃষ্টি আসাতে একদম কমে গিয়েছে। মাঝে তো শীত শীত আবহাওয়া চলে এসেছিলো এমন মনে হয়েছে। আবার ঢাকার শহরে পানির সমস্যাও অনেকটা সমাধান হয়ে যায় এই বৃষ্টি আসলে। তাই বৃষ্টি আসলে উপকার আর উপকার। হ্যা চলাচলে একটু সমস্যা হয় তবে সেটা বাদ দিলে বৃষ্টিতে স্বস্তি ছাড়া আর কিছু দেখি না আমি। আর বৃষ্টির আবহাওয়া হচ্ছে রোমান্টিক আবহাওয়া। যদিও আমার বউ নাই । তবে অন্য দের জন্য তো রোমান্টিক।
তো যেটা বলছিলাম বৃষ্টি মানেই যেনো স্বস্তি। প্রথম যেদিন বৃষ্টি আসে সেদিন ছিলো বৃহস্পতিবার। রাত ১ টার দিকে বাতাস দিয়ে বৃষ্টি আসা শ্রুরু হয়। আব্বু ঘুম থেকে উঠে যায় সাথে সাথেই। কারণ তখন তীব্র গরম পরতেছিলো। তো আব্বু আমাকেও ঘুম থেকে ডেকে তোলে। আমি প্ল্যান করে ফেলি বৃষ্টিতে ভিজবো। কারণ তীব্র এই গরমে ঘামাচি উঠে আমার শরীরের অবস্থা খারাপ ছিলো তাই বৃষ্টিতে ভিজতেই হবে। কিন্তু আম্মু না করতেছিলো। জ্বর আসবে আরো কতো কি শুনালো আমাকে। কিন্তু আব্বু রাজি ছিলো। তবে আব্বু বললো মাথায় একটা কিছু বেধে নিতে। আমিও নেমে গেলাম বৃষ্টিতে ভিজতে। ইচ্ছা ভরে অনেক্ষন ভিজলাম। আহ কি যে শান্তি লাগছিলো তা বলার বাইরে। অনেক্ষন ভিজে এরপর বাসায় ফিরেছিলাম। উপকার ও পেয়েছিলাম সেই বৃষ্টিতে ভেজার পর। টানা কয়েকদিনের তীব্র গরমের পর বৃষ্টি যেনো আমাদের জন্য নিয়ামত হিসেবে এসেছিলো। এবার আসি গতকালের বৃষ্টির কথা। যা মজা হয়েছে শুনলে হাসবেন আপনারা। গতকাল ঘুম থেকে উঠেই দেখি ভারী বৃষ্টি হয়ে রোডঘাট সব ভেজা। আর বৃষ্টি তো পরতে ছিলো। আমি ভেবেছিলাম আজ আর বাইক নিবোনা। আবার বাসা থেকে বের হতেও দেড়ি হয়ে যাচ্ছিলো। আব্বু আর আম্মু দেখলাম আমার জন্য রেইন কোট খোজা শুরু করলো। পেয়েও গেলো।
আমি শুধু রেইন কোটটাই পড়লাম। এবার সব কিছু নিয়ে বেরিয়ে গেলাম। রেইন কোট টা বড় ছিলো তাই ব্যাগ কাধে রেখেই পড়তে পেরেছিলাম। যাক বাইক বের করে মারলাম টান। এলাকা থেকে বের হতেই দেখি বন্যার মতন হয়ে গিয়েছে। কি আর করা বাইক নিয়ে বের তো হয়েছি তাই ধরা। আবার সমস্যা হচ্ছে এই পানির ভেতর দিয়ে বাইক ধিরে চালানো যাবেনা। তাইলে সাইলেন্সর দিয়ে পানি ঢুকে যেতে পারে। তাই দিলাম টান। আহ পাশের মানুষ গুলারে ভিজাই দিয়ে পার হলাম। যদিও কেউ কিছু বলেনি। সবাই উপভোগ করেছে বিষয়টা। এবার মেইন রোডে আসার পর উলটা ঘটনা ঘটলো। সবাই এবার আমাকে ভেজানো শুরু করলো। মানে গাড়ি ওয়ালা সিএনজি ওয়ালা সবাই জোড়ে চালাচ্ছে আর তাদের চাকায় পানি ছিটে আমি ভিজে যাচ্ছিলাম। আহ কি যে মজা লাগছিলো। বৃষ্টির দিনে বাইক চালানোর মজাই আলাদা।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বৃষ্টির দিনে কখনো এভাবে বাইকে ওঠা হয়নি তবে আপনার ঘটনাটি পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন এত গরমের মধ্যে যদি একটু স্বস্তির বৃষ্টি পাওয়া যায় তাহলে সেই বিষয়টা অনেক ভালই হয়।
বৃষ্টির দিনে বাইক চালানোর মজাই আলাদা আপু।
দীর্ঘদিন পর বৃষ্টি হওয়াতে সত্যিই আমরা খুবই আনন্দিত ছিলাম। তবে এখনো আবার সেই আগের মত রোদ শুরু হয়ে গেছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর কিন্তু আমারা বৃষ্টি পেয়েছিলাম। তবে মাত্র দুইদিন কিছুটা করে বৃষ্টি হয়ে পরিবেশটা যথেষ্ট অনুকূলে এসেছিল কিন্তু আবারো রোদ গরম শুরু হতে না জানি পরিবেশটা প্রতিকূলে চলে যায়।
সত্যি বৃষ্টি আমাদের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছিলো।
বৃষ্টির দিনে যদিও জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে তবুও তো কিছু বিষয় আছে আনন্দের। তাই আমি মনে করি মাঝারি মানের বৃষ্টি তেমন একটা খারাপ না, শরীর মন যেমন জুড়িয়ে যায় তেমনি প্রকৃতিও কিছুটা শীতল হয়ে আসে।
বৃষ্টি দিয়ে বাইক চালানোর ক্ষেত্রে মজা যেমন আছে তেমনি বাইকের চাকা পিছলে অসাবধানে স্লিপ কাটার সম্ভাবনা থাকে। তাই সবাইকে সাবধানও থাকতে হবে এ ব্যাপারে যাতে নিজের নিরাপত্তা বজায় থাকে।
লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো।
আসলে দূর্ভোগ সাইডে রাখলে বৃষ্টির দিনে সুবিধাই বেশি।
বৃষ্টি সত্যি ই স্বস্তি এনে দিয়েছিল সেদিন।হ্যাং আউটের পর আমার এখানে ও বৃষ্টি শুরু হয়েছিল।তাও মাত্র ১০ মিনিট।আর আপনি তো বৃষ্টিতে ভিজলেন। বৃষ্টিতে পথে কাঁদা হয় এটা আমার কাছেও ভীষণ বিরক্তের। এছাড়া বৃষ্টি ভালো ই লাগে।বৃষ্টির দিনে যারা গাড়ি চালায় তাদের পথচারীদের কথা মাথায় রেখে গাড়ি চালানো উচিত।এতে সবার জন্য ই মঙ্গল।বৃষ্টির দিনের অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
বৃষ্টি মানেই তো স্বস্তি।
বৃষ্টি হলে রাস্তায় কাদা হয়, এই জিনিসটাই আমার কাছে ভালো লাগেনা। বাহিরে না গিয়ে বাসায় থাকলে বৃষ্টি খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়। বৃষ্টিতে আসলেই স্বস্তি। পরিবেশটা যেমন ঠান্ডা হয়ে যায় তেমনি চারপাশ যেন সতেজ হয়ে ওঠে। ধুলোবালি সব পরিষ্কার হয়। আপনি লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
কাদা আমারো ভালো লাগেনা। তবে ঠান্ডা আবহাওয়া ভালো লাগে।