উইনার উইনার চিকেন ডিনার || পাবজি মোবাইলে ম্যাচ এর অনুভুতি।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আমার যাচ্ছে মোটামুটি ভালোই। যদিও গরম এর কারণে খুবই ঝামেলায় পরতে হয় দিনের বেলায়। অনেক কষ্ট হয়। কারণ গরম আমি একদমই সহ্য করতে পারিনা। গরমে সত্যি খুব খারাপ লাগে ইদানিং ধরে। কিন্তু এভাবেই আমাদের মানিয়ে নিতে হবে যে। তো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি পাবজি মোবাইল ক্লাসিক ম্যাচ এর বর্ণনা। আশা করি ভালো লাগবে।
অনেকদিন ধরেই পাবজি খেলা হচ্ছিলোনা। খেলবো কিভাবে আপনারাই বলুন। সময়ই পাইনা যেখানে সেখানে খেলবো কিভাবে? যাক তবে কয়দিন ধরে আবহাওয়া যখন একটু ঠান্ডা ছিলো তখন মন চাচ্ছিলো পাবজি খেলি। আসলে ফেসবুকে মাঝে মাঝে পাবজির ভিডিও গুলো আসলে একটু কষ্ট লাগে। আগে কতো মজা করতাম পাবজিতে। অনেক গুলো বন্ধু পেয়েছিলাম পাবজি গেম এ। কয়দিন আগে রাতে আরাফ নামে এক ছোট ভাই যার সাথে পাবজিতেই পরিচয় হয়েছিলো ও নক দেয়। জিজ্ঞেস করে পাবজি খেলি কিনা। আমি বললাম না খেলা হয়না। তখন ও একটু প্যারা দিলো গেমটি নামানোর জন্য। তখন আমি ওর কথা মতন গেম ডাউনলোড করলাম। এরপর খেলা শুরু। সাথে আমাদের আরেকটিম মেট জেমি কেও ডাকলাম। পুরোনো আরেক টিমমেট লাবিবার সাথেও খেলা হলো। রেন্ডম কিছু মানুষদের সাথেও পাবজি খেলা হলো। তো একটা ম্যাচ এ কিছু স্ক্রিন শট রেখেছিলাম। ওই ম্যাচ এ ২০ কিল করে চিকেন ডিনার ছিনিয়ে আনি। আর সে গল্পই আজ বলবো। আসলে পাবজি আমার কাছে ইমোশন এর যায়গা। অনেক স্মৃতি মিশে আছে এই পাবজি গেম এ। কতই না মজা করতাম একটা সময়ে আমরা।
পাবজি ডাউনলোড করার পর দেখি নতুন এক মোড চলতেছে সেখানে। নতুন এই মোড এর নাম Skyhigh Spectacle। ইভেন্ট এর ভিতর অনেক কিছু রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জিনি, আলাদিন মুভির সেই ম্যাজিক কার্পেট। সাথে ভাসমান নৌকা। দুই পাশে দুইটি ভাসমান আইল্যান্ড ও রয়েছে। যেগুলোর নাম নিমবাজ আইল্যান্ড। আমরা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেই যে নিমবাজ আইল্যান্ড এ নামবো। টিমমেট হিসেবে ছিলো জেমি ও ওর এক বন্ধু। ওরা মোটামুটি ভালো খেলে। আমরা কেউ প্রফেশনাল খেলোয়ার না। সবাই মোটামুটি খেলি আরকি। তো আমরা ৩ জন ছিলাম। আর অন্য একজন প্লেয়ার ছিলো রেন্ডম থেকে। উনিও বাংলাদেশি ছিলেন। ল্যান্ডিং এর দায়িত্ব আমার ঘারেই ছিলো। এক সময় ল্যান্ডিং এ এক্সপার্ট ছিলাম আমি। তো ওয়েটিং লবিতে অনেক্ষন দুস্টামি ফাইজলামি করে আমাদের প্লেন এ উঠালো। নিমবাজ আইল্যান্ড এ নামলাম। কপাল ভালো থাকায় গান ও পেয়ে গেলাম। এবার শুরু আমাদের একশন। ভালো ফাইট হলো নিমবাজ আইল্যান্ড এ। আমি ৫ কিল পেয়েছিলাম। আর নিমবাজ আইল্যান্ড আমাদের ৪ জনের দখলেই ছিলো। বাকি রাও ভালো খেলেছে। নাইলে সেখানে টেকা কষ্টকর। আমরা ব্যাগ ভর্তি করে লুট করলাম। সেখানে স্পেশাল লুট ছিলো। যেহেতু আর কেউ ছিলোনা তাই আমরা নিমবাজ আইল্যান্ড থেকে এক্সিট মারলাম। এখন নিচে নেমে ফাইট করবো এনিমিদের সাথে।
ওখান থেকে আমরা পচিংকি তে নামি। সেখানে একটা এনিমি স্কোয়াড আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরা সেখানে ওদের হারিয়ে দেই। সবার কিল চুরি করেছি অপবাদ দিয়ে টিমমেট রা আমাকে ছেড়ে চলে গেলো। এবার আমি একা খেলা শুরু করলাম। যেখানে এনিমি পাচ্ছিলাম সেখানেই ফাইট নিচ্ছিলাম। দু একবার তো প্রায় নক আউট হয়ে যেতে যেতে বেচে গিয়েছিলাম। সাথে ছিলো ম্যাজিক কার্পেট ওটা দিয়ে উড়ে উড়ে এনিমি স্কুয়াড খুজেছিলাম। শেষে শুটিং রেঞ্জ এর দিকে জোন ছোট হয়ে আসে। সেখানে সবাই শেষ দুইটা এনিমি খুজতেছিলো। আমি একটার সন্ধ্যান পেয়েও যাই। এবার সেটারে ফিনিশ দিতেই আমাকে অন্য এক এনিমি হিট করে। কোনো মতে শুয়ে পরে হিল করি। এরপর সেটাকেও ফিনিশ দেই। বেস। আমাদের চিকেন ডিনার হয়ে গেলো। পুরো ম্যাচ এ মোট ২০ কিল করেছিলাম।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR