এলোমেলো আলোকচিত্র ( পর্ব ১৯ )

in আমার বাংলা ব্লগ17 days ago
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক এইবারের পর্বে কি কি আলোকচিত্র থাকছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই আলোকচিত্রটি হলো একটি ফুলের। আর এই ফুলগুলোকে আশা করি আপনারা অনেকে চিনে থাকবেন। এই ফুলগুলোকে কাঠগোলাপ বলা হয়ে থাকে। তবে এই কাঠগোলাপের বিভিন্ন ভাগ আছে, যেমন এই ফুলগুলো একদিকে দুধের মতো সাদা এবং মাঝে হলো হালকা-গাঢ় হলুদ। আরও একটা আকর্ষণীয় কালার আছে গোলাপি। এই ফুলগুলো দেখতে অসাধারণ লাগে, তবে এই গোলাপি কালারেরগুলো আমাদের এখানে কিন্তু তেমন একটা দেখা যায় না, বেশিরভাগটাই সাদা কালারের দেখতে হয়ে থাকে। তবে এই ফুলগুলোকে আরো এক প্রজাতি হিসেবে নাগের নামে নামকরণ করে নাগচম্পাও ডাকে। আমাদের এশিয়ার দিকে বাঙালি নামে অনেক অদ্ভুত ক্যাটাগরির নাম আছে, যেমন শুনলে হাসি লাগবে আবার নামগুলো বেশ আকর্ষণীয়ও লাগে। এই কাঠগোলাপ ফুলগুলো বা এর উদ্ভিদের গঠনের দিক থেকে অনেক দ্রুত বর্ধনশীল হয়ে থাকে। যাইহোক, আর আরো অনেক বিষয় আছে। এই ফুলগুলো একটি কলেজের গার্ডেন থেকে তুলেছিলাম।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ১১ জুলাই ২০২৩


Photo by @winkles

Photo by @winkles

এইটা একটা ড্রিঙ্কের আলোকচিত্র। আর এইটা একটা রেস্টুরেন্ট থেকে তুলেছিলাম। এই মকটেল টার নাম হলো মজিত, এটি খেতে অনেক টেস্ট লাগে। কারণ এতে এই পুদিনা পাতা সহ আরো অনেক কিছুই দিয়ে থাকে। কিন্তু এটা শুধু দিলেই হয় না, যদি ভালোভাবে না তৈরি করা যায়, তাহলে খেতে ভালো লাগবে না। এই মজিত মকটেল যেখানে তৈরি করতে বলেছিলাম, এরা ঠিকভাবে তৈরি করতে পারেনি আসলে, তেমন একটা ভালো লাগেনি। শুধু পেপসির স্বাদটা পেয়েছিলাম, বাকি যে মূল টেস্ট সেটা ছিল না। যাইহোক, এটা খাওয়ার মুহূর্তে একটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩


Photo by @winkles

Photo by @winkles

এটা খাবারের আলোকচিত্র। এটা কাছাকাছি একটা রেস্টুরেন্ট থেকে তুলেছিলাম। ষ্টার বিরিয়ানি নামে একজন আমাদের এখানে রেস্টুরেন্ট দিয়েছে, কিন্তু কখনো যাইনি। সবাই বলে ভালো বিরিয়ানি দেয় আর সাথে আনলিমিটেড এক্সট্রা বিরিয়ানি দিয়ে থাকে। তাই ভাবলাম একদিন যেয়ে দেখা যাক কেমন স্বাদের। রেস্টুরেন্ট বেশ বড়ো, কিন্তু এর এখানে তেমন কোনোদিন লোকই দেখিনা। বিরিয়ানিটা আবার কলা পাতায় করে দিয়েছিলো, কলা পাতায় দিলে বেশ ভালো লাগে খেতে। তবে বিরিয়ানির সাথে একটা চিকেন চাপ নিয়েছিলাম, কিন্তু চাপটা ছিল খুবই বাজে কোয়ালিটির, এতে দেখতে ভালো লাগছে ঠিকই, গ্রেভি সব মিলিয়ে দিয়েছিলো ঠিকই, কিন্তু একদম ভালো লাগেনি। তবে বিরিয়ানিটা মোটামুটি খারাপ লাগেনি, এটা ভালো ছিল খেতে আর কোয়ান্টিটিও মোটামুটি ভালো দিয়েছিলো।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ৭ অক্টোবর ২০২৩


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এই ছবিগুলো তুলেছিলাম দুর্গাপুজোর সময়ে। দুর্গাপুজোর সময়ে আমাদের পাড়ার দিকে এই প্যান্ডেলটি সাজিয়েছিল বেশ ভালোই, এই যে ড্রাগনের চিত্রটি দেখছেন, এটা কাঠেরই তৈরি করা, কিন্তু দেখে কিন্তু সিমেন্টের বা মাটির করা মনে হচ্ছে। এইগুলো জাস্ট আগে থেকে করা থাকে, ডেকোরেশন এর জন্য এইগুলো এনে সাজায় এরা। ড্রাগনটিকে দেখতে বেশ ভালো লাগছিলো প্রবেশ দ্বারের দিকে। এরপর ভিতরের দিকে একটি ঝাড়বাতির ছবি তুলেছিলাম। ঝাড়বাতিটির ডিজাইনটা আমার কাছে বেশি ভালো লাগছিলো। এরপর কয়েকটা মূর্তির ছবি তুলেছিলাম, এখানে এক পাশে গণেশ এবং মা লক্ষীর মূর্তি। আর অন্য পাশে কার্তিক এবং মা স্বরস্বতীর মূর্তি আছে। এই মূর্তিগুলো দেখতে অনেক সুন্দর ছিল।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ২০ অক্টোবর ২০২৩


Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এইটা তুলেছিলাম আমার বাইকের পুজো দেওয়ার সময়ে। কেনার পরেরদিন নিয়ে চলে গিয়েছিলাম আমাদের এখানে আমডাঙায় পুজো দিতে। ভেবেছিলাম দক্ষিনেশ্বরের দিকে নিয়ে যাবো, কিন্তু এটা কাছাকাছি থাকায় এখান থেকে দিয়ে নিয়েছিলাম। আর এখানে পুজো দিতেও টাকাটা কম নিয়ে থাকে। তবে দিতে অনেক দেরি হয়েছিল, কারণ আমি যখন গিয়েছিলাম তখন বন্ধ করে দিয়েছিলো আর আবার সেই বিকেল ৪ টার দিকে গিয়ে খুলেছিলো। অনেক্ষন পরে পুজোর সব জিনিস কিনে নিয়ে এসে পুরোহিতের কাছে দিয়েছিলাম, এরপর পুজো দিয়ে দেওয়ার পরে সন্ধ্যার দিকে চলে এসেছিলাম। প্রথম বাইক কিনে পুজো দেওয়ার অনুভূতিটাই আলাদা লাগে।


ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: কলকাতা
তারিখ: ৭ নভেম্বর ২০২৩


শুভেচ্ছান্তে, @winkles


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

Sort:  
 16 days ago 

দাদা আপনি সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।সবগুলো ফটোগ্রাফি জাস্ট অসাধারণ ছিল।কাঠগোলাপ ফুল সাদাগুলো বেশ সুন্দর লাগে।তবে গোলাপী গুলোও দারুন।তবে খুব একটা দেখা যায় না ওই ফুলগুলো।এটা ঠিক বলেছেন ফুলগুলোর আঞ্চলিক অদ্ভুত নামগুলো শুনলে আমাদের হাসি পায়।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 16 days ago 

দাদা আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ কিছু অসাধারণ ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে বেশ অসাধারণ লেগেছে। রেস্টুরেন্ট থেকে সংগ্রহ করা খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুন ছিল। আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে মজিত সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। এটি খেতে নাকি বেশ টেস্টে ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 16 days ago 

দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা যার মধ্যে সর্বপ্রথম শেয়ার করে সাদা কাঠ গোলাপের সৌন্দর্য সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। স্বচ্ছ ফটোগ্রাফি গুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 16 days ago 

কাঠগোলাপ এই ফুল কমবেশি সবারই অনেক বেশি প্রিয় আমার কাছেও তার ব্যতিক্রম কিছু নয় তবে আপনি কিন্তু একদম চমৎকারভাবে কাট গোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন তাছাড়া ও বাকি ফটোগ্রাফি গুলিও একদম দৃষ্টিনন্দন হয়েছে দাদা। কিছু কিছু রেস্টুরেন্ট আসলে এরকমই শুধু নামেই কাটে কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে ঘোড়ার ডিম। বাইকটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে দাদা। সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে দাদা।

 16 days ago 

অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। আর খুবই সুন্দর বর্ণনা করেছেন। বিশেষ করে আপনার বাইকটা দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো। আর এই বাইকটা কেনারও খুব ইচ্ছা করছে। আসলে প্রত্যেকটা ছেলের একটা করে বাইকের স্বপ্ন থাকেই।সব গুলো ফটোগ্রাফি অসাধারণ ছিলো। দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো।

 16 days ago 

চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন দাদা।ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে দারুন লেগেছে।কাঠ গোলাপ ফুল আমার ভীষণ পছন্দের ফুল।প্রথমেই ফুলের ফটোগ্রাফিটি দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সুন্দর বর্ননায় আরো বেশী ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর বর্ননায় চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।

 16 days ago 

দাদা কাঠগোলাপ ফুল আমার কাছেও দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আমাদের এখানে কিন্তু কাঠগোলাপের আরো অনেকগুলো কালার দেখা যায়। সেগুলো দেখতে অসাধারণ লাগে। আপনার ‌মাধ্যমে আজকে অন্যরকম একটা ড্রিঙ্কস দেখতে পেলাম। এই ড্রিংকস এর নাম মজিত সেটা আমি প্রথমবার শুনলাম। আর দাদা বিরিয়ানির ফটোগ্রাফিটা ও কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে দাদা। বিশেষ করে কলাপাতায় দেওয়ার কারণে বেশি ভালো লেগেছে। তবে চিকেন চাপটা দেখছি আপনার অনেক ভালো লাগেনি। তার সাথে আপনার বাইকের পুজো দেওয়ার দৃশ্যটাও কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে।

 17 days ago 

অনেক চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দাদা। কাঠগোলাপ ফুল আমার অনেক প্রিয়। কাঠগোলাপ আমি সাদা কালারের গুলো বেশি দেখেছি, গোলাপী কালারগুলো আমার দেখা হয়নি। বিরিয়ানির সাথে নেওয়া চিকেন চাপ দেখে প্রথমে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছিলো কিন্তু আপনার লেখা বর্ননা পড়ে বুঝতে পারলাম চিকেন চাপটি খেতে খুব বেশি ভালো ছিল না। সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগলো দাদা আপনার ফটোগ্রাফি পোস্টটি। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।

 16 days ago 

কাঠগোলাপ ফুল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। সাদার মধ্যেও বেশ কয়েক ধরনের ভাগ দেখা যায়। আমাদের বাসায় একটা গাছ রয়েছে সেখানকার ফুল গুলো সাদা তবে মাঝখানে হলুদ রংটা একটু বেশি থাকে। গোলাপী রঙের কাঠ গোলাপ ফুল গুলো দেখতে ভালো লাগে। এই মজিত টা একবার বাসায় তৈরি করেছিলাম ভালোই লেগেছে খেতে তবে বাইরে কখনো খাওয়া হয়নি। কলা পাতায় বিরিয়ানির ফটোগ্রাফি টাও দারুন হয়েছে। বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 67730.39
ETH 3820.69
USDT 1.00
SBD 3.55