নতুন প্রবীণদের নিয়ে আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পর্ব ০৮

in #storylast month

কানাডা প্রবাসী নাতাশা দেশে অবস্থানকারী মাকে ফোনে বলে, আম্মু তুমি কি বয় ফ্রেন্ড জোগাড় করতে পারলে? নাতাশার মা মলি বললো, বয় ফ্রেন্ড কি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়? নাতাশা বললো, আমি কি বলেছি বয় ফ্রেন্ড বাজারে পাওয়া যায়? তোমার এত সামাজিক যোগাযোগ, কাউকে বেছে নাও। তোমার একাকী জীবন আমাকে চিন্তিত করে। টানা দশ বছর আমেরিকায় বসবাস করেও তোমার মন বসলো না । পৃথিবীর সবচাইতে নোংরা শহর তোমাকে আকর্ষণ করলো ! মলি বিরক্ত হয়ে বললো, লেখাপড়া করতে আমেরিকা কানাডা পাঠালাম, তোমাদের দু বোনের বিয়ে দিলাম । তোমাদের বাচ্চাদের লালন-পালন করলাম ।

IMG_6585 copy.jpg

তোমার আব্বার সহায়-সম্পদ বিক্রি করে টাকা দিলাম। এতকিছু করেও তোমাদের রাখতে পারলাম না। মায়ের দেয়া ফ্ল্যাট পেয়েছি আর নিজের পেনশন । বান্ধবীদের আড্ডায় মলি বললো, মেয়েরা চায় আমি বিয়ে করি, না করলে অন্তত পক্ষে একজন বয় ফ্রেন্ড যেন জোগাড় করি। ঘটককে বায়োডাটা দিয়েছিলাম। ওরা এমন সব আবোলতাবোল লোক নিয়ে আসে, দেখলে গা রি রি করে উঠে। পঁয়ত্রিশ চল্লিশ বছরের পাত্র পর্যন্ত নিয়ে হাজির। ঘটক বলেছে, আমার দেশে বিদেশে প্রচুর ধনসম্পদ রয়েছে, এসব দেখাশোনা করার জন্যই বিয়ে, নামাজী পরহেজগার হতে হবে, স্ত্রী থাকলেও অসুবিধা নাই। সেলসম্যান, মৌলভী, স্কুল শিক্ষক, ইমামসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের ভিড়ে মানসম্মান যায় যায় অবস্থা। মাঝখানে ঘটক পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে গেল । মলির মা ঢাকার নামকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আর বাবা ছিলেন আমলা। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ছেলেরা ঘুর ঘুর করেছে। শেষ পর্যন্ত একজনকে পছন্দ হলো আর তাঁকেই বিয়ে করলো । বিয়ের দশ বছরের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী মারা গেলেন। তারপর চাকরি, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা, সেবাযত্ন করতেই সময় চলে গেছে। নিজের দিকে

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.11
JST 0.027
BTC 64830.63
ETH 3391.10
USDT 1.00
SBD 2.33