শ্রদ্ধেয় ভাই,বোন এবং বন্ধুরা,আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আজকে আমি সকলের সামনে হাজির হলাম একটি নতুন পোস্ট নিয়ে।পোস্টের বিষয়বস্তু হলো-"আমার বর্তমান ও অতীতের কয়েকটি আলোকচিত্র"।আজ অনেকদিন হলো কোন ফটোগ্রাফি পোস্ট করা হয় না।তাই বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাস থেকেই কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম এবং অতীতের গুলো আমার ফোনের গ্যালারিতেই ছিল।আশা করি আমার ফটোগ্রাফি পোস্টের শেষ পর্যন্ত আপনারা থাকবেন।

ছবিটি আজ বিকেলে আমাদের কলেজ ক্যাম্পাস থেকে তোলা।মাঝে মাঝে আমার মন খারাপ থাকলে এই পুকুর পাড়ে বসে সময় কাটানোর পর আমার মনটা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়।পুকুরের চারিদিকে সবুজের হাতছানি এবং মাঝে মাঝে পুকুরে মাছদের খেলা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।

পরিত্যক্ত বিল্ডিংটা উপরের পুকুরের ছবির পাশেই অবস্থিত।এটির নির্মাণকাল পাকিস্তানি আমলে এবং প্রায় ২০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।প্রথমে যখন কলেজে এসেছিলাম তখন এর ঘরগুলোর দিকে তাকালেই ভয় লাগতো।কিন্তু এখন সময়ের সাথে সাথে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

পুকুরের পাড়েই বিকেল পেরিয়ে গোধূলীবেলার মুহুর্ত।সারাদিনের ভিতর এই সময়টা আমার কাছে দারুণ লাগে।কারণ প্রকৃতি যেন তার অপরূপ সাজে এই সময়টাতেই সেজে উঠে।আর কার্তিক মাসের ঠান্ডা হাওয়া তো ছিলই দেহটাকে শীতল করে দেওয়ার জন্য।

এই ছবিটি ঠিক সন্ধ্যার সময় তোলা।চারিদিকে অন্ধকার হয়ে আসছে আর সূর্য অস্তমিত হবার রক্তিম আভাগুলো শুধু অবশিষ্ট আছে।

এই ছবিটি প্রায় এক বছর আগের।ভোরে ধান ক্ষেতের পাশ থেকে তোলা।শিশিরগুলো এখনো ধানের পাতায় জমে আছে।আমার সব থেকে ভালো লাগে ভোরবেলায় সূর্য ওঠার সময়টা।সূর্যের আলো শিশির বিন্দুর উপর পড়লে এগুলো মুক্তোর মতো জ্বলজ্বল করে এবং কিছু সময় পর ঝরে যায়।জাস্ট অসাধারণ এক মুহূর্ত ছিল এটি।

আবাদি জমির পাশেই এই বিলটির অবস্থান।বিলের পানি দিয়েই সাধারণত এখানে সেচ কার্য হয়।বিলটি কৃষকদের জন্য যেমনি উপকারী তেমন এর প্রাকৃতিক দৃশ্যও খুব সুন্দর।বর্ষাকালে এই বিলে প্রচুর দেশীয় মাছের সমারোহ দেখা যায়।

দিনশেষে সন্ধ্যাবেলায় ধান ক্ষেতের পরিবেশ।এই সময়টায় গ্রামীণ পরিবেশ এতো সুন্দর লাগে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।গ্রামে থেকে এই পরিবেশে যারা বেড়ে ওঠে আমার মতে তারাই সব থেকে সুখী মানুষ।

এই ছবিটি কয়েকমাস আগে মেঘনা নদীর পাড় থেকে তোলা।সময়টা ছিল সূর্য অস্তমিত হওয়ার মুহূর্ত।যারা নদীতে লঞ্চ বা নৌকায় ভ্রমণ করেছেন তারাই বুঝতে পারবেন এই সময়ে নদীর পরিবেশ ঠিক কেমন থাকে।চারিদিকে অথৈ পানি এবং ঝিরিঝিরি নির্মল বাতাস সব মিলিয়ে পরিবেশটা অনেক রোমান্টিক ছিল।

এই ছবিটিও একই জায়গা থেকে উঠানো।ছবিটি ক্লিক করার সময় বুঝতে পারি নাই তবে পরে ভাবলাম ছবিটি কোন শিল্পীর রঙ তুলিতে আঁকা এক অসাধারণ দৃশ্যপটের মতো দেখা দেখাচ্ছে।ছবিটি তোলার সময় হঠাৎ একটি প্রজাপতি সামনে চলে আসে আর এটিও সেই চমৎকার মুহূর্তে ক্যামেরাবন্দী হয়ে যায়।

উপরের ছবিটা রংপুরে ঘুরতে যাওয়ার সময় উঠানো।প্রায় ২ বছর আগের।জায়গাটি ছিল একটি শালবল।এই বনকে বিভক্ত করেছে একটি খাল তাই বনের এপাড় থেকে ওপাড় যাওয়ার জন্যই মূলত এই ব্রীজটি তৈরি।মজার বিষয় হলো এই ব্রীজটিও শাল কাঠ দিয়ে তৈরি।জায়গাটিতে আমার খুব সুন্দর একটি সময় কেটেছিল।

তো এই ছিল আমার আজকের পোস্ট।আমার পোস্টে আপনাদের ভালো লাগার মাধ্যমেই আমি স্বার্থকতা এবং কাজ করার অদম্য উৎসাহ খুজে পাই।সর্বোপরি আমার আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টটি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

---

🌻ধন্যবাদ আমার পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্য।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ আমার পাশে থেকে সাপোর্ট করার জন্য❤️