গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিমান পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজন।
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিমান পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজন এই বিষয় সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
ভোর বেলার প্রাকৃতিক আবহাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূলে থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রাকৃতিক আবহাওয়া বেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠে। যারা ভোর বেলায় বাইরে বের হয় তারা প্রাকৃতিক আবহাওয়া বেশ চমৎকার ভাবে উপভোগ করতে পারে। রমজানের সময় সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে গরম তেমন একটা পড়ে নি। কয়দিন পরপর বৃষ্টি হয়েছে প্রাকৃতিক আবহাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ অনুকূলে ছিলো । কিন্তু বৈশাখ মাস আসার সাথে সাথে গরমে তীব্রতা খুবই বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল ৯ টার পরে বাইরে বের হওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এই বছর দেশের বিভিন্ন জায়গায় এতো অতিরিক্ত গরম পড়েছে আগের বছরের গরমের তাপমাত্রার সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।
এখন দেশে প্রতিদিন ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা গরম পড়তেছে। এই প্রচন্ড গরমে শিশু এবং বৃদ্ধের বেশ কষ্ট হচ্ছে। বিশেষ করে বাইরের শ্রমজীবী মানুষদের খুবই কষ্ট হচ্ছে । আসলে এতো অতিরিক্ত গরম সহ্য করা খুবই কষ্টকর। গরমের সাথে সাথে বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিং এর কারণে জীবন খুবই দুর্বিষ হয়ে পড়েছে। আসলে গরমে কি যে কষ্ট হচ্ছে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। প্রচন্ড গরমে চারদিকে উত্তপ্ত বাতাস বয়ে চলছে। অতিরিক্ত গরমে শরীরের পানি ঘাম হয়ে ঝরে পড়ছে। এই প্রচন্ড গরমে প্রতি মুহূর্তে গলা শুকিয়ে যায় । বিশেষ করে যারা বাইরে থাকে তাদের পানির তৃষ্ণা খুব পেয়ে থাকে।
কিন্তু দেখা যায় হাতের কাছে পানি না থাকার কারণে পর্যন্ত পরিমাণ পানি খাওয়া হয় না। অনেকে ঠান্ডা অর্থাৎ ফ্রিজের পানি না পাওয়ার কারণে নরমাল পানি খায় না। এই বিষয়টা কিন্তু ভুল ধারণা আমাদের জন্য। অতিরিক্ত গরমে ঠান্ডা পানি খাওয়া ভালো কিন্তু ঠান্ডা পানি না পেলে নরমাল পানি খেতে হবে। কারণ পানি না খেলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিবে। প্রচন্ড গরমে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি না খাওয়া উত্তম। আমাদের শরীরে প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগই পানি। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পানি পানের বিকল্প নেই। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক ও কর্মক্ষম সবাই জন্য প্রতিদিন দুই থেকে তিন লিটার পানি পান করা প্রয়োজন।
অতিরিক্ত গরমে আরো বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। কারণ গরমে ঘামের সাথে শরীরের পানি বের হয়ে যায়। যারা বাইরে গরমের মধ্যে কাজ করে তাদের বেশি করে পানি পান করা খুবই প্রয়োজন। দেখা যায় কাজের ব্যস্ততা এবং হাতের কাছে পানি না হওয়ার কারণে খুবই তৃষ্ণার্ত থাকার পরেও পানি পান করা হয় না। এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তৃষ্ণার্ত পেলে পানি পান করতে হবে। গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিমান পানি পান না করলে মানবদেহে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। পানির ঘাটতি থেকে রক্তচাপ কমে যেতে পারে। এই থেকে শরীরে রক্ত চলাচল কমে যেতে পারে তাছাড়া আরো অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই গরমে পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিমান পানি উচিত আমাদের।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের কবিতা আরো উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন । এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
গরম একেবারে ঠান্ডা পানি খাওয়া কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। যদিও এটা খুব কমই আমরা মেনে চলি। গরমে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে এটা ঠিক। তবে শুধু পানি না বরং এটাকে বিশুদ্ধ পানি বলায় ভালো । ভোরবেলার বাতাস সবচাইতে পরিষ্কার থাকে। এবং এই বাতাস সবার ভাগ্যে জোটে না।
পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদান করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
এই বিষয়টা আমার নিজের সাথেও হয় পানি তুলনামূলক একটু গরম রয়েছে তাই সেটা এভয়েড করি একটু ঠান্ডা পানির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে তারপরে পানি খাই । গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা লিখেছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্টটি পড়ে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
গরম যতই পড়ুক না কেন, ঠান্ডা পানিটা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি খারাপ। কারণ ঠান্ডা পানি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না একেবারে। তবুও মানুষ তো থেমে থাকতে পারতেছে না। আসলে মানুষই বা কি করবে। এই গরমে ঠান্ডা পানি ছাড়া কোন নরমাল পানি খাওয়া হলে গলা ভিজতেছে না। ঠান্ডা পানি খাওয়া হলেই তৃপ্তি পাওয়া যায়। কিছুক্ষণ পর পর পানি খাওয়া অনেক বেশি জরুরি। এই গরমে সবারই কিছুক্ষণ পর পর পানির তৃষ্ণা পায়। আর আমাদের আশেপাশে আমরা যেখানেই থাকি না কেন পানিটা রাখা সব থেকে বেশি প্রয়োজন।
পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাই যেমন প্রচন্ড গরম পড়ছে এই মুহূর্তে কিন্তু আমাদের অতিরিক্ত পানি পান করা প্রয়োজন। আমরা যত বেশি পানি পান করবে তত আমাদের শরীর ভালো থাকবে। আপনি খুব সুন্দর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আপনার মন্তব্য পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলেই বর্তমান সময়ে এতটা বেশি গরম পড়তে যে এই গরমের সময় বৃদ্ধ এবং ছোট শিশুদের অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে। বর্তমান এমন একটা পরিবেশ এই সময় আমাদের সকলেরই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। আমরা অনেকেই আছি যারা কাজ করার সময় হাতের কাছে পানি না থাকায় তৃষ্ণার্ত অবস্থায় কাজ করে যায় এটা আসলে আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এ সময় আমাদের বেশি বেশি পানি পান করা উচিত বেশি বেশি পানি পান করলে শরীর এবং স্বাস্থ্য দুটোই ভালো থাকবে। ধন্যবাদ সতর্কতামূলক একটা পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
জি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন, তৃষ্ণার্ত অবস্থায় পানি না খাওয়া শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। ধন্যবাদ আপনাকে দুর্দান্ত অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
নয়টার পর নাকি ঢাকাতে তো ৭.৩০ এর পর পরই অনেক রোদ উঠে,সকাল বেলাও অনেক গরম থাকে।এটা ঠিক রোজার সময় আল্লাহর রহমত ছিলো।যদিও ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাওয়া ঠিক না তবে এত গরমে ঠান্ডা পানি না খেলে মনে হয় তৃপ্তি মিটে না।যাই হোক খুব ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ
আপনি ঠিক বলেছেন আপু, গরমে ঠান্ডা পানি না খেলে তৃপ্তি মিটে না। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি না খাওয়া ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু ।
যত বেশি গরম হোক না কেন ঠান্ডা পানি থেকে বিরত থাকতে হবে আমাদের সবাইকে। আমি তো ঠান্ডা পানি এখন একেবারেই খাই না মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়। সব সময় নরমাল পানি খাওয়ার চেষ্টা করি আমি। আর এই গরমে বেশি বেশি পানি খাওয়ার চেষ্টা করি। আপনি কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে আজকে আলোচনা করেছেন। যেটা আমার অনেক ভালো লেগেছে। যে পরিমাণ গরমের তাপমাত্রা বেড়েছে এই সময় নিজের সাথে করে পানি রাখা বেশি জরুরী।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
বর্তমান সময় অতিরিক্ত গরম। আর অতীতের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে এখন গরমের তাপমাত্রা। তবে এটি ঠিক বলেছেন যারা শ্রমজীবী এবং ছোট তাদের জন্য বেশি কষ্ট হচ্ছে গরমের কারণে। আর এই গরমে সবাই পানি বেশি খেতে হবে। যেভাবে মানুষের শরীর দিয়ে ঘাম যাচ্ছে সেই হিসেবে পানি খেয়ে সেই পানির স্বল্পতা পূরণ করতে হবে। আর সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন থাকতে হবে। সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু, এই বছরের গরম অতীতের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো অসাধারণ মন্তব্য করার জন্য।
শুধু গরমে নয়, পানি সারা বছর খাওয়াই শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তবে গরমের মধ্যে পানি পান করলে শরীরের ভেতর অনেক ঠান্ডা থাকে। তবে এই গরমের মধ্যে পানি পান করে বাহিরে বের হলে সব পানি বের হয়ে যায় ঘাম আঁকারে।তাই গরমের সময় পানি পান করে ঘরের মধ্যে থাকাই উত্তম। আপনি খুবই সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পোস্টটি পড়ে এতো দুর্দান্ত অনুভূতি শেয়ার করে উৎসাহ প্রদান করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
তবে এটি একদম ঠিক বলেছেন ভাই এই বছর গরম যেভাবে পড়তেছে আগের বছরে গরমের রেকর্ড ভেঙে দিতেছে। তবে এখন সকালবেলা অতিরিক্ত গরম পড়ে। বিশেষ করে বাইরে যাওয়া যায় না। তবে যারা কাজ করে তাদের জন্য বেশি অসুবিধা হয়। আর এই গরমে তরল জাতীয় এবং পানি বেশি খেতে হবে। গরমের কারণে আমাদের শরীর থেকে অনেক ঘাম বাইর হচ্ছে। আর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেয়ে এই গাট্টি পূরণ করতে হবে। সত্যি আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার মন্তব্য পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।