জেনারেল রাইটিং : মানুষ রূপের অমানুষ চেনা অনেক কঠিন।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
রোজ বুধবার ।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। আমদের সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা সুন্দর অভিনয়ের মাধ্যমে সব কিছু হাসিল করার চেষ্টা করে। সুক্ষ দক্ষতার মাধ্যমে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে। এবং সেই বিশ্বাসে কাজে লাগিয়েই সময় মত তারা তাদের নিজেদের কার্য হাসিল করে নেয়। মানুষেক অন্যায় ভাবে দোষী বানায় কিন্তু তার কোন ভুমিকা সেখানে উপলব্ধি করা যায় না। মানুষ রূপের এই সকল অমানুষ গুলা দেখতে মানুষের মতো কিন্তু তাদের মন হলো অপবিত্র। উপর উপর ভালো দেখায় কিন্তু তলে তলে সে একজন সমাজের চোখে অপরাধী হিসাবে চিহ্নিত করে।
মানুষ রূপের অমানুষ চেনা সত্যিই কঠিন কারণ মানুষ স্বভাবতই বহুরূপী। তাদের মনোভাব, আচরণ এবং কথাবার্তা একেক সময় একেক রকম হতে পারে। অনেক সময় কেউ বাইরে থেকে শান্ত, দয়ালু বা সদয় মনে হলেও ভেতরে তারা সম্পূর্ণ বিপরীত হতে পারে। এই বহুমুখী চরিত্রের কারণে একজন ব্যক্তির প্রকৃত রূপ বোঝা সহজ নয়। বহু মানুষ নিজেদের সত্যিকারের চিন্তাভাবনা এবং আবেগকে প্রকাশ না করে সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য মিথ্যা মুখোশ পরে থাকে। তারা তাদের প্রকৃত রূপ আড়ালে রেখে কৌশল করে চলতে পারে। কেউ হয়তো অতিমাত্রায় বিনয়ী, সদালাপী, কিংবা সাহায্যপ্রার্থী সেজে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারে। কিন্তু যখন সুযোগ আসে তারা সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিতে দ্বিধা করে না।
অনেক মানুষ অন্যদের আবেগকে শোষণ করতে দক্ষ। তারা জানে কিভাবে মানুষের সহানুভূতি, প্রেম, বিশ্বাস বা অন্য মানবিক অনুভূতিগুলোকে কাজে লাগানো যায়। এ ধরনের মানুষ সুকৌশলে বন্ধুত্ব, সম্পর্ক বা পারিবারিক সংযোগ গড়ে তুলে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে পারে। তারা প্রয়োজন ফুরোলেই সম্পর্ক ছিন্ন করতে দ্বিধা করে না। অনেক অমানুষ নিজেদের প্রকৃত উদ্দেশ্য আড়াল করতে অভিনয় করে। তারা পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে এবং নিজেকে এমনভাবে উপস্থাপন করে যে কেউ বুঝতেই পারে না তাদের প্রকৃত অভিপ্রায় কী। এমন মানুষদের আচরণ খুবই সূক্ষ্ম এবং এমনভাবে সাজানো থাকে যে প্রথমে তারা নৈতিক, সৎ বা বিশ্বস্ত বলে মনে হয়।
অনেক সময় অমানুষ প্রকৃতির মানুষ ধূর্ত কৌশলে অন্যদের জীবনকে ধ্বংস করতে পারে। তারা মিথ্যা অপবাদ ছড়িয়ে ষড়যন্ত্র করে বা কৌশলে অন্যদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এ ধরনের মানুষরা কখনোই সরাসরি আক্রমণ করে না। বরং আড়াল থেকে বিশ্বাস অর্জন করে তাদের কাজটি করে ফেলে। তাদের চিনতে না পারার কারণে তারা অপ্রত্যাশিতভাবে বড় ক্ষতি করে। অমানুষ প্রকৃতির মানুষের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো তাদের নিখুঁত স্বার্থপরতা। তারা কেবল নিজেদের স্বার্থে কাজ করে এবং প্রয়োজন হলে অন্যকে ব্যবহার করতেও দ্বিধা করে না। তারা অন্যদের ভালোমন্দ নিয়ে চিন্তা করে না বরং নিজেদের স্বার্থেই সবকিছু পরিচালনা করে।
অমানুষ চিনতে হলে অভিজ্ঞতা, পর্যবেক্ষণ এবং বুদ্ধির প্রয়োজন হয়। সময়ের সাথে সাথে মানুষদের প্রকৃত মুখোশ খুলে যেতে শুরু করে। আপনি যদি কোনো ব্যক্তির আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন এবং সময়ের সাথে সাথে তাদের কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করেন তাহলে তাদের আসল রূপ ধরা পড়তে পারে।
আমার মনে হয় আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মুখোশধারী ভদ্র অভিনেতা। অতএব মানুষ রূপের অমানুষ চেনা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। ধৈর্য ধরে মানুষের প্রকৃতি ও কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করলে একসময় তাদের সত্যিকারের চরিত্র প্রকাশিত হয়। তবুও সমাজে এমন অনেক মুখোশধারী মানুষ আছে যাদের চিনতে আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
সমাপ্ত
পোস্টের বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্টকারী | মোঃ আশিকুর রহমান |
ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
লোকেশন | পাবনা |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মানুষের আসল চেহারা সত্যিই বোঝা যায় না। আসলে উপরে একরকম মনে হয় ভেতরে তারা অন্য রকমের। তাদের এই ভয়ঙ্কর চেহারাটা যদি সামনে চলে আসতো তাহলে সত্যিই অনেক ভালো হতো।
জ্বি আপু তাদের আসল চেহারা আসলেই উন্মোচন হওয়া দরকার। তাহলে অনেক মানুষ বেঁচে যাবে। ধন্যবাদ আপু যথাযথ মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনার লেখাটা পড়ে মনে হল এই লেখার সংক্ষিপ্ত দুটি শব্দ হওয়া উচিত তা হলো মুখ ও মুখোশ। আজকাল স্বার্থান্বেষী মানুষের ভিড় এতই বেশি যে তারা স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে বিশ্বাস অর্জন করে হাসতে হাসতে পিঠে ছুরি মেরে সামনে এসে দেখে ছুরির আঘাতে মানুষটি কতটা আহত হল। এ যেন মনুষ্যত্বের বৈচিত্রের মধ্যে না এসো মানুষ! পৃথিবীর এই পরিবর্তন দেখে আশ্চর্য লাগে। আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করছি। খুবই সুন্দর এবং সঠিক লিখেছেন।
একদম ঠিক বলেছেন আপু এমনটাই হওয়ার দরকার ছিলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনি দারুন ভাবে আপনার মূল্যবান কথা গুলা তুলে ধরেছেন তার জন্য।
আসলেই ভাই মানুষরূপী অমানুষদের চেনাটা খুবই কঠিন। কারণ তারা একেবারে মিষ্টি কথা বলে,কিন্তু তাদের অন্তরে থাকে বিষ। এককথায় বলতে গেলে তারা হচ্ছে মুখোশধারী শয়তান। এসব লোক প্রতিটি সমাজে দেখা যায়। এদের কাছ থেকে অবশ্যই দূরে থাকা উচিত আমাদের। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি ভাই সব থেকে বেশি ক্ষতি এরাই করে থাকে। কারন তাদেরকে আমারা অনেক বেশি বিশ্বাস করে থাকি। শুকরিয়া ভাই আপনার মূল্যবান অভিমত ব্যক্ত করার জন্য।
মানুষ রূপের অমানুষগুলো চেনা কঠিন কিন্তু এটা সত্য অমান্য সেটা সব সময় অমানুষের পরিচয় দিবে। যা হোক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আপনি আলোচনা করেছেন দেখে অনেকটা ভালো লাগলো। তবে এ বিষয়ে আমাদের সকল দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু আমার পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে।
আমাদের জীবন চলার পথে অনেক আপন জন মানুষ রয়েছে। এমন কিছু মানুষ আছেন যারা আমাদের খুবই নিকট আত্মীয়। কিন্তু তাদের ভিতরে থাকা এত হিংসুটে মনোভাব গুলো চেনা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। অনেকে আছে মানুষকে প্রচুর পরিমাণ ধোকা দিয়ে থাকে। অনেক বন্ধু-বান্ধব আছে যারা প্রচুর পরিমাণ বিশ্বাসঘাতকতা করেন। আসলে খুবই কষ্টের ব্যাপার দিন শেষে এসে বুঝা যায় মানুষ কত ভয়ংকর হয়।
বাস্তব সম্মত একটি টপিক নিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যিই মানুষ রূপে অমানুষ গুলো চেনা অনেক কঠিন।আসলে এদের ভেতরে এক আর ওপরে আরেক।এদের থেকে যতটুকু সম্ভব আমাদের দূরে থাকা উচিত।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
অনেক অনেক শুকরিয়া আপু যথাযথ মতামত শেয়ার করার জন্য।