লাইফ স্টাইল :- সূর্যমুখী ফুল বাগানে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

in আমার বাংলা ব্লগ9 months ago

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।

CollageMaker_2025324184541719.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সূর্যমুখী ফুল ক্ষেতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত। আজকে সকাল 11 টা বাজে আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে বাজারে গেলাম। মূলত রমজান মাসের শেষের দিকের বাজার ও ঈদের কিছু বাজার করার জন্য। যদিও কালকে রাত্রে আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে কথা বলে ঠিক করেছি আজকে সকাল বেলা এগারোটা বাজে বাজারে যাব। তাও আমার হাজব্যান্ড মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়ে আসার পর। তবে যথাসময়ে ১১ঃ০০ টা বাজে যাওয়ার জন্য আমি রেডি হয়েছি। আর চৌধুরী হাট বাজার তাদের বাড়ি থেকে পাঁচ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে। এই কারণে গাড়ি করে যেতে হয়। আর তাদের বাড়ির সামনে বা দোকানের সামনে দাঁড়ালে সব সময় গাড়ি মিলে।

IMG_20250324_120739.jpg

IMG_20250324_120920.jpg

IMG_20250324_120524.jpg

যখন আমরা একটি অটো রিক্সা নিয়ে যাচ্ছিলাম যখন বাড়ি থেকে 4 কিলোমিটার দূরে গেলাম তখন দেখি রাস্তার একপাশে সূর্যমুখী ফুল চাষ করেছে কে জানি। এবং সূর্যমুখী ফুল গাছের মধ্যে একসাথে অনেকগুলো ফুল ফুটেছে জমির মধ্যে। দেখে সাথে সাথে আমি গাড়ির ড্রাইভারকে দাঁড়ানোর জন্য বললাম। কারণ এরকম সুন্দর পরিবেশ এবং ফুল দেখলে মন তো এমনি ভালো লাগে। আর যখন সূর্যমুখী ফুল বাগানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম চিন্তা করলাম ফুলের সৌন্দর্য একটু উপভোগ করি। যদিও ড্রাইভার সময় কম বললো তার টাইম কম। তখন আমার স্বামী ডাইভার এর সাথে কথা বলে রাজি করালেন। এবং আমার হাজব্যান্ড তাকে বলল টাকা একটু বাড়িয়ে দেবে কোন সমস্যা নেই।

IMG_20250324_120720.jpg

IMG_20250324_120636.jpg

IMG_20250324_120731.jpg

তারপর অটো গাড়ির ড্রাইভার রাজি হয়েছে। আমি তো গাড়ি থেকে জলদি নেমে রাস্তার উপর থেকে কয়েকটা ফটোগ্রাফি করে নিলাম সূর্যমুখী ফুলের। তবে জমিটি অনেক বড় অনেক বড় এরিয়াতে সূর্যমুখী ফুল ক্ষেত চাষ করেছে। আর সবগুলো ফুল অনেক বড় বড় দেখতেও ভালো লাগলো। তারপর আমি আর আমার হাজব্যান্ড দুইজন সূর্যমুখী ফুলের বাগানে গেলাম। যদিও গরম ছিল মোটামুটি ঐ সময়। এরপর আমি আর আমার হাজবেন্ড কিছু ফটোগ্রাফি করলাম নিজেদের সূর্যমুখী ফুলের বাগানে। সত্যি বলতে সূর্যমুখী ফুল গাছ গুলো তাজা এবং ফুলগুলো তাজা দেখতে চমৎকার লাগলো। এরপর আমি কিছুক্ষণ সময় দাঁড়িয়ে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম।

IMG_20250324_120659.jpg

IMG_20250324_120841.jpg

তারপর আমি একে একে ফুলগুলো কিছু দেখতে লাগলাম এবং ফুলের বাগানের চারপাশে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম। আর রমজান মাসে এমনিতে হাঁটাহাঁটি করলে পানির পিপাসা ধরে। তবে সূর্যমুখী ফুলের বাগানের মাঝখান দিয়ে হাটাহাটি করার জায়গা রাখল। এই কারণে ঘুরতে একটু ভালো লাগলো। আর এইসব জায়গাগুলোতে একটু সময় নিয়ে গেলে ঘুরতে একটু সুবিধা হয়। কারণ ফুলের সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একসাথে উপভোগ করা যায়। যদিও আমরা যদি বিকেল বেলা যেতাম তাহলে আর একটু সুবিধা হত। আর এই সময় দুপুরবেলা একটু গরম থাকে। আমাদের দেখাদেখি আরো দুইজন মহিলা দেখলাম সূর্যমুখী ফুলের বাগানে নামল। তারাও ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগলো।

IMG_20250324_120623_1.jpg

IMG_20250324_120929.jpg

তবে যখন আমি একটু সামনে গেলাম কিসের যেন একটা মাথা দেখা যাচ্ছে। আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম। দেখি সূর্যমুখী ফুলের বাগানে শিয়াল বসে রইল। তবে শিয়াল দিনের বেলা দেখা যায় না। সন্ধ্যার পর থেকে শিয়াল গুলোকে দেখা যায়। এবং আমাদেরকে দেখে শিয়াল অনেক ধরে দৌড় দিলেন। তবে ভিতরে অনেক সূর্যমুখী ফুলের গাছ নষ্ট হয়ে রইল। এতে করে বোঝা যায় শিয়াল গুলো রাত্রে সূর্যমুখী ফুলের বাগানে দৌড়াদৌড়ি করে। এই কারণে সূর্যমুখী ফুল গাছ অনেক ভেঙে পড়ে রইল। আর আমরা দুইজন মোটামুটি অনেক সময় ওইখানে ঘুরাঘুরি করলাম সূর্যমুখী ফুলের বাগানে। আর এইসব জায়গাতে মন খুলে ঘুরলে মন ভালো হয়ে যায়। এরপর আমরা অটো রিক্সা করে চৌধুরীহাট বাজার দিকে চলে গেলাম বাজার করার জন্য। এই হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের বাগানে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত।

IMG_20250324_120920_1.jpg

IMG_20250324_120902.jpg

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰