গল্প :- ভালোবাসার মানুষকে ঠকিয়ে কেউ সুখী হয় না।(প্রথম পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বাস্তব একটি গল্প। আসলে বর্তমান সময় কিছু কিছু প্রেম আছে প্রেমিক প্রেমিকাকে ঠকায় আবার প্রেমিকা প্রেমিককে ঠকায়। সেরকম বাস্তব একটি ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আমার পরিচিত একটি মেয়ের নাম হচ্ছে জেসমিন। জেসমিন অত্যন্ত সুন্দর এবং ভদ্র একটি মেয়ে। তার মা-বাবা তাকে অনেক আদর করে এবং সবসময় মেয়ের হাসিমুখ দেখতে চাই। জেসমিন তাদের বাড়ির একটি ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করেছিল। যদিও ওই সময় জেসমিন স্কুলে লেখাপড়া করে এবং ছেলেটি কলেজে লেখাপড়া করে। তবে বাড়ির মধ্যে দুই ফ্যামিলির সম্পর্ক একদম খারাপ। প্রথমে কেউ বুঝতে পারে নাই তাদের প্রেমের সম্পর্ক।
আস্তে আস্তে তাদের সম্পর্ক সবাই একটু একটু আন্দাজ করতেছে। কারণ ছেলেটি যখন বাড়ির সামনে থাকে তখন জেসমিন বাড়ির সামনে ঘুরতে যায়। আবার জেসমিন যখন স্কুলে যাওয়ার সময় হয় তখন ছেলেটি রাস্তার পাশে বা স্কুলের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। এই থেকে অনেকে অনেক কিছু মন্তব্য করতেন। তবে বর্তমান সময়ে মোবাইলের যুগ এই কারণে অনেক সময় মেসেজ করলে অনেকে দেখে ফেলে। কারণ অনেক সময় অনেকে মেসেজ করলে অনেক সময় ডিলিট করে না অনেকে। একদিন রিপন জেসমিনকে মেসেজ করেছিল মোবাইলে তবে সে মেসেজ জেসমিনের বাবা দেখে ফেলেছে।
এই নিয়ে দুই ফ্যামিলির মধ্যে অনেক ঝগড়া শুরু হয়ে গেল। যদিও জেসমিনের বাবা একটু প্রভাবশালী লোক ছিল। এই কারণে কিছু লোক দিয়ে রিপনকে মারধর করলেন। এবং তার মেয়ের জীবন থেকে যেন সরে যায়। এদিকে রিপন কি করবে সেও ভেবে বাইর করতে পারছে না। কিছুদিন পরে হঠাৎ করে ভালো একটি সম্বন্ধ আসলো জেসমিনের জন্য। সাথে সাথে জেসমিনের বাবা জেসমিনকে ওই ছেলের কাছে বিয়ে দিয়ে দিলেন। কারণ ছেলেটির অনেক টাকা পয়সা এবং সে বিদেশে থাকে। আর বেশিরভাগ পাবার আশায় টাকা পয়সা ওয়ালা ছেলের কাছে মেয়েকে বিয়ে দিতে।
আর এখন বেশিরভাগ বিয়ে হয় উকিলের হাত ধরে। তবে বিয়ের উকিল লোকটি জেসমিনের বাবার খুব ঘনিষ্ঠ একজন লোক। এই কারণে সম্বন্ধ আসার সাথে সাথে জেসমিনকে বিয়ে দিয়ে দিলেন। যদিও ওই সময় রিপন ঢাকায় ছিলেন। তবে রিপন জেসমিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলেন। যেন জেসমিন রিপনকে না ভুলে তার বিয়ে যেন এখানে না হয়। এবং জেসমিন বলেছে তার পছন্দের কোন মূল্য তার ফ্যামিলি দিবে না। সুতরাং বাবা-মায়ের পছন্দ ছেলেকে বিয়ে করা উত্তম।
তখন রিপন আরো বলেছে কেন আমার সাথে প্রেম করলে। জেসমিন তখন বলেছে অনেকেই প্রেম করে তাকে কোন সমস্যা নেই। তবে আমি মনে করি আমার মা-বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করলে আমার ভালো হবে। আর তুমি এখন বেকার লেখাপড়া করতেছো কখন প্রতিষ্ঠিত হবে কেউ জানে না। আর বেকার ছেলের সাথে প্রেম করা যায় বিয়ে করা যায় না। এই বলে সে রিপনকে একটু ভিন্ন রকম কথা বলেন। তখন রিপন মনে করল তার ভালোবাসার মানুষের কাছে তার কোন দাম নেই। এরকম ভালোবাসার পেছনে সেই সময় দিয়ে কোন লাভ হবে না। যাই হোক আজ এই পর্যন্ত পরবর্তীতে পরে পর্ব নিয়ে হাজির হব। আশা করি আজকের পর্ব আপনাদের সবার ভালো লাগবে। (চলবে)
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://x.com/bdwomen2/status/1853458490620354940?t=dS17Gyhv7NMQkqbMmrbtAw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপু জীবনে টাকা পয়সা দরকার কিন্তু তা কাউকে ঠকিয়ে নয়।জেসমিন কাজটি মোটেও ভালো করেনি।আসলে এই ভুলের মাশুল একদিন জেসমিনকেই দিতে হবে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
ঠিক বলেছেন টাকা পয়সা নিজের যোগ্যতায় কামালে আমার মনে হয় সবচেয়ে বেশি ভালো হয়
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। জেসমিনের প্রথমেই বুঝা উচিত ছিল সে তার বাবা- মায়ের পছন্দ ছাড়া বিয়ে করবে না। শুধু শুধু একটি ছেলেকে ভালোবাসার লোভ দেখিয়েছে। জীবনে টাকা পয়সা যেমন প্রয়োজন তেমনি সত্যিকারের ভালোবাসাও প্রয়োজন। এমনও তো হতে পারে লোভের জন্য জেসমিন সুখী হতে পারলো না। তবে রিপনের চিন্তা ভাবনা ঠিক ছিল। পরবর্তীতে কি হলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
চেষ্টা করব পরবর্তী পর্ব আপনাদের মাঝে খুব শীঘ্রই শেয়ার করার জন্য
ভালোবাসার মানুষকে ঠকালে অবশ্যই নিজেকেও ঠকতে হয়। জেসমিন হয়তো রিপনকে ঠকিয়ে ঠিকই বিয়ে করে কিন্তু পরবর্তীতে হয়তো সুখী হতে পারবে না এখন দেখা যাক পরের পর্বে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে।আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন পরের পর্ব।
ভালোবাসা এমন একটা জিনিস যেটা কারোর কাছে শুধুমাত্র শূন্য কোন জিনিস
অনেক সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে আপনি পোস্ট শুরু করেছেন। আপনার পোস্টের টাইটেলটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। টাইটেলের কথাটা সম্পূর্ণ সঠিক।
আপনার মন্তব্য করে ভালো লাগলো ধন্যবাদ
কাউকে ঠকিয়ে আসলে নিজে বড় হওয়া যায় না। তাই আমার মনে হয় জেসমিনও শেষ পর্যন্ত বড় হতে পারবে না।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ঠকিয়ে কেউ কখনো বড় হয় না তাই নিজের কারণে নিজেকে প্রমাণ করা উচিত
আসলে প্রিয় মানুষকে ঠকিয়ে কেউ কখনো সুখী হতে পারে না। এগুলা মানুষের প্রতারণা। তবে প্রতারক একজনকে প্রতারণা করে অন্য সময় নিজের প্রতারিত হয় এটাই সত্য কথা। আপনার এই পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আসলেই প্রিয় মানুষকে সব সময় না ঠকিয়ে সুখী করাটাই ভালো কাজ
কিছু কিছু মানুষ আছে ইচ্ছা করে ভালবাসার মানুষকে ঠকায়। জেসমিন সেরকম কাজ করেছে। আমার মনে হয় জেসমিন টাইম পাস করার জন্য রিপন এর সাথে প্রেম করেছে। আর রিপন ভালবাসার মানুষের কারণে লাঞ্ছিত হলেন এবং প্রিয় মানুষের কথার কাছেও অপমানিত হলেন। তবে গল্পের এখনো পর্যন্ত কিছুই বোঝা যাচ্ছে না পরের পর্বে অপেক্ষা রইলাম। পরের পর্বটি তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন।
আপনার মন্তব্য করে ভালো লাগলো সব সময় সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
যেকোনো বিষয়ে ঠকিয়ে কেউ কোনদিন সুখি হতে পারেনি। কেউ যদি মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে তাকে অবশ্যই সেই সম্মান টুকু দেওয়া উচিত। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপু দারুন একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সব সময় যে কোন জিনিসকে ঢুকিয়ে কিছু পাওয়া যায় না পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই শেয়ার করার চেষ্টা করব
মনে হয় ঠকিয়ে হবে। অপেক্ষায় রইলাম।