ইফতার দাওয়াত
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি একটি নতুন পোস্ট।।
কিছুদিন আগে হোস্টেল এর আপুরা বাইরে ইফতার করবে এমন কিছুর প্লান করছিল। আমাদের হোস্টেল আমি সবার চেয়ে ছোট। তাই আপুদের প্লান এ আমিও থাকি সবসময়।
তো যেই ভাবা সেই কাজ সবাই মিলে প্লান করতে বসে গেল কোথায় যাওয়া যায়। সবাই চাইছিল একটু নিরিবিলি পরিবেশ, আবার খাবার এর মান ও যেনো ভালো হয় এমন কোথাও যেতে। কিন্তু সবার মতামত মিলছিলো না। মতের অমিল হওয়ায় ঠিক করা হলো বাসায় সবাই মিলে রান্না করেই ইফতার করা হবে। আর এই ইফতার এ আমাকেও আপুরা দাওয়াত দিয়েছিল।সবার ছোট হওয়ার মজাই আলাদা।😛
প্লান অনুযায়ী পরদিন সবাই চাঁদা তুল্লো। সবার টাকা তুলে আপুরা চলে গেলো বাজার এ।
আমার দুপুর থেকে প্রাইভেট থাকায় আমি আপুদের সাথে বাজারে যেতে পারি নাই। আপুরা বাজার থেকে ফিরে বিকাল থেকে শুরু করে দিল ইফতার তৈরির আয়োজন।
আমি সেই সময় প্রাইভেট এ থাকায় কোন ছবিই তুলে রাখতে পারি নি। আর আপুরাও ব্যস্ততার জন্য ছবি তোলে নাই।তাই আপুদের সেই মুহুর্তের কোন ছবি শেয়ার করতে পারলাম না।
সন্ধ্যার একটু আগে প্রাইভেট থেকে আসা মাত্রই আপুরা বললো তুই ছোট তাই তোকে বেশি কাজ দিব না। তুই শুধু লেবুর শরবত বানাবি। আপুদের কথা না রাখতে পেরে সবার জন্য লেবুর শরবত বানিয়ে ফেললাম। আমাদের এই ঘরোয়া ইফতারিতে ছিল খেজুর, ছোলা, মুড়ি, ফলের সালাদ,বেগুনি,পেয়াজু আর আমার বানানো শরবত। আপুরা আমার বানানো শরবত খেয়ে অনেক প্রশংসাও করেছে।
রমজান এ ইফতার এর দাওয়াত আমি এর আগেও বন্ধুদের থেকে অনেকবার পেয়েছি।তবে এইভাবে,বাসায় সব কিছু তৈরী করে সবার সাথে একসাথে বসে ইফতার করার মজা এবার প্রথম উপভোগ করলাম।
বড় আপুদের সাথে এক সাথে ইফতার করে অনেক আনন্দ পেয়েছি। হোস্টেল এ আমি পরিবারের বাইরেও আরেকটি পরিবার পেয়েছি। মাঝে মাঝে মনেই হয় না পরিবার থেকে দূরে আছি।
আশা করি সবাই সম্পূর্ন পোস্টটি পড়েছেন। সম্পূর্ন পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যাবাদ। কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।
বাড়িতে পিয়াজি বেগুনি এগুলো বানালে খেতে আরো বেশি মজা লাগে। কারণ নিজেরা বানালে খাওয়ার প্রতি আলাদা একটি আকর্ষণ কাজ করে। আপনি অবশেষে লেবুর শরবত বানিয়েছেন বেশ ভালো ছিল। সব মিলিয়ে বেশ মজা করেছেন দেখছি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ
হোস্টেল লাইফের স্বাদ আসলেই ভিন্ন। কখনো কখনো যেমন খুবই ভালোবাসায় ভরা, আবার কখনো কখনো যেন ভীষণ বিরক্তিকর ও লাগে। তবে সব মিলিয়েই এই হোস্টেল লাইফ টা অন্যরকম অনুভূতির সমাহার। আর যেহেতু তুমি সকলের ছোট, তাই তোমার আদর টা অনেক বেশি। বেশ ভালো লাগলো তোমার পোস্ট টি পড়ে। আরোও বেশি ভালো লাগলো দারুণ মাটির প্লেটে সাজানো খাবারগুলো দেখে। মাটির প্লেট আমার বরাবর ই ভীষণ ভালো লাগে।