বাজার করার অভিজ্ঞতা
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি একটি নতুন পোস্ট।
আজ শেয়ার করতে এসেছি আমার এক নতুন অভিজ্ঞতা। আমার পরিবারে আমার মা বাবা, ভাই আর দিদা থাকে।আমি পড়াশোনার জন্য প্রায় এক-দেড় বছর হলো বাড়ি থেকে দূরে। বগুড়ায় মেস এ থেকে পড়াশোনা করছি।
সব মেস এই কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে।আমাদের মেস এও কিছু নিয়ম রয়েছে যার মাঝে একটি হলো মেসের সকল সদস্যদের সপ্তাহে একবার বাজার করতে হয়।
মেস এ যেহেতু থাকি তাই আমাকেও এই নিয়ম মেনে চলতেই হবে।যদি ও এতদিন আমাকে আপুরা ছোট বলে বার বার ছাড় দিয়েছে।কিন্তু আমাকেও ত বাজার করা জানতে হবে তাই আপুদের সাথে আমাকেও আজ বাজারে যেতে বলেছে।
বাড়িতে থাকাকালীন বাবা আর দাদা সব সময় বাজার করতো। তাই বাজার কিভাবে করতে হয় তা আমার জানা নেই।
সেইদিন ই প্রথম আমি আপুদের সাথে বাজার করার উদ্দেশ্য বাজার এ গিয়েছিলাম।
প্রথমে আমরা কাঁচা বাজার গিয়েছিলাম,সেখান থেকে কিছু সবজি কিনে গেলাম মাছের বাজার।
মাছের যা দাম ছিল তা আমাদের বাজেট এর বাইরে।তাই মাছের বাজার থেকে বের হয়ে মুরগীর বাজার এ গেলাম।সেখানেও দেখি সব কিছুর অনেক দাম।শেষ পর্যন্ত দামাদামি করে একটা ব্রয়লার মুরগী কিনে হোস্টেল এ ফিরলাম।
বাজার ঘুরে যা বুঝলাম হয়তো আমরা মধ্যবিত্তরা কোন ভাবে দিন পার করতে পারছি।কিন্তু নিম্ন আয়ের লোকজন কত কষ্ট করে বেঁচে আছে।
আশা করি সবাই সম্পূর্ন পোস্টটি পড়েছেন। সম্পূর্ন পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যাবাদ। কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।
হ্যাঁ বর্তমান পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ কোনমতে বেঁচে আছে আর যারা নিম্ন আয়ের মানুষ তারা যেন পুরোটা যুদ্ধ করে জীবন পার করছে। শুধু মুরগি নয় প্রতিটা জিনিসের মূল্য আকাশচুম্বী।
মেসে থাকা খুবই ভালো লাগে কিন্তু এই একটা নিয়ম খুবই বিরক্তিকর লাগে সেটি হচ্ছে বাজার করা। মেসের যে বাজেট দেয় বাজার করার জন্য তা দিয়ে বাজারে গেলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। আমি মেসে থাকা অবস্থায় মনে হয় শুধু একটা দিন গরুর মাংস কিনেছিলাম বাজারের টাকা দিয়ে তাও শুধুমাত্র একটি বা দুটি পিস করে প্রতি জনের জন্য। আপনি ঠিকই বলেছেন মধ্যবিত্তরা কোনরকম বেঁচে রয়েছে কিন্তু নিম্নবিত্ত লোকেদের বাঁচার বাজারে পণ্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য দায় হয়ে গেছে।
পোস্টটা অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত হয়েছে। চেষ্টা করবেন এই ধরনের পোস্টে আরো কিছু লিখতে।