আমার কবিতার খাতা থেকে :জীবন থেকে নেওয়া
যখনই হাত বাড়িয়েছি কেউ এই হাতে
স্পর্শ দিয়েছে কোমল শীতলতা।
আমার কোনো অভাব নেই,
আমি চাইলেই শহরের প্রতিটা মোড়ে মোড়ে
উৎসব লেগে যায়, তবু আমার জীবনে উৎসব আজ নিষিদ্ধ
এক চড়ুই বসে আছে সঙ্গীর মৃতদেহ নিয়ে
সে আজ রাজপথে দণ্ডায়মান,
আমার মতো এক বুক শূন্যতা নিয়ে।
মাঝপথে এসে ছেড়ে গেছে সেই শীতল স্পর্শ।
প্রত্যেকেই আমরা দুঃখী নিজের মত করে,
যে রাখালের বাঁশি শুনে হৃদয় জুড়িয়েছে
ক্লান্ত পথিকের, সেই রাখালের বুক জুড়ে
হাহাকার খেলা করে।
মরুভূমির বুকে কান্না রা গণ পিটিশন জমা করে।
এভাবেই কেটে যেত হয়তো অনেক রাত অনেক দিন
ফুরিয়ে যেত এই জীবনে লেনাদেনা।
হঠাৎ এক গভীর রাতে আমি জেগে উঠি
অন্য মানুষ হয়ে
এখন শুধু প্রতীক্ষা সুন্দর একটি সকালের।
শহর জুড়ে আলোর বন্যা
আনন্দ মিছিলে প্লাবিত নগরী,
তোমার হাত ধরে আমি ঘুরছি
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে।
আমরা উৎসবে মেতে উঠেছি
আমাদের মনে নেই আমাদের ফিরতে হবে ঘরে।
আজকাল আমি বড় একা
তার থেকে অনেক বেশি বেকার।
মধ্যাহ্নে আমার সকাল শুরু হয়
আমি জাগি একরাশ হতাশা নিয়ে,
আমি আগেই মৃত্যুর অপেক্ষা নিয়ে,
খালি পেটে ভয়ঙ্কর খিদে সয়ে
আমি রাজপথে নেমে যাই।
এলোমেলো ভাবে আমি মানুষ দেখি
মানুষ দেখা আমার এখন একমাত্র কাজ।
প্রত্যেকটি মানুষ আলাদা
প্রত্যেকটি মানুষ আলাদা এক একটি চলমান উপন্যাস,
আমার উপন্যাস টা অর্ধেক লেখা হয়ে পড়ে আছে,
লেখক এর ভীষণ অভাব এই নির্মম শহরে।
আমার কবিতা জুড়ে আছে বেঁচে থাকার তীব্র আবেদন,
ব্যর্থ প্রেমের নানা টানাপড়েন,
আর এক যুবকের রাজপথে রাজপথে
মানুষ চেনার গল্প।
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
আসলে আমরা কখনো মরে না, আমরা খুন হয়ে যাই, যদি বাঁচতে চাও, মরার আগে মরে যাও.
কবিতা হৃদয়ের কণ্ঠস্বর এবং আপনি যেমন আপনার হৃদয়ের কণ্ঠস্বর আমাদের বলছেন, এটি শুনতে সত্যিই স্বস্তিদায়ক
ভাইয়া আজকের কবিতায় কবিতা পোস্ট করার ধরণটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
আসলেই হয়তো আমরা প্রত্যেকটে দুঃখী। তবে সবার ভিন্ন ভিন্ন জগৎ এ, ভিন্ন ভিন্ন কারণে। আপনি সবসময় এতো সুন্দর লিখেন যে কি আর বলবো।খুব ভালো লাগে আপনার লেখা গুলো,ভাষা গুলো।সত্যিই ভাইয়া আপনি অনেক বেশি ভালো কবিতা লিখেন।
অসাধারণ ও বাস্তবধর্মী কবিতা দাদা।কবিতাটির গভীরতা অনেক, তবে আমার সল্প জ্ঞানে যা বুঝেছি তা হলো---কখনো কবিতার মাঝে ফুটে উঠেছে বেকার যুবকের হতাশা, অপেক্ষা ও ব্যর্থ ভালোবাসার কথা।কিন্তু দিনের শেষে সব মানুষ বড়োই একা ,শুধুই একজন ভালো মানুষ চিনে তাকে দেখে বেঁচে থাকার তীব্র আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পেয়েছে।প্রত্যেক মানুষের মধ্যে আলাদা আলাদা চিন্তাধারা ও জীবনকাহিনী লুকিয়ে আছে।সকল মানুষের সব আশা পূরণ হয় না সে কোনো না কোনোভাবে শত আনন্দের মধ্যে ও দুঃখকে খুঁজে পায়।তবুও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকার প্রবল ইচ্ছা নিয়ে সুন্দর সকালে নতুনভাবে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করে।
জানি না কতটুকু ঠিক বললাম! ধন্যবাদ দাদা।
লেখার মধ্যে খুবিই গভিরতা রয়েছে দাদা। আসলেই ঘুম ভাঙলে এক রাশ হতাসা রয়েছে বাস্তব জীবন নিয়ে।মৃত্য এসে কতা নারবে মোর ঘরের দরজা ধরে।
অনেক ভালো লিখেছেন দাদা শুভ কামনা রইল।
দাদা আপনার লেখা আপনার কবিতা নিয়ে কিছু বলার নেই ।সব সময় আপনার কবিতা গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি সত্যি বাস্তব নিয়ে সুন্দর সুন্দর অসাধারণ কবিতা লেখেন। আপনার কবিতায় প্রত্যেকটি লাইনে খুব অসাধারণ প্রতিটি লাইন খুব সুন্দর করে লিখেছেন যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। আমি বলব দাদা আপনি সত্যিই অসাধারন একজন লেখক। এভাবেই আমাদেরকে সুন্দর সুন্দর কবিতা উপহার দিয়ে যাবেন এই কামনা করি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল সবসময়।
অনেক সুন্দর একটি কবিতা পোস্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার লেখা সবগুলো কবিতা অনেক সুন্দর হয়। কবিতা পড়তে অনেক ভালো লাগে, অনেক সুন্দর করে আপনি কবিতা লেখেন। অনেক ধন্যবাদ দাদা,সুন্দর কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই লাইন গুলোর মাঝে দিয়ে ব্যক্তি জীবনের দুঃখবোধ ফুটে উঠেছে।
আসলে এই জীবনে কি মানুষ চেনা যায়!! মুখোশের অন্তরালে যে ভিন্ন মানুষের বসবাস।
দাদা অনেক বাস্তবধর্মী একটি কবিতা লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি আগেই মৃত্যুর অপেক্ষা নিয়ে,
খালি পেটে ভয়ঙ্কর খিদে সয়ে
আমি রাজপথে নেমে যাই।
সেরা ছিল ভাইয়া। আসলেই বাস্তবতা রয়েছে লিখার ভিতর। আর এটাও ঠিক আমরা মনে করি আমি সুখি না ও সুখি এটাই ভুল সবার জীবন টা কোন না কোন দুঃখ তেই ভরা।
আজকের কবিতাটি একটু বেশী আবেগ নিয়ে লেখা হয়েছে মনে হচ্ছে, অনেকগুলো লাইনে বেশ গভীরতার অনুভূতি কাজ করেছিলো। তবে আপনি বরাবরই এই রকম লিখেন, তাই পড়তে ভালো লাগে। ধন্যবাদ