গতানুগতিক!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমি সবসময় চেষ্টা করি ভাইরাল অথবা ট্রেন্ড কে এড়িয়ে চলার। অন্যরা যেখানে সেটা আকড়ে ধরে আমি সেখানে সেটা ইগনোর করি। কারণ এগুলো আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর মনে হয়। আমাদের কুষ্টিয়া লাহিনী বটতলার দিকে একটা জনপ্রিয় খাবার পাওয়া যায়। না খাবার টা সাধারণ তবে সেটা অনেকেই খুব পছন্দ করে। তার আগে আমি অনেকের কাছেই ঐ খাবার টার কথা শুনেছি কিন্তু আমি কোনদিন যায়নি। বুধবারের কথা। টুটুল ভাইয়া বলল চল ওখানে যায়। তো আমি ভাবলাম আগে তো কখনও যায়নি। যায় একবার ঘুরে আসি। কিছুটা গ্রামের মধ্যে গাছপালা ঘেরা নিরিবিলি পরিবেশ। সেখানে খাঁটি দুধের মালাই চা এবং সঙ্গে রুটি পোড়া। এই হলো সেই বিশেষ খাবার। এটা রীতিমতো একটা হৈচৈ ফেলে দিয়েছে বিগত কয়েক বছর।
আপনি যদি সাধারণ ছুটির দিনে অথবা সন্ধ্যার পরে ওখানে যান আপনাকে সেটা খাওয়ার জন্য ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। তবে আমরা গিয়েছিলাম বিকেলের দিকে। বাড়ি থেকে বের হয়ে টুটুল ভাইয়ার বাইকে করে দুজন চলে গেলাম। গিয়ে বসলাম। ঐ রাস্তাগুলো আমার খুবই পরিচিত। বছরখানেক আগেও আমি নিয়মিত যাতায়াত করতাম। কারণ ঐটা ছিল আমার কলেজে যাওয়ার রোড। আমরা ওখানে গিয়ে বসলাম। তখন বিকেল পাঁচটা হবে। খুব একটা মানুষ ছিল না। চা এবং রুটির অর্ডার দিয়ে আমরা বসে গল্প করছিলাম এবং কথা বলছিলাম। তখন বিভিন্ন বিষয় উঠে আসছিল। টুটুল ভাইয়া আমার থেকে অনেক টা বড় হলেও আমাদের মধ্যে ছোট ভাই বড় ভাইয়ের মতো সম্পর্ক থাকে না।
আমি অনেক সময় ভাইয়াকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা শুনিয়ে থাকি। যেটা ভাইয়া মোটেই সহজভাবে নেয় না হা হা। আগে উনি সেটা সহ্য করে নিত। কিন্তু ইদানিং সে কাউন্টার দিয়ে ছাড়ে না হা হা। যাইহোক কিছুক্ষণের মধ্যে সেই বিশেষ খাবার চলে আসলো। আমি প্রথমেই চায়ে চুমুক দিলাম দুধ ঠিকঠাক ছিল। তবে চায়ের মধ্যে ছিল অতিরিক্ত চিনি। আর এই চিনির জন্য অনেক টা মিষ্টি হয়েছে। আর আমি মিষ্টি খুব একটা খাই না। এইজন্যই একটু কেমন জানি লাগছিল আমার কাছে। এরপর সেই পোড়া রুটি দিয়ে খেয়ে দেখলাম। না খুব একটা আহামরি কিছু না। একেবারেই স্বাভাবিক খাবার। আমি নিয়েছিলাম একটা কিন্তু টুটুল ভাইয়া দুইটা রুটি নিয়েছিল। এবং তিনি সেটা খুব দ্রুতই শেষ করে ফেলল। বুঝলাম ভাইয়া এখানকার নিয়মিত সদস্য।
যাইহোক আমি নিজেও এরপর সেটা শেষ করে ফেলি। এবং চা টা শেষ করতে আমার বেশ কিছুটা সময় লেগেছিল। ও চায়ের দাম নিয়ে কোন কথা বলা হয়নি ঐভাবে। চায়ের দাম ছিল ৪০ টাকা। যেটা মোটামুটি ঠিক ছিল। এবং প্রতি পিস রুটি নিয়েছিল ১০ টাকা করে। বলতে হয় দাম মোটামুটি ঠিকই ছিল। ভাইরাল খাবার হিসাবে দাম অতিরিক্ত নেয়নি। যাইহোক এরপর আমরা টাকা দিয়ে দেয়। এবং আমরা চলে যায় কুষ্টিয়ার মধ্যে। অনেক দিন হলো কুষ্টিয়ার মধ্যে গিয়ে ঘোরাঘুরি করি না। ঐভাবে সময় হয়ে উঠে না আর কী। বাকিটা সময় আমরা কুষ্টিয়ার বেশ কিছু জায়গাই ঘুরে কাটিয়েছিলাম। একটা সময় ঐসব জায়গাই নিয়মিত যাতায়াত করতাম। কিন্তু এখন ঐভাবে যাওয়া হয় না বললেই চলে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1965332005996183910?t=d01q6vcV0MRxHfMxtTxm-g&s=19
https://x.com/Emon423/status/1965332179111805351?t=o6ZuyzLV0WnFBqULGiRWhQ&s=19