সাফারি পার্ক ভিডিওগ্রাফি ( পার্ট-১ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আমার সাফারি পার্ক ভ্রমণের পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়া শুরু করেছি আমি। যেখানে আমি মোটামুটি সবকিছু বলার চেষ্টা করেছি। আমার ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলো আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছি। কিন্তু ফটোগ্রাফি তে তো আর সবকিছু পূর্ণ হয় না। এইজন্য অবশ্য আমি বেশ কিছু ভিডিও ধারণ করেছিলাম। আজ সাফারি পার্ক ভ্রমণের একটা ভিডিওগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব। কোর সাফারি পার্কে গিয়ে আমরা টিকেট কেটে অপেক্ষা করছিলাম। কিছুক্ষণ পরেই আমরা বাস চলে আসলো। আমরা গিয়ে বাসে উঠে বসলাম। আমাদের সাদে অন্য বেশ কিছু পর্যটক ছিল। চেষ্টা করেছিলাম জানালার পাশে বসার যেন বাইরে টা ভালোভাবে দেখতে পারি।
ছাড়া হলো আমাদের বাস। বাস ছাড়তেই আমি ভিডিও শুরু করলাম। এইজন্য অবশ্য আপনারা একটা কম্পন দেখতে পারবেন ভিডিও তে। দুপাশে গাছপালা ধু ধু জঙ্গল। তার মধ্যে দিয়ে চলে গিয়েছে এটা সরু কংক্রিটের রাস্তা। আর সেই রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের বাস। সবাই বেশ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে বাইরের দিকে। কখন একটা প্রাণীর দেখা পাওয়া যাবে। অনেক দিন সেই বাড়ি কলেজ এসব করতে করতে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ঐজন্য সময় ঐ নির্জন অরণ্য বেশ চমৎকার লাগছিল। অন্যরকম একটা অনূভুতি ফিল করছিলাম। বেশ কিছুটা যাওয়ার পরে বাইরে বেশ কিছু প্রাণী আমাদের নজরে আসে। হ্যা আফ্রিকান হরিণ। এই হরিণগুলো দেখতে একটু অন্যরকম।
কিছুদূর যাওয়ার পরে একটা বড় জলাশয়ের পাশে আমাদের বাস টা থেমে গেল। একটু দূরে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম। হ্যা একটা সিংহ শুয়ে আছে। অর্থাৎ এটা সিংহের এলাকা। তবে সিংহটা বৃদ্ধ। বয়সের জন্য বেশ নুইয়ে পড়েছে। এইরকম জরাজীর্ণ সিংহ দেখতে কেউ পছন্দ করবে না। সিংহ দেখা শেষ হলে আবার পূণরায় চলতে শুরু করে আমাদের বাস। জীবনে প্রথমবার এমন অনূভুতির স্বাক্ষী হওয়া। সত্যি অন্যরকম একটা ব্যাপার বলতেই হয়। এরপর আরও বেশ কিছুটা এগিয়ে যায়। শেষ হয় আমার প্রথম পার্ট এর ভিডিওগ্রাফি। বাকি ভিডিওগ্রাফি টা দ্বিতীয় পার্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব।
| ----- | ----- |
|---|---|
| ভিডিও ধারক | @emon42 |
| ডিভাইস | VIVO 1820 |
| সময় | মে,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।








.png)



Daily task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে মাঝেমধ্যে নিজেকে ভালো রাখতে মন ভালো থাকতে এমন ঘোরাঘুরি করার প্রয়োজন রয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাফারি পার্কের ঘুরেছেন। বাসের মধ্যে বসে অনেক সুন্দর ভাবে ভিডিও ধারণ করেছেন। বেশ অনেক মানুষের উপস্থিতি গাড়ির মধ্যে। অনেক অনেক ভালো লাগলো চমৎকার ভিডিওটা দেখে।
আমরা সব সময় ফটোগ্ৰাফি করি সচরাচর, কিন্তু ফটোগ্ৰাফি করে সব কিছু বোঝানো যায় না। আপনার ভিডিওগ্ৰাফিটি দেখে মনে হচ্ছে আপনারা অনেকেই সাফারি পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে অনেক ইনজয় করেছেন। আপনার ভিডিওর সাথে যে মিউজিকটি এড করেছেন সেটা বেশ মানিয়েছে।