লইট্টা শুটকি ভর্তা রেসিপি।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি পোস্ট । আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি । আমি তৈরি করেছি আজকে আমি লিখে শুটকির ভর্তার রেসিপি তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজকেও আপনাদের সাথে নতুন একটি রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে একটা রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে। তবে বেশ অনেকদিন হয়ে গেল আপনাদের মাঝে রেসিপি পোস্ট শেয়ার করা হয়ে ওঠেনা আরুশ বাবুকে বসতে পারে এবং একটু একটু দাঁড়াতে পারে তার পেছনে অনেকটাই সময় দিতে হয়। সেজন্য আর রেসিপি তৈরি করা হয়ে ওঠেনা। তারপরও ভাবলাম অনেকদিন পর একটু সময় করে একটা রেসিপি তৈরি করি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। ভর্তাটা তৈরি করেছিলাম বেশ কিছুদিন ধরে তেমন কিছু খেতে ছিল না তাই ভাবলাম একটু ঝাল ঝাল ভর্তা তৈরি করি। মজাদারের ঝাল ঝাল লইট্টা শুটকি ভর্তা দিয়ে খুবই মজা করে ভাত খেয়েছিলাম। এই শুটকি ভর্তা দিয়ে যার মুখে রুচি নেই সেও এক প্লেট ভাত খেয়ে ফেলতে পারবে। আজকে আমি নতুন আরেকটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।
উপকরণ
লইট্টা শুটকি
পেঁয়াজ
গোটা রসুন
শুকনো মরিচ
লবণ
হলুদ
মরিচ
তেল
তৈরি করার পদ্ধতি:-
প্রথমে আমি লইট্টা শুটকি ভালো করে কেটে পরিষ্কার করে নিলাম।একটা কড়াই এর মধ্যে একটু টেলে নিয়ে পানি দিয়ে সামান্য সিদ্ধ করে নিলাম।
এরপর পরিমাণ মতো পেঁয়াজ রসুন ও শুকনো মরিচ নিয়ে নিলাম এবং সবকিছু আমি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিব।
এ পর্যায়ে আমি আমার সবগুলো উপকরণ অর্থাৎ পেঁয়াজ রসুন শুকনো মরিচ দিয়ে দিলাম ব্লেন্ডারের মধ্যে।
এদিকে শুটকি গুলো সিদ্ধ হয়ে এলো আমি শুটকি গুলো নামিয়ে সোজা ব্লেন্ডারের মধ্যে রেখে দিলাম এবং ব্লেন্ড করে নিলাম। শিল পাটায় বেটে নিলে হয়তো এর স্বাদ টাদ্বিগুণ হয়েছে যেতো।
এরপর আমি একটা কড়াইতে তেল গরম করতে দিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দিলাম পেঁয়াজ কুচি। পেঁয়াজ কুচি কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম। বাড়তি আর রসুন বাটা দিলাম না কারণ আগেই বেশ অনেকটা পরিমাণ ব্লেন্ড করে নিয়েছি।
এরপর দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো লবণ। লবণ দেওয়ার পর পেঁয়াজ আরো কিছুক্ষণ তেলের মধ্যে ভেজে নিলাম।
এরপর দিয়ে দিলাম বেশ অনেকটা পরিমাণ মরিচের গুঁড়ো। তারপর দিয়ে দিলাম পরিমাণ মতো হলুদের গুঁড়ো।
এরপর আগে থেকে যে উপকরণ টা ব্লেন্ড করে রেখেছিলাম সেটা দিয়ে দিলাম কষানো মশলার মধ্যে।
এরপর আমি অনেকক্ষণ রান্না করে নিলাম যতক্ষণ না শুটকির ভেতরে থাকা পানি শুকিয়ে যায়।
আর এভাবেই তৈরি করে নিলাম ঝাল ঝাল লইট্টা শুটকি ভর্তা। এ ভর্তা দিয়ে আমি বেশ মজা করে ভাত খেয়েছিলাম আর সেদিন সারাদিনই অনেক বেশি বেশি ভাত খেয়েছিলাম। এত মজা ছিল এই লইট্টা শুটকি ভর্তাটা। চাইলে আপনারাও তৈরি করে খেতে পারেন যার মুখে রুচি নিয়ে তারও মুখে রুচি ফিরে আসবে।
| শ্রেণী | রেসিপি |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
| ডিভাইস | Vivo Y15s |
| লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।



























.png)


অত্যন্ত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করলেন। রেসিপিটা আমার খুবই প্রিয়। আমরা অবশ্য লইট্টা মাছ, শুটকি পেঁয়াজ দিয়ে ভুনা করে খেয়ে থাকি। তবে মাঝে মাঝে ভর্তা ও খাওয়া হয়। রেসিপিটা জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ।
চমৎকার শুটকি ভর্তা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে গরম ভাতে মেখে খায়। কি অসাধারণ দেখতে হয়েছে। আমি অবশ্য শুটকি মাছ একদম পছন্দ করি না। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এবার শুটকি মাছ খাওয়া শুরু করতে হবে। চমৎকার লোভনীয় লাগছে আপু। শুটকি ভর্তা সম্পূর্ণ রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপনার চমৎকার এই রেসিপি তৈরি করতে দেখে। অসাধারণ হয়েছে আপনার রেসিপি তৈরি করাটা। এমনিতে শুটকি মাছ খেতে বেশ দারুন লাগে। সে জায়গায় যদি হয় এই জাতীয় মাছ তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগার।
লোটে মাছ আমার পছন্দের একটি মাছ। আমার শুটকি খেতেও অনেক বেশি ভালো লাগে তবে সত্যি কথা বলতে আমাদের বাড়িতে শুটকি মাছ রান্না হয় না কারণ অনেক বেশি দুর্গন্ধ ছড়ায়। তবে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয় শুটকি মাছ। আর ভর্তা তো কোন তুলনাই হয় না। আর আপনি তেমনি একটি লোভনীয় সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখেই অনেক বেশি লোভ হচ্ছে।
লইট্টা শুটকির ভুনা খাওয়া হয়েছে। তবে ভর্তা খাওয়া হয়নি।আপনি অনেক সুন্দর করে এই ভর্তা টি তৈরি করেছেন। এটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/APatwary88409/status/1910888038651363796?t=sy5JIZ3EsLwO4lsQ7zDByA&s=19
অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন! আপনার উপস্থাপনা আর ব্যক্তিগত গল্পটা পুরো লেখাটিকে আরও হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছে। আরুশ বাবুর পেছনে সময় দেওয়ার কথাটাও যেন পাঠকদের সাথে একটা আবেগপূর্ণ সংযোগ তৈরি করে। লইট্টা শুটকি ভর্তার বর্ণনা শুনেই জিভে জল এসে গেল! এমন মজাদার রেসিপি পেয়ে সত্যিই ভালো লাগলো। আশা করছি আপনি আবার নিয়মিত রেসিপি শেয়ার করবেন—আমরা অপেক্ষায় থাকবো!
লইট্টা শুটকি ভর্তা রেসিপি দারুন হয়েছে। শুটকি ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মজার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শুটকি আমি বরাবরই বেশ কম খাই। এই শুটকি টা একেবারেই খাওয়া হয়নি কখনও। লইট্ট শুটকি রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন আপু। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। এবং খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন রেসিপি টা। সবমিলিয়ে দারুণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।।