ভ্রমন:-ডিসি পার্কে কাটানো সুন্দর কিছু মূহুর্ত (পর্ব ৮)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। ডিসি পার্কে ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। সেজন্য সবসময় চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে আমার ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য। যখনই সম্ভব হয় তখনই ঘোরাঘুরি করতে বেরিয়ে পড়ি কিন্তু মাঝেমধ্যে বিভিন্ন সমস্যার কারণে বেরোনো হয় না। বেশ কিছুদিন আগে আমি শীতের মধ্যেই ডিসি পার্কে গিয়েছিলাম ঘোরাঘুরি করার জন্য সেখানে গোটা একটা দিন কাটিয়েছি। যদিও এর মধ্যে ডিসি পার্কে ঘোরাঘুরি করার বেশ কিছু পর্ব আপনাদের মাঝে এবং বেশ কিছু মুহূর্ত শেয়ার করা হয়েছে। আজকে আরও একটি নতুন পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। এই পর্বেও ডিসি পার্ক সুন্দর কিছু মুহূর্ত সম্পর্কে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
এ পর্যায়ে মোটামুটি ডিসি পার্কের বেশ অনেকটা অংশই ঘোরাঘুরি হয়ে গেছে। ডিসি পার্কের একটা সাইডে ঘোরাঘুরি করে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ছিলাম সেই মুহূর্তে খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু জায়গা দিয়ে হেঁটে আমরা বেরোচ্ছিলাম। এই রাস্তা দুই পাশে বড় বড় দুটো পুকুর বা দীঘির মতো রয়েছে বলতে গেলে দুটো দীঘির মাঝখানে এই রাস্তাটা করা। আশেপাশে এত পানি যেখানে চারপাশে সাজানো গোছানো সব কিছু দেখে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে অনেক হাওয়া আসছিল এবং এই হাওয়ার মাঝে রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে খুব ভালো লেগেছে। রাস্তাটাও বেশ লম্বা ছিল অনেকটা সময় হেঁটে পার করেছি এবং কথা বলতে বলতে হেঁটেছি বেশ মজাই লেগেছে।
ডিসি পার্কের একটা অংশ ঘুরে রাস্তাটা দিয়ে আরেকটা অংশ প্রবেশ করার সময় খুবই সুন্দর ছিল। সাজানো গোছানোর উপরে অনেকগুলো আর্টিফিশিয়াল ফুল এবং জিনিসপত্র দিয়ে উপরের যে জায়গাটা সাজানো ছিল। উপরের এই অংশটুকু সাজানো দেখি আমার কাছে খুবই সুন্দর লেগেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অনেক মানুষ ছবি তুলছিল আমরাও সেখানে দাঁড়িয়েছিলাম। তবে ছবি তোলা হয়নি আমরা সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম কারণ আমাদের সাথে যারা গিয়েছিল তারা পাশের একটা দোকান থেকে কিছু কেনাকাটা করছিল।ষ তাদের জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। তখনই হঠাৎ করে একটা মেয়ে আসে এবং এসে আরুশ বাবুকে কোলে নেয়। এটাতো আমার কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার যখনই আরুশ বাবুকে কোলে নিয়ে রাস্তায় বেরোই বাজারে আশেপাশের অপরিচিত মানুষরা তাকে কোলে নেয়। তার মধ্যে কিছু কিছু আমার হাজবেন্ড ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের আত্মীয়-স্বজন হয়ে থাকে। রাস্তাঘাটে দেখলে তারা আরুশ বাবুকে অনেক আদর করে।
মেয়েটিকে দেখে মনে হল মেয়েটির সম্ভবত নতুন বিবাহ হয়েছে। তার হাজবেন্ডের সাথে ডিসি পার্কে ঘুরতে এসেছে। বাচ্চার প্রতি আগ্রহ থাকবেই এটাই স্বাভাবিক। মেয়েটা দৌড়ে এসে দূর থেকে আরুশ বাবুকে দেখে কোলে নিয়ে অনেক আদর করছিল এবং আরুশ বাবুর সাথে ছবি তুলছিল। আমি ভাবলাম হয়তো আমার হাজবেন্ডের কোন স্টুডেন্ট এখানেই এসে দেখা হয়ে গিয়েছে সেজন্য ছবি তুলছে। এরপর আমার হাজবেন্ডের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম যে আমার হাজব্যান্ড ও মেয়েটিকে চিনে না। পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম যে একটা অচেনা মেয়ে আদর করছিল। আমার কাছে এই বিষয়টা বেশ ভালো লেগেছে এবং ছেলেটার জন্য বেশ মায়া লাগলো। এমনিতেই ছোট বাচ্চা দেখলে মায়া লাগে সেজন্য দূর থেকে একটা বাচ্চা দেখলে আমরাও নিয়ে অনেক আদর করে থাকি কথা বলে থাকি। তবে সত্যি বলতে আমার আরুশ বাবু তার নিজের মানুষদের থেকে আদর ভালোবাসা পাইনি ঠিকই কিন্তু বাইরের মানুষরাও তাকে খুব ভালোবাসে। তবে ইনশাল্লাহ সবকিছু হিসেব একদিন হবেই আখেরাতে সবাইকে সবকিছু হিসাব দিতে হবে। আমরা মনে হয় সব থেকে বড় হিসাব আমিরাতের হিসাব। সেজন্য দুনিয়াতে কে কি করল তার হিসাব নিতে আমি চাইনা।
আমি কারো সাথে ঝামেলায় জড়াতে চাই না। আমি মনে করি দুনিয়াটা হচ্ছে পরীক্ষার একটা জায়গা। যেখানে আমাদেরকে সুন্দরভাবে চলাফেরা করে আখেরাতের জন্য কাজ করতে হবে। দুই দিনের এই দুনিয়ায় এত ঝামেলা করে কিহবে যেখানে সব কিছু মহান আল্লাহতালা হিসাব নিবে। দুনিয়ার সবকিছু হিসাব যখন নেওয়া হবে তাহলে আমি বাড়তি একটা খারাপ কাজ করে নিজের কাদের উপর গুনাহ নিব কেন। ব্যক্তিগত জিনিস উপস্থাপন করতে একদমই পছন্দ করি না কারণ এটা একটা কাজের জায়গা। সে কাজের জায়গায় আমি আমার ব্যক্তিগত ঝামেলা নিয়ে এসে এই কাজের পরিবেশটাকে নষ্ট করতে চাই না। কারণ আমি এই জায়গাটাকে খুবই সম্মান করি। সেজন্য চাইনা আমার পোস্ট পড়ে অন্যরা বিভ্রান্ত হোক। সব সময় চেষ্টা করি পোস্ট মাধ্যমে ভালো কিছুই শেয়ার করার। আসলে আজকে এটুকু শেয়ার করার কারণ সবশেষে আমার ছেলেটাই বঞ্চিত হলো। তবে ইনশাল্লাহ আমার আল্লাহ একদিন এই সবকিছু বিচার করবে।
যাইহোক এই মেয়েটির সাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়ে ছিলাম। আমরা মেয়েটা বেশ ভালো ছিল খুবই হাসিখুশি একটা মেয়ে তার জীবনটাও খুবই সুখে শান্তিতে কাটুক এটাই কামনা করছি। মেয়েটার সাথে কথাবার্তা শেষে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম। সেখানে খুবই সুন্দর সুন্দর জিনিস ছিল দিয়ে সাজানো। যেমন একটা ফুলের তৈরি গিটার ছিল। সেই গিটারের মধ্যে অনেক অনেক ফুল ছিল। সামনে এই ফুলের জায়গাগুলোর মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করছিলাম। ফটোগ্রাফি করার কিছু জায়গা ছিল সেখানে এত এত মানুষ লাইন ধরে রয়েছে ফটোগ্রাফি করার জন্য। লাইনে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি ইচ্ছে হলো না কারণ এমনিতেই ডিসি পার্কের একটা অংশ ঘুরে এসেছি অনেকটাই টায়ার্ড লাগছিল। যাইহোক এই ছিল আমার আজকের কিছু মুহূর্ত ডিসি পার্কে ঘোরাঘুরি করার। আশা করছি খুবই তাড়াতাড়ি আগামী পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
| শ্রেণী | ট্রাভেল |
|---|---|
| ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
| ডিভাইস | Vivo Y15s |
| লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।










.png)


Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/APatwary88409/status/1904969473138016256?t=2X4S9bY4z3WCcEB9qPsMQQ&s=19
ডিসি পার্কে কাটানো সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার কাটানো পুরো মুহূর্তটা ছিল অনেক বেশী সুন্দর। এক এক করে অনেক সুন্দর করে সবগুলো পর্ব শেয়ার করছেন। অপেক্ষায় থাকলাম পরবর্তী পর্ব টা দেখার জন্য।