নিজের হাতে লাগানো ঝিঙ্গা সবজি খাওয়ার অনুভূতি।
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে মঙ্গলবার , ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। আমি ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মতো আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমাদের বাড়িতে আমাদের নিজের হাতে লাগানো গাছে ঝিঙ্গা পাড়ার অনুভূতি। এর আগে আমি আপনাদের সাথে বিভিন্ন গাছ ও সবজি লাগানো এবং ফলমূল খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করেছি। সত্যি বলতে গেলে নিজের হাতে লাগানো গাছের ফল খেতে ভীষণ ভালো লাগে এর অনুভূতিটাই অন্যরকম। আমরা প্রত্যেক মৌসুমে যে ধরনের সবজি হয় সেই ধরনের সবজি লাগানোর চেষ্টা করি। এতে করে আমরা আমাদের প্রয়োজনমতো সবজি খেতে পারি আবার অন্যদেরকে দিতেও পারি। বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করলে নিজেদের চাহিদা পূরণ হয় আবার বাড়ির আশেপাশে বা আত্মীয় স্বজনের চাহিদা ও মেটানো যায়।
কিছুদিন আগে আমি যখন মায়ের বাসায় ছিলাম। তখন আমি এবং আমার মা মিলে কিছু ঝিঙ্গা গাছের বীজ বুনে দিয়েছিলাম। তারপর কয়েকদিনের মধ্যে আমি আমার শ্বশুর বাড়ি চলে যাই। এরপর আমার মা গাছের দেখাশোনা করে। তারপর একদিন আমার মা ফোন দিয়ে বলে ঝিঙ্গা গাছ গুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। আমার তো শুনে ভীষণ ভালো লাগে। তারপর গাছটি আস্তে আস্তে অনেক লতাপাতা ছড়িয়ে আরো অনেক জায়গায় বিস্তৃত হয়ে যায়। এরপর অনেক ফুল আসে শুরু করে। তবে ফুলগুলো যখন আসতো তখন বিভিন্ন পোকায় ফুল নষ্ট করে দিত এতে ঝিঙ্গা ধরেও নষ্ট হয়ে যেত। এরপর আমার আব্বু বাজার থেকে একটি বিষ নিয়ে আসে এবং গাছে স্প্রে করে দেয়। তারপর থেকে অনেক ঝিঙ্গা গাছে ধরে। ঝিঙা গুলো অনেক লম্বা লম্বা এবং বেশ ভালই মোটা হয়েছিল
যদিও আমি বিষ স্প্রে করার পক্ষে ছিলাম না কিন্তু পোকা গুলো একদমই গাছে ফল ধরতে দিচ্ছিল না। তাই একবার বিষ স্প্রে করেছে। তবে বিষ টা অনেক ভালো তাই একবার ব্যবহার করাতে কাজ হয়ে গেছে। এরপর থেকে আমাদের কাছে এখন অনেক ঝিঙ্গা ধরে। আমরা ঝিঙ্গা বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খাই সাথে অনেক আত্মীয় স্বজনদের ও দেই। বাড়িতে কোন সবজি গাছ লাগালে নিজেদের তো ইচ্ছামতো খাওয়া হয় আবার অন্যদেরকেও দেওয়া হয়। ঝিঙ্গা গাছসহ আমাদের বাড়িতে আরো চাল কুমড়া গাছ, পুঁইশাকের গাছ এবং করলা গাছ রয়েছে। বলতে পারেন আমরা চাই আমাদের বাড়িতে সব ধরনের সবজি চাষ করতে। এতে আমরা বিষমুক্ত সবজি খেতে পারি। যেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরনের সবজি পাওয়া গেলেও বেশিরভাগ সবজি বড় করতে বিষ ব্যবহার করা হয়। আর এই বিষ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আমি তো আমার বাচ্চাকে বিভিন্ন ধরনের সবজি খাওয়ানোর চেষ্টা করি। তবে বেশিরভাগ সময় চেষ্টা করি নিজের বাড়িতে তৈরি করা সবজিগুলো খাওয়ানোর জন্য। কেননা বাজার থেকে যেসব সবজি কিনে আনা হয় আমার কাছে মনে হয় বেশিরভাগই বিষ দিয়ে বড় করা হয়েছে। আমাদের বাড়িতে যেসব সবজি উৎপাদন করি সেগুলো বেশি মোটা বা বড় না হলেও এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
আজকে আমি আমাদের গাছ থেকে চারটা বড় বড় ঝিঙ্গা তুলেছি। ঝিঙ্গা গুলো আমার মা খুবই মজা করে রান্না করেছিল। রান্না খেয়ে তো আমার ভীষণ ভালো লাগলো। সব থেকে বেশি ভালো লাগে যখন মনে হয় যে এই সবজি টা আমাদের বাড়িতে আমরা নিজেরাই তৈরি করেছি। নিজের হাতে লাগানো সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। এ যে কত আনন্দের বিষয় সেটা হয়তো বা লিখে প্রকাশ করা যায় না। যাইহোক এই ছিল আমার আজকে পোস্ট। আপনাদের কাছে আমার আজকের পোস্ট কেমন লাগলো সেটা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আশা করব আমার অনুভূতিটা জানতে পেরে আপনাদের বেশ ভালো লাগবে। আজকে এখানে শেষ করছি। পরবর্তীতে আবার আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবার চেষ্টা করব। সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন শুভকামনা রইল।
আমি মোছাঃ ফাতেমা খাতুন। আমি এই প্লাটফর্মে ২০২৩ সালের জুন মাসের ২৩ তারিখে যুক্ত হয়েছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমার শখ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন রেসিপি এবং রঙিন কাগজ ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের জিনিস তৈরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে।প্রাকৃতিক সৌন্দর সহ বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতে ও আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমার বাংলা ব্লগে কাজ করতে পেরে আমি অনেক আনন্দিত।।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বাসায় যদি এরকম সবজির গাছ লাগানো হয় তাহলে টাটকা সবজি খাওয়া যায়। আপনার অনুভূতি বুঝতে পারছি আপু। নিজের গাছের সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। সুন্দর করে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন আপনি।
চেষ্টা করেছি আপু সম্পূর্ণ অনুভূতিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এ তো অনেক বড় ঝিঙে। বেশ ভালো লাগলো এমন ঝিঙে নিজের হাতে লাগানো গাছে হতে দেখে। আমিও পছন্দ করি নিজের হাতে যে কোন শাকসবজি গাছ লাগিয়ে সে গাছের শাকসবজি খেতে। তবে এবার আমাদের পুকুর পাড়ে শাকসবজি হয়েছে অল্প আর ঝিঙ্গে হয়েছে ছোট ছোট। বেশ ভালো লাগলো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করতে দেখে।
ঝিঙ্গা গুলো সত্যিই অনেক লম্বা লম্বা। আর খেতেও বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
তোমাদের গাছে তো দেখছি অনেক বড় বড় ঝিঙে ধরেছে। আমাদেরও অনেক ঝিঙে গাছ রয়েছে। তবে ধরে কম। আমি বেশ কয়েকদিন পুকুর পাড়ে উপস্থিত হয়েছি এবং সেখান থেকে উত্তোলন করে এনেছি। কিন্তু এত বড় ঝিঙে দেখে সত্যিই বেশ ভালো লাগলো।
আমিও এই প্রথম এত বড় বড় ঝিঙে দেখলাম। তবে নিজের লাগানো গাছ তাই অনুভূতিটা সত্যি অন্যরকম।
একদমই ঠিক বলেছেন আপু নিজের হাতের লাগানো সবজির স্বাদ একটু বেশি হয়।আপনি ও আন্টি মিলে ঝিঙে গাছ লাগিয়েছেন এবং সেই গাছের কি দারুণ ফল এসেছে। আসলে এরকম কচি কচি ঝিঙে খেতে অসাধারণ সুন্দর লাগে।বিষ প্রয়োগ না করলে পোকা ফল, ফুল ও গাছের আগাপাতা সব খেয়ে ফেলে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট টি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন জন্য।
আপু গাছে ফুল আসার সময় শুধু বিষ দিয়েছিলাম কেননা পোকাতে তো সব খেয়ে ফেলে। ধন্যবাদ আপু।
গ্রামের বাড়িতে গেলে দেখে পায় বাড়ির আঙ্গিনায় আশে পাশে এই ঝিঙে গাছ গুলো লাগিয়ে থাকে। যখন ফল আসে তখন দেখতেও দারুন লাগে। আপনার অনুভূতি পড়ে দারুন লেগেছে। ধন্যবাদ।