"ছুটে চলা এই জীবন"

in আমার বাংলা ব্লগ25 days ago

নমস্কার

বন্ধুরা, কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন।আমিও বেশ ভালো আছি।আজ আমি একটি অনুভূতি নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে।

ছুটে চলা এই জীবন:

IMG_20240508_115051.jpg

বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ও লিখতে ভালোবাসি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে অবিরত ছুটে চলা জীবনের সম্পর্কে আমার নিজস্ব অনুভূতি শেয়ার করবো।আসলে মানুষ সবসময় ছুটে চলে তার কর্মময় জীবনকে কেন্দ্র করে।কখনো বা চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে,সেটা নিয়েই লিখবো আজ।এক্ষেত্রে কারো কারো মত ভিন্ন হতে পারে তবে আমি শুধুমাত্র আমার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছি।আশা করি অনুভূতিটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।যাইহোক তো চলুন শুরু করা যাক----

জীবন মানেই অবিরত ছুটে চলা।এই ছুটে চলা জীবনের কোনো বিরাম নেই।তাই প্রয়োজনের তাগিদে হঠাৎ করেই বেরিয়ে পরতে হয় গতিময় জীবনের একটি নির্দিষ্ট বয়স পার হলেই।মানুষ দেশ -বিদেশ নানা জায়গায় ছুটে চলছে স্বপ্ন পূরণের আশায়।নিত্য-নতুন ছুটে চলার মাঝেই আমাদের জীবন।নিরন্তর ছুটে চলার মাঝেই এই জীবন আবদ্ধ।পদে পদে সব বাঁধা পেরিয়ে এই জীবনের দীর্ঘশ্বাস।চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে তাই মানুষের জীবনের তুলনা করা হয়েছে।কখন কিভাবে কাজ এসে পড়বে আর আপনাকে ছুটতে হবে সেটা বলা মুশকিল।মাঝে মাঝেই নিজের জীবনকে অনেক ধূসর বলে মনে হয়।এই আমার কথায় ধরুন না---

IMG_20240508_115026.jpg

কিছুদিন ধরে আমার খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে সময় কাটছে।যেহেতু এখন ধান কাটার সময়, তাই পরিবারের সবাই মাঠে ব্যস্ত।আমাকে ঘরে রান্নাবান্না ও অন্যান্য কাজ সামলে আবার এখানেও সময় দিতে হচ্ছে।সঙ্গে আমার ইন্টারনাল এক্সামের বাড়তি চিন্তা সেটাও মাত্র কয়েকদিন বাকি।ইন্টারনাল তাই আমাদের একজন ম্যাম যে বই থেকে আমাদের প্রশ্ন দেন আমি চেষ্টা করি সেই বই কেনার জন্য।এইবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।আর এইসব কেনাকাটার কাজে আমার দাদা-ই আমাকে সাহায্য করে।কিন্তু দাদা তো বাড়িতে নেই,এইজন্য আমাকে ছুটতে হচ্ছে।

গতদিন বাবার সঙ্গে দাদার পরিবর্তে আমাকে যেতে হলো একটি কাজে।সেখানে গিয়ে জানলাম সরকারি ছুটি রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে।তাই পরের দিন যেতে হবে,বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে আসলাম।যেহেতু সময় খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে তাই এক একটি দিনের মূল্য আমার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।কারণ এক্সাম আসলেই আমার খুবই চিন্তা হয়।সেই খাঁ খাঁ রোদ্দুরে ছুটলাম বর্ধমানের উদ্দেশ্যে বই কিনতে।কারণ বৃহস্পতিবার অধিকাংশ দোকান বন্ধ থাকে,আর রইলো শুক্রবার।সামনে দুইদিনের নিশ্চয়তা নেই তাই শুধুমাত্র শুক্রবারের ঝুঁকি নিতে চাইনা আমি।

ক্লান্ত শরীর নিয়ে তাই আবারো বাড়ি থেকে বেরিয়ে টোটো করে ট্রেন স্টেশন এসে টিকিট কেটে নিলাম।তারপর অনেকটা অপেক্ষার পর 12.3 এর ট্রেন চলে আসলো 12.20 তে,তারপর এ গিয়ে ট্রেন ধরলাম।অপেক্ষা করার সময় আমাদের স্টেশন থেকে এই ছবিগুলো সংগ্রহ করেছিলাম।কিন্তু দুপুরের ট্রেন তো সবজায়গায় দাঁড় করিয়ে রাখলো অনেকটা সময় ধরে।স্টেশন থেকে নেমে অনেকটা সময় পর তারপর বইয়ের দোকানে পৌঁছে বই কিনে নিজের কাজ মিটালাম।এরপর আবারো ছুটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।বুঝলুম--গতিশীল জীবনে কখন ,কিভাবে কাজ এসে পড়বে এবং ছুটতে হবে সেটা বলা খুবই জটিল।


আশা করি আমার আজকের অনুভূতিটি আপনাদের সকলের কাছে একটু ব্যতিক্রম লাগবে।পরের দিন আবার নতুন কোনো বিষয় নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে, ততক্ষণ সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।

পোষ্ট বিবরণ:

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PkpkXyXwzmWEkSA7U2PjRr7VoGxjyzQFnZHCkVBWn57JTVUvY7omc512mhJJX...vDZX3Fcaov38Zxjxq21rAE9wN1b8HnrBKZamZjaRXZMJVUcaVKGLWFRFVNG6MXCo9ptvvGTefY61oasZ4TrQFVwMiYWBFUH8ivxFm1LbtvBRqtkowye4ZCeEyk.png

শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসpoco m2
অভিবাদন্তে@green015
লোকেশনবর্ধমান,পালসিট

3DLAmCsuTe3bV13dhrdWmiiTzq9WMPZDTkYuSGyZVu3GHrVMeaaa5zs2PBqZqSpD3mqpsYSX3wFfZZ5QwCBBzTwH9RFzqAQeqnQ3KuAvy8Nj1ZK1uL8xwsKK6MgDT8xwdHqPK76Y63rPyW9N4QaubxdwM3GV2pD.gif

আমার পরিচয়
আমি রিপা রায়।আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @green015.আমি একজন ভারতীয়।আমি একজন বাঙালি হিসেবে গর্ববোধ করি।আমি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।বাংলা ভাষায় মন খুলে লেখালেখি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।

IMG_20240429_201646.jpg
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 25 days ago 

Thanks.

 25 days ago 

হ্যাঁ আপু, এখন ধান কাটার সময়। তাই কৃষি কাজের জন্য প্রায় পরিবার খুবই ব্যতিব্যস্ত। আর থেকে এই মুহূর্তে যখন নিজের উপর দায়িত্ব পড়ে রান্নাবান্নার তাহলে তো অবশ্যই নিজের লেখাপড়ার পাশাপাশি এ সমস্ত দায়িত্ব পালন করতে বেশি হিমশিম খেতে হবে। যাইহোক ব্যস্ততম মুহূর্তের বিস্তারিত বিষয় শেয়ার করেছেন পড়ে অনেক জানতে পারলাম।

 25 days ago 

আসলেই ভাইয়া, হিমশিম খেতে হচ্ছে।ধন্যবাদ ভাইয়া।

 25 days ago 

আপনার বই সাধারণত দাদা কিনে দেয়। এবার তার অনুপস্থিতিতে বাবার সাথেও বিভিন্ন কাজে যেতে হচ্ছে, আবার নিজের কাজগুলো তো আছেই। তার উপর সামনে পরীক্ষার টেনশন! আসলে সব মিলিয়েই তো জীবন! এভাবেই বড় হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বাড়তি দৌড় শুরু হয়! এর মাঝেই অভিজ্ঞতা অর্জন করে সামনের পথ পাড়ি দিতে হবে। ফটোগ্রাফি গুলো কি পলাশ গাছের আপু?

 25 days ago 

ঠিক বলেছেন, সব মিলিয়েই জীবন।না আপু এটা পলাশ ফুল নয়,কৃষ্ণচূড়া ফুলের ছবি।

 23 days ago 

জীবন মানেই অবিরত ছুটে চলা বোন। আর এখন সময়ের যা মূল্য তাতে সবাই কমবেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে তোমার কথাগুলো পড়ে বুঝতে পারলাম তুমি আসলেই অনেকটা ব্যস্ত। একদিকে তোমার পরীক্ষা, অন্যদিকে বাড়ির অনেক কাজ তোমাকে একাই সামলাতে হচ্ছে, তাছাড়া আবার এখানেও কাজ করতে হচ্ছে। তবে চিন্তা করো না, আশা করি আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।

 23 days ago 

হুম দাদা,আসলে সব কাজ একই সময়ে এসে পড়ে।তোমার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো, ধন্যবাদ তোমাকে।

 22 days ago 

বোন, এই বয়সটাতে একই সময়ে আসা সব ধরনের কাজকে সামলে নেওয়া শিখে নিতে হয়।

 22 days ago 

একদম-ই তাই দাদা👍।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.030
BTC 69000.61
ETH 3825.74
USDT 1.00
SBD 3.48