স্কুল জীবনের গণ্ডি পেরিয়ে প্রথম কলেজ যাত্রা ও ভ্যাকসিন গ্রহণ(10% বেনিফেসিয়ারী লাজুক খ্যাককে)
নমস্কার
বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করি সকলেই ভালো আছেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে।আজ আমি আপনাদের সঙ্গে কোনো রেসিপি বা অঙ্কন শেয়ার করবো না বরং প্রথম কলেজ যাত্রা ও করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলবো।
স্কুল জীবন অর্থাৎ উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে এই বছর নতুন কলেজে ভর্তি হলাম।আমাদের এখানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত স্কুল জীবন।ভর্তির জন্য দুটি কলেজের ফর্ম ফিলাপ করে দুটিতেই চান্স পেয়ে গেলাম।একটি মহিলা কলেজ ও অন্যটি ছেলে- মেয়ে উভয়েই রয়েছে।আমাদের বর্ধমান জেলা দুটি ভাগে বিভক্ত ।তাই দুটির মধ্যে আমরা যেখানে বসবাস করি একটাই মহিলা কলেজ রয়েছে।আমরা যেহেতু শহরে বসবাস করতাম তাই নতুন জায়গায় মহিলা কলেজকেই বেছে নিয়ে ইতিহাস বিভাগে অনার্সে ভর্তি হলাম। আমার কলেজটির নাম-"মহারাজাধিরাজ উদয়চাঁদ মহিলা মহাবিদ্যালয়"।ভর্তি বা সব কিছুই অনলাইনে হল কারণ প্রতিষ্ঠানগুলি এখনো বন্ধ।পূজার পরে প্রতিষ্ঠানগুলি খুলতে পারে।যাইহোক সবে 3 দিন হল অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে।এছাড়া আমাদের কলেজ থেকে করোনো ভ্যাকসিন দেবে বলে নির্দেশ দিল সরকারিভাবে।তাই দেরি না করে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য বুক করে দিলাম।তারপর আমার ভ্যাকসিনের সিরিয়াল নম্বর, সময় এবং রুম নম্বর সবকিছুই চলে আসলো ফোনে।শুধু কলেজে গিয়েই নিতে হবে ভ্যাকসিন।
লোকেশন
(আমাদের ঐতিহাসিক কলেজের নাম)
প্রথম কলেজ যাত্রার অভিজ্ঞতা:
বাড়ি থেকে বের হওয়া মানেই আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার সমান।তাও আবার হঠাৎ নতুন জায়গায়।বারবার কোথাও যাওয়া এবং অভ্যস্ত জায়গায় গেলে আমার সমস্যা না হলে ও নতুন কোথাও যাওয়ার কথা শুনলেই আমি দুর্বলতা বোধ করি।কারণ নতুন কোথাও জার্নি করতে আমার ভালো লাগলেও প্রচণ্ড সমস্যা অর্থাৎ প্রচন্ড মাথা ধরে।এরপর নির্দিষ্ট দিনে অর্থাৎ গতদিন দাদা আর আমি গুছিয়ে সকালে বেরিয়ে পড়লাম।প্রথমে আমাদের ট্রেন স্টেশন অর্থাৎ প্রায় 20 মিনিটের রাস্তা পর্যন্ত দাদা আমাকে সাইকেলে করে নিয়ে গেল।তারপর সাইকেল গ্যারেজে লক করে চলে গেলাম টিকিট কাউন্টারে ,টিকিট কেটে বর্ধমান যাওয়ার ট্রেন ধরলাম।আমাদের স্টেশন থেকে 2 টি স্টেশন পেরিয়ে বর্ধমান শহর।তারপর দাদা আমি ট্রেন থেকে নেমে সোজা টোটো ধরে কলেজ চলে গেলাম।
লোকেশন
(সামনের কলেজের রুমে রিপোর্টিং হয়েছিল)
কলেজে নতুন পদার্পণ ও ভ্যাকসিন গ্রহণ:
তারপর কলেজে নতুন পদার্পণ করলাম।চারিদিকে ঘুরে ঘুরে দেখলাম কলেজের ইয়া বড়ো ক্যাম্পাসটি।দাদা কিছু ছবি ও ক্যামেরাবন্দি করলো।এরপর অনেক খুঁজে পেয়ে গেলাম আমাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার রুমগুলি।আমি যেহেতু কলেজে নতুন ভর্তি হয়েছি তাও আবার অনলাইনে তাই আমরা কেউ কাউকে চিনি না।নতুন অনেক জন এসেছিল ভ্যাকসিন নিতে।আবার অনেকে ভ্যাকসিন বুক করে ও আসে নি।যাইহোক নতুন কলেজ তারপর সবাই নতুন দুই-একজনের সঙ্গে পরিচয় করলাম।কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার ইতিহাস বিভাগের একটি মেয়ের সঙ্গেও পরিচিত হতে পারে নি।বাড়ি থেকে আধার কার্ড নিয়ে যেতে বলা হয়েছিল সেটি দেখেই কলেজের ম্যাম রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছিলেন।যাইহোক কম স্টুডেন্ট যাওয়ায় আমরা তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন পেয়ে গেলাম।আমাকে কলেজ থেকে "covishield" ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দিয়েছিলেন। আমাদের কলেজের পাশেই রয়েছে বর্ধমান ইউনিভার্সিটি।বর্ধমান ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি অনার্স পড়ানো হয় না।ওই ইউনিভার্সিটির আন্ডারে অনেক কলেজ রয়েছে।তার মধ্যে আমার কলেজটি ও। আমার ভ্যাকসিন নেওয়ার সময়টাতে দাদা বর্ধমান ইউনিভার্সিটি ঘুরে দেখে আসলো এবং কিছু ফোটোগ্রাফি ও করল ফোনে।তারপর আমার ভ্যাকসিন নেওয়া শেষ হলে দাদা আর আমি টোটো ধরে বর্ধমানের বিখ্যাত কার্জন গেটের সামনে এসে নামলাম।তারপর বিভিন্ন ফলমূল ও বিভিন্ন খাবার কেনাকাটা করতে করতেই বর্ধমান ট্রেন স্টেশনে চলে আসলাম ।আর সোজা ট্রেন ধরে আমাদের স্টেশনে নেমে আবার দাদার সাইকেলে চেপে চলে আসলাম বাড়িতে।
বর্ধমান যেহেতু ঐতিহাসিক স্থান।সেহেতু বর্ধমান শহরের আনাচে কানাচে লুকিয়ে আছে হাজারো ইতিহাস।তেমনি আমাদের কলেজের ও একটি ইতিহাস রয়েছে ।তাই আমি @green015আপনাদের সামনে তুলে ধরবো সেই ইতিহাসের কিছু কথা ও কলেজের ক্যাম্পাসের কিছু ফোটোগ্রাফি পরের পোষ্টে।ততক্ষণ সঙ্গে থাকুন বন্ধুরা।
আশা করি, আমার আজকের প্রথম কলেজ যাত্রা ও ভ্যাকসিন নেওয়ার অভিজ্ঞতাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
সকলেই ভালো ও সুস্থ থাকবেন।
ক্যামেরা: redmi note 10 pro max
ফোটোগ্রাফার: @simaroy
প্রথম কলেজে যাওয়ার অনুভূতি টা অন্যরকম।তোমার কলেজ টি দেখতে খুব সুন্দর।এবং তোমাকেও খুব সুন্দর লাগছে।একদিন তোমার কলেজটি ঘুরে দেখাবে বোন? তোমার জন্য শুভকামনা রইলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ বৌদি।আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।আমি আমার কলেজের ইতিহাস ও ক্যাম্পাসটির ফোটোগ্রাফি শেয়ার করবো খুব তাড়াতাড়ি, দেখার আমন্ত্রণ রইলো বৌদি।আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায়।
ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর ছিল আপনার মুহূর্তটি কলেজ জীবনের প্রথম কাউকে চিনেন না অভ্যস্ত হওয়া খুবই কঠিন। আমারও কোন জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছা হলে মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রণা করে এবং আসলেই আপনার অভিজ্ঞতা অনেক ভাল ছিল অনেক সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন এবং প্রথম ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন এক কথায় অসাধারণ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
প্রথম কলেজে যাওয়ার অনুভূতিটা একটু অন্যরকম।শুভকামনা রইল দিদি আপনার কলেজ লাইফের জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।কিন্তু এখনো কলেজ খোলে নি,শুধু ভ্যাকসিন নিতে গিয়েছিলাম।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার জন্য অনেক অভিনন্দন রইল দিদি।প্রথম কলেজ যাওয়ার অনুভূতির কথা গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ দাদা,আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনাকে কিন্তু খুব সুন্দর লাগছে আপু।
আপনার কলেজটিও অনেক বেশি সুন্দর।
পরিবেশটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
শুভকামনা আপনার কলেজ জীবনের জন্য।
আপু ,আমাদের কলেজ এখনো ক্লাসের জন্য খোলে নি,শুধু ভ্যাকসিন দিয়েছে।পূজার পর খুলতে পারে।হ্যাঁ ,আমাদের কলেজটি সুন্দর ও অনেক ইতিহাস আছে।পরের কলেজের ক্যাম্পাসের পোষ্ট দেখার আমন্ত্রণ রইলো আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
শুভ হোক আপনার প্রথম কলেজ যাত্রা এবং আপনি যে টিকাটি গ্রহণ করেছেন সৃষ্টিকর্তা যেন এটির মাধ্যমে আপনাকে সুস্থ ও সবল রাখে
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রথম কলেজে যাওয়ার অনুভূতি আসলেই অন্যরকম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ।অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
নতুন কলেজের জীবন সুখের হোক সেই আশীর্বাদই করি দিদি। নতুন কলেজের আপনার কাটানো মুহূর্ত পড়ে ভালো লাগলো। কার্জন হল সম্পর্কে এর আগেও শুনেছিলাম মোটামুটি, আপনার পোস্টের মাধ্যমেও কিছু তথ্য জানতে পারলাম। পরের পোস্টে কলেজের ইতিহাস জানার অপেক্ষায় রইলাম দিদি।
হ্যাঁ ভাইয়া, আমার দাদা স্ট্রিট ফুড প্রতিযোগিতায় কার্জন গেট সম্পর্কে বলেছিল।অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি কলেজের ইতিহাস সম্পর্কে বলবো ভাইয়া।পাশে থাকুন এভাবেই।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার আগামী জীবনের জন্য শুভকামনা রইল আপু। কোভিড-১৯ আমাদের সবার জীবন স্থবির করে দিয়েছে। নতুন করে আবার জীবন গড়ার সময়।
ঠিক বলেছেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনার প্রথমদিনের কলেজে যাওয়ার মুহূর্ত পড়ে ভালো লাগলো আপু। ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন জেনে খুশি হলাম। কার্জন হল সম্পর্কে জানতে পারবো আশা করি আপু।
অবশ্যই কার্জন গেট সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবো আপু।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।