শায়ান বাবুর খেলাধুলার সুন্দর মুহূর্ত ❤️

in আমার বাংলা ব্লগ27 days ago

"হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়াই এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আমার ছেলেটা দেখতে দেখতে চোখের সামনে একটু একটু করে বড় হচ্ছে। ওর নতুন নতুন এক্টিভিটিস গুলো আমি সবসময় মন ভরে দেখি।মা হয়ে সন্তানকে চোখের সামনে বেড়ে উঠতে দেখার মতো সুন্দর মুহূর্ত আর কিছু হতে পারে না। ছোটবেলা থেকে ছেলেটা আমার শহরে বড় হয়েছে একটা বন্ধ বাসায়।যখন থেকে একটু একটু করে বড় হতে থাকলো দেখলাম গ্রামে আসলে ছেলে আমার খুব খুশি হত। কিছুতেই শহরে যেতে চাইত না। এখন ও অনেকটাই বড় হয়ে গেছে। একটু বিরক্ত হলেই বলতে পারে "নানা বাসায় যাব,গাড়ি ডাকো মাম্মা।" তাই যখনই বায়না ধরে তখনই আসতে হয়।

Screenshot_20240505_133441_Video Player.jpg

20240505_133230.jpg

20240505_133230.jpg

ওর সঙ্গে সঙ্গে গ্রামে আসতে আসতে আমারও শহরে খুব একটা মন টেকে না। যাইহোক এবার যখন প্রচুর গরম পড়েছিল তখন গ্রামে এসেছি। প্রায় 15 দিনের মতো হবে। এবার অনেকদিন থাকা হয়েছে হয়তো সামনে আরো কিছুদিন থাকবো। তাই ছেলে এবার একদম গ্রামের মাটির সাথে মিশে গিয়েছে। আমি ওকে ওর মত করে ছেড়ে দিয়েছি কোনো কিছুতেই বারণ করি না। এখানে ওর সাথে খেলাধুলার জন্য আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলেরা আছে। আজ দুপুরবেলা দেখলাম ছেলে আমার তার মামাতো ভাইয়ের কাছ থেকে একটা পানির বোতল নিয়ে এসেছে যেটা দিয়ে রং স্প্রে করে বাচ্চারা।

20240505_133304.jpg

20240505_133331.jpg

20240505_133236.jpg

এখন যার কাছ থেকে সেটা এনেছে সেও ছোট বাচ্চা। বেশ কান্নাকাটি করছিল। এদিকে আমার ছেলেকেও বোঝাতে পারছিলাম না। পরে বাধ্য হয়ে নতুন করে তাকে কিনে দিতে হয়েছে।আসলে ছোট বাচ্চারা এমনই যার কাছে নতুন কিছু দেখে সেটাই নিতে বায়না করে। যাইহোক এরপর স্প্রে বোতলটি পাওয়ার পর থেকে শুধু সেটা নিয়েই খেলছে। ভাবলাম এই মুহূর্তগুলো আমি ক্যামেরা বন্দি করে রাখি। কারণ আমার মনে হয় না শহরের বাচ্চারা এ ধরনের খেলার সঙ্গে অভ্যস্ত। সেই থেকেই এই ফটোগ্রাফি গুলো করা এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করা।

গ্রামে আসলে ওর খেলাধুলার অনেক সুন্দর সুন্দর মুহূর্ত থাকে। যেগুলো আমি মাঝেমধ্যে ক্যামেরা বন্দি করি এবং শেয়ার করার চেষ্টা করি। আরো বেশ কিছু দুষ্টু মিষ্টি মুহূর্ত আছে সেগুলো শেয়ার করার চেষ্টা করব পরবর্তীতে।আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

24QmLBi2hi5sxeF4rfhXesN4Z3rEWTikWPFADtR6zyMx1EmYRYsQvFLAH72WL1voB5Qv1bAb8AZSXixgFjhiMWAnz2UA9cMfriUVJ7ctL7...nSLVWX5o43xBXmLDdwhihbXiBhaPqShV2SFRHcKYd8CXKMs5RdPFoVngFzUPZy735MKSBrn82U6bCmY9F8MzT3ucNgZ2hGFcSdZg7fSmWifdcnibPP7TB2AbsL.png

rd3GVFgaNqfa5weVZtxxbjKtDyTEHjfxPPPJvmPbgZ2G7pL6CvtSE5hy2br8XMSLKQjggTDT9dnZnYJupZM3bE9EMptuNvwQ2hwzoB25vf...UfGWJsmL5WHRq3WCUtTYe3KuZwiwVWXjmcT4nR7Sp38QJcEKsECc5HkaDsrUqeJnKLKD88mQATt9SKpEEaMFtxZgahKHjxRb3MydeP5LoDjkQnmc2YmxygubZF.gif

Xaey6XUsuMsULyX7cP1nbTWJzYmPAgo7FUiwufHRk6Jy2gyG1Db2Jf3F8zDR4enXrGJXJVY8zjUpsz8r7ybb4LRV5UxeCYiYK1QPL3cJGf...AYxpdPLKDUL7U8qu4Pikt2pYsm5FijpvHVGxLifJJPzqmZNKMNA2z45a46JW8rG61eode8Q5PXFhQEQKZCgnKP8ynSwFBAExhqvJUM7KDLc3AeqHmeUQyR5QSZ.gif

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 27 days ago 

একদম ঠিক বলেছেন আপু মায়ের চোখের সামনে যখন ছেলে হেসে খেলে বড় হয় এটা সত্যি অনেক আনন্দের দৃশ্য। আর বাবুটা দিনে দিনে আরো বেশি মিষ্টি হয়ে উঠছে। সায়ানের হাসি মাখা মুখ দেখে অনেক ভালো লেগেছে। গ্রামের বাসায় গেলে সে অনেক খুশি হয়ে যায় বুঝাই যাচ্ছে।

 27 days ago 

হ্যাঁ আপু গ্রামে আসলে সে মহা খুশি। দোয়া রাখবেন আপু বাবুর জন্য।

 27 days ago 

আমার কাছে ছোট বাচ্চাদের খেলা ধুলা করা দেখতে বেশ ভালো লাগে। আজকে দেখছি আপনার ছেলে একটি পানির বোতল দিয়ে নিজের শরীরের মধ্যে স্প্রে করছে। আসলে শহরের থেকে গ্ৰামের পরিবেশ একটু খোলামেলা, তাই আপনার ছেলে গ্ৰামের মধ্যে আসলে আর শহরের মধ্যে যেতে চায় না।

 27 days ago 

হ্যাঁ ভাইয়া সে গ্রামের খোলামেলা জায়গায় খেলাধুলা করতে খুবই পছন্দ করে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 27 days ago 

আপু আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আপু ছোটদের একটা বায়না থেকেই থাকে যেন নানার বাসায় বেড়াতে যাব। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার ছেলে বায়না করলে সে বায়না না ফেলে আপনি তাকে তার নানার বাসায় নিয়ে এসে ঘুরিয়ে নিয়ে যান বিষয়টা বেশ ভালো লাগলো। আসলে ছোটরা যখন খেলাধুলা করে তখন দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনার ছেলে দেখছি বেশ দারুন একটা সময় পার করছে নানার বাসায় আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 27 days ago 

নানা বাড়িতে আসলে সে বরাবরই ভালো মুহূর্ত কাটায়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।

 27 days ago 

শায়ান বাবুর খেলাধুলার সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো। ছোট বাচ্চারা এমন সুন্দর জায়গা পেলে খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এধরনের খোলা মেলা গ্রামীণ পরিবেশ আমার কাছে ও ভীষণ ভালো লাগলো। শায়ান বাবুর জন্য দোয়া এবং শুভ কামনা রইলো।

 27 days ago 

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

 26 days ago 

এটা একেবারেই সত্যি কথা আপু, মা হয়ে সন্তানকে চোখের সামনে বেড়ে উঠতে দেখার মতো সুন্দর মুহূর্ত আর কিছুই হতে পারে না। তবে আমিও কিন্তু ছোটবেলায় শহরে মানুষ হলেও, গ্রামে থাকতেই অনেক বেশি পছন্দ করতাম। চার দেয়ালের ভিতর বন্দী হয়ে কে থাকতে চায় আপু বলেন? তবে ছোট ছোট বাচ্চারা যা কিছু দেখে সেটাই নিতে বায়না করবে, এটাই তো স্বাভাবিক। আমরাও ছোটবেলায় এরকম কত করেছি তার ঠিক নেই।

 24 days ago 

একদম মনের কথা বলেছেন ভাইয়া শহরের বন্দী জীবন একদমই ভালো লাগেনা। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য।

 24 days ago 

শহরে বিভিন্ন কাজের জন্য থাকতে হয় সেই জন্য থাকি, মন থেকে শহর ভালো লাগে না আপু।

 25 days ago 

বাহ্! শায়ান বাবু তো দেখছি ভীষণ খুশি। আসলে বাচ্চারা গ্রাম্য পরিবেশে সময় কাটাতে খুব পছন্দ করে। শহুরে জীবনটা হচ্ছে একেবারে বন্দী জীবন। বন্দী জীবনে তো আমরাই হাঁপিয়ে উঠি,আর বাচ্চাদের তো আরও বেশি খারাপ লাগে। যাইহোক গ্রামে সবাই মিলে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছেন আপনারা। শায়ান বাবুকে বাধ্য হয়ে স্প্রে বোতল কিনে দিয়েছেন তাহলে। স্প্রে বোতল নিয়ে তো দেখছি খুব মজা করছে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 24 days ago 

হ্যাঁ ভাইয়া শহরে তো আমরা বড়রাই হাঁপিয়ে উঠি। সেখান দিয়ে বাচ্চারা তো আরো বেশি বন্দী মনে পড়ে নিজেকে। কারণ তারা তো খোলামেলা জায়গা বেশি পছন্দ করে। জ্বী ভাইয়া বাবু এই স্প্রে বোতল পেয়ে অনেক খুশি হয়েছিল।

Coin Marketplace

STEEM 0.27
TRX 0.11
JST 0.031
BTC 67731.65
ETH 3780.34
USDT 1.00
SBD 3.51