The beauty of nature exists only through planting trees
ফুলের সৌন্দর্য,
প্রিয় বন্ধুরা মনে পড়ে কি সেই ছোটবেলার কথা? যখন আমরা একেবারেই ছোট ছিলাম অর্থাৎ চতুর্থ শ্রেণি পঞ্চম শ্রেণী অথবা ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যায়নরত অবস্থায়; তখন অনেক রকমের ঘাসফুল দেখতে পেতাম।
বর্তমান সময়ে কি সেই ফুলের দেখা মেলে! না একদমই না! কেননা আগের মত আর বাড়ির পাশে জঙ্গল ছিল না। এখানে জঙ্গল বলতে বুঝিয়েছি ঘাস এবং ছোট ছোট গাছ অথবা ফুলের বাগান।
যদিও এখনো মানুষ যত্নশীল আছে; তবে সেই যত্নশীল বিভিন্ন বারান্দায় টপের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কেননা এখন মানুষ বাড়ির আঙিনায় বা সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য খুব একটা ফুলের গাছ লাগায় না।
- খুব কম দেখতে পাই একই সাথে যারা বাড়িঘর চমৎকারভাবে সাজিয়েছে ইট সিমেন্ট দ্বারা তাদের বারান্দাতে মাঝেমধ্যে ছোট ছোট ফুলের গাছ টপের মধ্যে দেখতে পাই। তবে ইহা ও বেশ ভালো, নাই ফুল গাছের চাইতে!
আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে এখন শহর সহ গ্রামের প্রত্যেকটি আনাচে-কানাচে প্রত্যেক মানুষ পরিবর্তন হতে শুরু করেছে এমনকি পরিবর্তন হয়ে গেছে অত্যান্ত বেশি। যাকে বলা হয় ডিজিটাল যুগ।
এখানে আধুনিকতার পরিবর্তন এসেছে কি কি তার মধ্যে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরতেছি:
সমাজের প্রতি কেমন যেন অনীহা দেখা যাচ্ছে! কিছুটা সবাই সবাইকে নিয়ে যেন ব্যস্ত হয়ে ছুটেছে।
গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্য নয় বরং গাছ কেটে জীবন বিলাসে ব্যস্ত। অথচ গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্য এবং পরিবেশ বাঁচানো অপরিহার্য!
আগে দেখতাম অধিকাংশ বাড়িতেই ফুলের গাছ থাকতো, বাড়ির পাশ দিয়ে তে গেলেই যেন ফুলের ঘ্রাণে নিঃশ্বাস নিতেই ইচ্ছা করত, ছাড়তে নয়! 😊
শুধুমাত্র ফুলের গাছ নয় বরং পরিবারের বিভিন্ন খাবারের চাহিদা মেটানোর জন্য কাঁচামরিচ, টমেটো 🍅, লাউ সহ বিভিন্ন শাকসবজি চাষ আবাদ করতো।
এখন আর নেই এমন পরিবেশ; কেননা আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে সেই পুরনো সভ্যতা সংস্কৃতি বিষয়ক প্রত্যেকটি ক্ষেত্র।
এর থেকে কি কোনো উপায় নেই পরিত্রাণ পেতে! হ্যাঁ অবশ্যই আছে তবে অত্যন্ত কঠিন এবং অধ্যাবসায় লাগবে প্রচন্ড। নিজেকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
আপনার নিজেকেই চাষাবাদের দিকে যুক্ত হতে হবে কৃষি ক্ষেত্রে যুক্ত হতে হবে। তবে যদি গ্রামের দিকে যাওয়া যায় তাহলে দেখা যায় এখনো অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলোতে ফরমালিন মুক্ত খাবার পাওয়া যায়। সবুজ শ্যামল প্রকৃতির মাঝে শাকসবজি ফলমূল চাষাবাদ হয়।
যাইহোক প্রকৃতির সৌন্দর্য নিয়ে একই সাথে কিভাবে এই প্রকৃতিকে আরও সৌন্দর্যমন্ডিত করা যায় এজন্য আমাদেরকে আরো কাজ করতে হবে প্রকৃতিকে ভালবাসতে হবে, প্রকৃতিকে সৌন্দর্য করার জন্য গাছ লাগানোর বিকল্প নেই!
ফুল গাছের মাধ্যমে সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। আসুন আমরা ফলমূল সহ ফুলের গাছ রোপন করি। প্রকৃতির মাঝে নিজেদেরকে বেশি বেশি ব্যস্ত রাখি।
@meraindia
account @null
account for price increase.
আপনার লেখার মধ্যে একটি মেসেজই বারবার এসেছে যে গাছ লাগানো কতটা জরুরী। আসলেই তাই। এবারের তীব্র তাপদাহ আমাদেরকে গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষা দিয়ে গেছে। আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমানে অনেকেই বাসা বাড়ি সাজাতে ফুল গাছ লাগালেও প্রকৃতির স্বার্থে গাছ লাগানোর সংখ্যা খুবই কম।
আর যে ঘাসফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন তা খুবই চমৎকার হয়েছে। বর্তমানে ঘাসফুলও খুব একটা দেখা যায় না। আপনার পোস্টে ঘাসফুলের ছবি দেখে খুবই ভালো লাগলো।
https://twitter.com/Md_Jakaria121/status/1790356967283937530?t=rltV-VnElbz8CCFubAyf4A&s=19
গাছ লাগানোটা আসলেই খুব জরুরি। আমরা নিজেদের ধ্বংস নিজেরাই ডেকে আনছি গাছ কেটে বা না লাগিয়ে। আমরা যারা শহরে বাস করি তারা চাইলেও গাছ লাগাতে পারি না জায়গার অভাবে। আমি নিজে গাছ লাগাতে ভালোবাসি ,কিন্তু ছোট্ট বারান্দা ছাড়া জায়গা নেই। এর মাঝেই যতটা সম্ভব চেষ্টা করি লাগাতে। আর এটা আমার মতো অনেকেই করে।
ঠিকই বলেছেন ,সবকিছুই হাইব্রিড। অর্গানিক জিনিস পাওয়াই যায় না। আর যেগুলি পাওয়া যায়,
সেগুলির দাম আকাশ ছোয়া।
আপনার তোলা ঘাস ফুলের ছবিটা অসাধারণ হয়েছে।
ভালো থাকবেন সবসময়।
আপ্নি ভালো লিখেন এটা জানা ছিল তবে আজকের ফটোগ্রাফি দেখে এটাও জানলাম যে আপনি একজন ভালো ফটোগ্রাফার। আসলে মানুষ এখন শুধু বাসাবাড়িতে শখের বসে কিছু গাছের চারা লাগায়,এদের বেশির ভাগই আবার পাতাবাহার টাইপের। কেননা ফুল হতে হলে রোদের দরকার পড়ে, আর শহরের বাড়িতে রোদের দেখা পাওয়া কষ্টের।
ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্য।
বর্তমান সময়ে যে, গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে তা আসলেই আমাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
ঘাসফুল আমাদের বাসায় অনেকগুলো রয়েছে। যখন সকালবেলা একসাথে অনেকগুলো ফুল ফুটে দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
আপনার ঘাস ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
আপনার জন্য সব সময় শুভকামনা রইল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
প্রিয় ভাই, দারুণ একটি লিখা আমাদের মাঝে ভাগ করে নেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার কথা ঠিক, আমরা গাছ লাগানোর পরিবর্তে বর্তমান নিজের বিলাসিতার কারণে গাছ কাঁটায় ব্যস্ত। এর ক্ষতিকর দিক এখন আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। বর্তমান বৃষ্টি খুব কম হচ্ছে। এর একমাত্র কারণ হলো গাছের পরিমান কমে গিয়েছে।
আপনি টাটকা সবজি ও ফলমূল খাওয়ার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে আপনার লিখা ও ফুলের ফটোগ্রাফি দারুণ হয়েছে। ভালো থাকবেন। শুভ কামনা রইলো।