লাইফস্টাইল: ডাঃ হামজা ভাইয়ের বিয়ে || নবম পর্ব
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম আমাদের প্রিয় খালাতো ডাক্তার ভাইয়ের বিবাহ উপলক্ষে আমার অনুভূতিমূলক পোস্ট। আমি বেশ কিছু পর্বে নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আরো কিছু পর্ব আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব ইনশাআল্লাহ। আজকে আমি কেনাকাটার নবম পর্ব নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। এখানে আপনাদের অজানা আরো কিছু শেয়ার করব।
বেশ অনেক কিছু কেনাকাটা হল। এ মুহূর্তে কাপড়ের দোকানের ছেলেটা সব জিনিস প্যাকেট করে গোছগাছ করে দিচ্ছেন। এরপর বিষয় আসলো শাড়ির সাথে সিট নিতে হবে। আর সিট নিতে হলে অবশ্যই সাড়ির সাথে মিল থাকতে হবে। যখন তার কাছে বলা হলো সিট কোথা থেকে নেওয়া হবে। তাদের কাছে কি সিট আছে। তখন ছেলেটা বলল সিট নিয়ে আপনাদের চিন্তা করা লাগবে না। এ মার্কেটে সবচেয়ে বড় সিটের দোকানে নিয়ে যাব, সেখানেও হামজা ভাইয়ার বন্ধুর পরিচয়ে দাম একটু কম ধরবে। অর্থাৎ এ দোকানটা হয়ে উঠলো আমাদের কেন্দ্রস্থল। আর এখান থেকেই আমরা সব জিনিস একের পর এক ম্যানেজ করতে থাকলাম।
ছিট কাপড়ের দোকানে গিয়ে আমরা সবাই অবাক হলাম। খেয়াল করে দেখলাম প্রচুর কালেকশন রয়েছে সেখানে। থ্রি পিস থেকে শুরু করে শাড়ি লুঙ্গি সিট অনেক আইটেম। আর আমরা সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের সামনে কাপড় গুলো দিয়ে দেখে দেখে ম্যাচিং করে সিট দিতে বললাম। তখন ওই দোকানের একজন সেলার বললেন আপনারা চুপ করে টুলে বসে থাকুন আর দেখতে থাকুন। তখন ওই মুহূর্তে আমি টুলে বসে বেশ কিছু ফটো ধারণ করার চেষ্টা করলাম। আমার কাছে অনেক ভালো লাগছিল এত বড় একটি দোকানে অনেক রকমের জিনিস দেখে। মাঝেমধ্যে রাজের আব্বুর সাথে বামুন্দি বাজারে এসে থাকি, বেশ অনেক জিনিস কেনাকাটা করে যায়। কিন্তু কোনদিন এই দোকানটা লক্ষ্য করি নাই। দু পাঁচ বছর হয়তো নতুন হয়েছে। তবুও কোনদিন আমার চোখে বাধে নাই। তবে যাই হোক এই কেনাকাটার মধ্য দিয়ে নতুন একটা দোকানের সন্ধান পেয়ে গেলাম।
কেনাকাটার এই মুহূর্তে হঠাৎ করে হামজা ভাইয়া বললেন তার হবু স্ত্রীর জন্য হবু শাশুড়ির জন্য জিনিস নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের যে একটা মাত্র ভাবি রয়েছে তার জন্য কোন কিছু নেয়া হলো না এতে তো তিনি কিছু মনে করতে পারেন। তখন বিয়ের পাত্রী অর্থাৎ হবু স্ত্রীর বড় বোনের কাছে ফোন দিলেন। তাকে প্রশ্ন করলেন ভাবির জন্য কোন কিছু নেওয়া লাগবে কিনা। তখন বড় বোন উত্তর দিলেন সেটা হামজা ভাইয়ের ইচ্ছা। চাইলে থ্রি পিস এর সিট দিতে পারেন। তখন হামজা ভাইয়া এই দোকানে বললেন ভালো মানের থ্রি পিস এর সিট বের করতে। তখন পূর্বের দোকানের ছেলেটা অর্থাৎ হামলা ভাই এর বন্ধুর দোকানে থাকা ছেলেটা বললেন ভাইয়া আমাদের ওখানে ভালো মানের থ্রিপিসের সিট রয়েছে এখান থেকে নিতে হবে না। এখানে শুধু কাপড়ের সাথে ম্যাচিং করে সিট নিয়ে আসুন তাহলে হবে। তাই এই দোকান থেকে হামজা ভাইয়ার হবু স্ত্রী শাশুড়ি এবং স্ত্রীর ও বড় বোনের জন্য যা নেওয়া হয়েছিল তার সিট নিলেন। দোকানদার ভাইয়েরা সিট বের করে দেখাতে থাকলেন এবং আমাদের দেখালেন কাপড়ের সাথে মিল রয়েছে আপনারা একটু বুঝে নিন কারণ একই কালারের অনেক রকমের সিট রয়েছে এখানে। আমরাও হাতে ধরে দেখতে থাকলাম। আমাদের পছন্দের যেটা ভালো মনে হল সেই সিট নেওয়া হল।
এরপর আমরা আবার নির্দিষ্ট সেই হামজা খায়ের বন্ধুর দোকানে এসে উপস্থিত হলাম। দোকানের সেই ছেলেটা সমস্ত কিছু অর্থাৎ প্রত্যেক সাড়ির সাথে সিটগুলো ঠিকঠাক আছে কিনা তা আলাদা আলাদা কাপড়ের সাথে করে আলাদা আলাদা জায়গায় রাখলেন। এরপর হামজা ভাইয়ার হবু কুটুমের স্ত্রীর জন্য খুব সুন্দর দেখে একটি থ্রি পিস এর সিট বাছাই করা শুরু করলাম। তখন হামজা ভাইয়া আমাদের প্রশ্ন করলেন কেমন রেটের থ্রি পিস এর সিট নিলে ভালো হয়। তখন আমি বলে বসলাম কোনরকম এক হাজারের নিচে আছে এমন সিট নেন। কারণ বিয়ে উপলক্ষে তো অনেক কেনাকাটা অনেক খরচ। আর এগুলো তো একটু বাড়তি খরচ হয়ে যাচ্ছে। তখন সুমন ভাইয়া ইয়ার্কি করে বলে বসলেন কুটুমের বউ বলে কথা। শ্বশুরবাড়ি গেলে তার হাতে খেতে হবে ভাইয়া। ভালো মানের যদি না কিনে দেন তাহলে সারা জীবন কথা শোনা লাগবে। তখন হামজা ভাইয়া বলল কথায় লজিক আছে। তাই তখন তারাই তাদের মতো করে ভালো মানের একটি থ্রি পিস বাচায় করে নিলেন। লক্ষ্য করে দেখলাম এর মূল্য পড়ল ১৭০০ টাকা। আর এভাবেই যে সমস্ত কাপড় গুলো কেনা হয়েছিল তার সিট ম্যানেজ করা হলো এবং ভাইয়ার কুটুমের স্ত্রীর জন্য থ্রি পিসের সিট নেওয়া হল। আর এর মধ্য দিয়ে কাপড় জাতীয় জিনিস কেনাকাটা শেষ হয়।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | হামজা ভাইয়ের বিয়ে |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।