অনেক দিন পরে স্টিড ফুড খাওয়ার অনূভুতি
আজ--০১ মাঘ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |বুধবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- অনেকদিন পরে স্ট্রীট ফুড খাওয়ার অনুভূতি।।
- আজ--০১লামাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- বুধবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ দুপুর সবাইকে......!!
আমরা সকলেই রাস্তার পাশের দোকান থেকে স্ট্রিট ফুড খেতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সবার এমন অনেকেই আছে যারা কিনা বাহিরের খাবার খুব একটা বেশি পছন্দ করে না তারা সবসময়ই নিজেরা বাসায় তৈরি করে এই খাবারগুলো খেয়ে থাকে। তবে যারা বাসায় এ ধরনের খাবার তৈরি করতে পারে না তারা সবসময়ই বাহির থেকেই এ ধরনের খাবার খেয়ে থাকে যেমন আমি বাসায় তৈরি করে খেতে পারি না কারণ এগুলো তৈরি করতে আমি মোটেও পারিনা আর যেহেতু ব্যাচেলর থাকি সেহেতু বুঝতেই পারছেন এগুলো তৈরি করে খাওয়াটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যার কারনে মাঝে মাঝে রাস্তার পাশের দোকান থেকে এ ধরনের খাবার খেয়ে মনের তৃপ্তি পূরণ করি। অনেকদিন পরে হঠাৎ করে এসে দিন দুপুর বেলা খাবার খেয়েছিলাম না যার কারণে বিকেল হবার সঙ্গে সঙ্গেই অনেকটা ক্ষুধা লেগে গিয়েছিল। কিন্তু কাজের এতটা বেশি প্রেসার ছিল যে বিকেল বেলার নাস্তা করার সময়টাও হয়ে ওঠেনি যার কারণে সন্দেহ হবার পরে কাজের প্রেসার কিছুটা কম থাকার কারণে আমি আর এক বড় ভাই চলে গিয়েছিলাম বাহিরে। বাহিরে গিয়ে প্রথমে একটা চায়ের দোকানে বসে দুজন চা খেয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম যে কিছু ফাস্ট ফুড খাওয়া যেতেই পারে।
চিন্তাভাবনা করতে করতেই আমরা চলে গিয়েছিলাম খুব পরিচিত একটা দোকানে সেই দোকান থেকেই আমরা মাঝে মাঝে ফাস্ট ফুড খেয়ে থাকি। তার তৈরি খাবারের স্বাদ অনেকটাই ভিন্নরকম অন্যান্য দোকানগুলোর থেকে তার দোকানের খাবারের স্বাদ একটু বেশি, মোটামুটি ভাবে সে একটু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেই খাবার তৈরি করে এবং সন্দেহ হবার পরে তার দোকানে অনেক জ্যাম পড়ে যায়। আমরা তার দোকানে গিয়ে বসলাম আমাদের দেখে এসে কাছে এসে জিজ্ঞেস করল আপনারা কি খাবেন আমরা তাকে বলে দিলাম যে চিকেন রোল নিয়ে আসেন আমাদের জন্য। সে মূলত কোন খাবারই আগে থেকে তৈরি করে রাখে না যখন কেউ অর্ডার দেয় তখন সেগুলো বানিয়ে তাদের সামনে পরিবেশন করে। আমরা খাবারের অর্ডার দিয়ে সেখানে বসে বসে গল্প করছিলাম গল্প করার একপর্যায়ে চিকেন রোল নিয়ে এসে আমাদের সামনে এসে হাজির হলো। যেহেতু অনেকদিন পরে চিকেন রোল খেয়েছিলাম যার কারণে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল আমাদের কাছে।
যেহেতু সারাদিন খাওয়া-দাওয়া খুব একটা হয়নি আর দুপুরবেলা না খেয়ে থাকার কারণে অনেকটাই বেশি ক্ষুধা লেগেছিল তাই আমরা দুজন চারটা করে চিকেন রোল নিয়েছিলাম। যদিও বড় ভাই একটা চিকেন রোল খাওয়ার পরে আর খেতে চাইনি পরবর্তীতে আমি তিনটি চিকেন রোল একাই খেয়ে নিয়েছিলাম হাহাহা। এরপরে বড় ভাইকে জানালাম যে দুপুরের খাবার খাইনি যার কারণে খুবই ক্ষুধা লেগেছে একথা জানার পরে ভাই আরো কিছু পিয়াজু এবং গরম গরম সমছা অর্ডার করল যদিও আমি তাকে নিষেধ করেছিলাম কিন্তু সে কোন কিছু না শুনেই অর্ডার করে বসলো আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেগুলো আমাদের সামনে নিয়ে আসলো, বসে বসে দুজন খাচ্ছিলাম আর অনেক রকমের গল্প করছিলাম ভালই আড্ডা জমে ছিল আমাদের সেদিন।
বাহিরের খাবার খেতে যতটা বেশি সুস্বাদু লাগে খাবার খাওয়ার পরে নিজের শরীরের অবস্থা ঠিক ততটাই খারাপ হয়ে যায়। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা সেখানে অনেকটা সময় আড্ডা দিয়েছিলাম আড্ডা দেওয়ার এক পর্যায়ে একটু বেশিই অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল বলতে পারেন সন্ধ্যে শেষ হয়ে প্রায় রাত্রি হয়ে গিয়েছিল। চিকেন রোল এর আগেও অনেক দোকান থেকে খাওয়া হয়েছে তবে এই দোকানের মত এতটা বেশি সুস্বাদু চিকেন রোল আমি অন্য কোন দোকান থেকে খাইনি। জানিনা সে কি রকম ভাবে এই চিকেন রোলগুলো তৈরি করে থাকে মুখে দেওয়ার সাথে সাথেই যেন অন্যরকম এক ভালোলাগার অনুভূতি কাজ করে। যেহেতু অনেক বেশি ফাস্টফুড খেয়ে ফেলেছিলাম বুঝতেই পারছিলাম যে গ্যাস্টিকের তীব্রতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে যার কারণে আগে থেকেই ডাক্তারের দোকানে গিয়ে গ্যাস্টিকের ওষুধ কিনে নিয়ে এসেছিলাম। অনেকটা সময় গল্প করার পরে আমরা আবার ফ্যাক্টরিতে চলে আসি কারণ যেহেতু কাজের তীব্রতা অনেকটাই বেশি ছিল আর বেশি সময় বাহিরে থাকাটাও নিজের কাছে অমানবিক বলে মনে হচ্ছিল যার কারণে আবার আমরা ফ্যাক্টরিতে চলে আসি।
যেমনটা ভেবেছিলাম ঠিক তেমনটাই হল রাতের খাবার শেষ করে যখন রুমে আসলাম ঠিক তখনই বুঝতে পারছিলাম যে গ্যাস্ট্রিকের তীব্রতা কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে এরপরে গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেলাম কিন্তু কোনোভাবেই গ্যাস্ট্রিক কমাতে পারছিলাম না। বুঝতেই পারছিলাম অনেকটা বেশি ফাস্টফুড খাওয়া হয়ে গিয়েছে বিশেষ করে পিয়াজু এবং সমছা খাওয়ার কারণে গ্যাসের তীব্রতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। কি আর করার যেহেতু ফাস্টফুড আইটেম বেশি খাওয়া হয়ে গিয়েছে যার কারণেই এরকম সমস্যা হয়ে গিয়েছে সেটা বুঝতেই পারছিলাম। এভাবেই অনেকটা সময় কেটে দেওয়ার পরে আস্তে আস্তে গ্যাস্ট্রিকের তীব্রতা কমতে শুরু করলো তখন নিজের কাছে অনেকটা বেশি ভালো লাগছিল তবে গ্যাস্ট্রিকের তীব্রতা যখন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল তখন মনে হচ্ছিল যে আর কখনোই ফাস্ট ফুড খাবো না কিন্তু যখন গ্যাস্ট্রিকের তীব্রতা একটু কমতে শুরু করেছিল এবং নিজের কাছে সুস্থ মনে হচ্ছিল তখন সেই কথাটা ভুলে গিয়েছিলাম।
আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছি যে দোকান থেকে আমরা চিকেন রোল খেয়েছিলাম সেই দোকানের মালিকের রান্নাটা অনেক বেশি সুস্বাদু যার কারণে সেখানে সবসময়ই অনেক বেশি ভিড় থাকে। সেখানে যেয়ে শুধুমাত্র চিকেন রোল পাওয়া যায় তা কিন্তু নয় সেখানে নুডুলস, চিকেন ফ্রাই, চাওমিন সহ আরো অন্যান্য ফ্রুটস স্যুপ ও পাওয়া যায়। মোটামুটি ভাবে তার বিক্রি অনেক ভালই হয় সেটা বোঝাই যায়। যাইহোক অনেকদিন পরে সেদিন ফাস্ট ফুড খেয়ে যতটা বেশি সুস্বাদু লেগেছিল পাসপোর্ট খাওয়ার পরে নিজের শরীরের অবস্থা ততটাই বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছিল তবে এটা কোনভাবেই ছেড়ে দিতে পারছিনা। হয়তোবা সপ্তাহের মধ্যে তিন থেকে চার দিন বন্ধ থাকলেও পরের দিন থেকে আবার এই ফাস্টফুড খাওয়ার তীব্রতা অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। অনেকদিন পরে সেদিন খেয়ে খুবই ভালো লেগেছিল আমার কাছে মাঝে মাঝে আসলে রাস্তার পাশের দোকানগুলোর খাবারের লোভ খুব একটা বেশি সামলাতে পারি না যার কারণে মাঝে মাঝে অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ি।
আমি মনে করি এমন অনেক মানুষ আছে যারা কিনা রাস্তার পাশের দোকানগুলোর খাবার দেখে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারেন না আমিও তাদের মধ্যেই একজন। সবসময়ই চেষ্টা করবেন এগুলো একটু কম খাওয়ার জন্য বেশি খেলে শরীরের জন্য অনেকটাই ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। খাবার খাওয়ার পরে সেটা যদি শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সেটা আরো বেশি বিপদজনক। যাইহোক এটাই ছিল আমার আজকের সংক্ষিপ্ত পোস্ট আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি, সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
| বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
|---|---|
| বিষয় | অনেক দিন পরে স্টিড ফুড খাওয়ার অনূভুতি |
| পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
| অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness

OR
















সত্যি ভাইয়া বাহিরের স্টিড ফুড খাবারগুলো যতটা সুস্বাদু আমাদের শরীরের জন্য ততটাই খারাপ। কিন্তু কি আর করা যাবে বলেন আমি তো বাজারে গেলে এই ধরনের খাবার কমবেশি খেয়েই থাকি। কি জানি আমার কাছে একটু বেশিই ভালো লাগে। তবে আজকে আপনার অনুভূতিগুলো পড়ে খুবই ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দুপুরবেলায় খাওয়া দাওয়া না করার কারণে খুদা একটু বেশি লেগেছিল। তাই খাবারের প্রতি অনেক বেশি রুচি জন্মিয়েছে। তবে ভাই আমি যেটা জানি বাসীপেটে ভাজাপোড়া এমন খাবার না খাওয়াটাই উত্তম। ভাত খাওয়ার পরে এ জাতীয় জিনিসগুলো খেলে পারে গ্যাস জন্মায় না। যাহোক অনেক সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন তাই ভালো লাগলো।
স্টিড ফুড খাওয়ার দারুন একটি অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে আমি এ ধরনের খাবারগুলো একেবারেই এড়িয়ে চলি। একই সাথে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তাদের উচিত এই সমস্ত খাবারগুলো সম্পন্ন পরিহার করা। তবে এরকম খাবার গুলো খেতে বেশ ভালই লাগে।
মাঝেমধ্যে ফাস্টফুড খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। তাই চেষ্টা করে থাকি যে কোন স্থান থেকে ফাস্টফুড খেতে। তবে পাসপোর্ট গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে চিকেন ফ্রাই গুলো। অনেক সুন্দর ভাবে এই সমস্ত রেসিপিগুলো তৈরি করে থাকে। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর অনুভূতি দিয়ে লেখা আজকের এই লাইফ স্টাইল পোস্ট।
স্টিড ফুড আমার খুব পছন্দের। আসলে স্টিড ফুড খাওয়া অনুভূতি সত্যি দারুন। খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত গুলো বেশ সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করেছেন। স্টিড ফুড খাওয়ার অনূভুতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ভাই।