অনেক দিন পরে নৌকা দিয়ে নদী পারাপারের মুহুর্ত
আজ--০৮ মাঘ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |বুধবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- অনেক দিন পরে নৌকা দিয়ে নদী পারাপারের মুহুর্ত।
- আজ--০৮মমাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- বুধবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ সন্ধ্যা সবাইকে......!!
গত পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম যে কিছুদিন আগেই বাসায় গিয়েছিলাম আর বাসায় গিয়ে গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম। আর সেই সুন্দর মুহূর্তের গল্প আমি ইতিমধ্যে আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি এবং ভবিষ্যতেও তুলে ধরার চেষ্টা করব। সত্যি বলতে গ্রামের প্রকৃতি পরিবেশের মাঝে সময় কাটাতে অনেক বেশি ভালো লাগে আর যারা ছোট থেকেই গ্রামে বড় হয়েছে একমাত্র তারাই বুঝতে পারে যে গ্রামের প্রকৃতি পরিবেশ আসলে কতটা সুন্দর। সত্যি বলতে শহরে চার দেয়ালের মাঝে বন্দী থাকতে নিজের একটুও মন চায় না তারপরও কি আর করার যেহেতু শহরে গ্রামের মতো প্রাকৃতিক পরিবেশ নেই আর চাইলেও সেই রকম সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার সুযোগ হয়ে ওঠে না তাই সবসময়ই চেষ্টা করি অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে থাকি কবে বাসায় যাব, বাসায় গেলে সব সময়ই প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করা যায় বিশেষ করে নদীর পাড়ে গিয়ে বিকেল বেলা বসে থাকতে অনেক বেশি ভালো লাগে। কিছু কিছু ভালোলাগা আছে যে ভালোলাগা গুলো কখনো বলে বোঝানো সম্ভব নয় এগুলো শুধুমাত্র অনুধাবন করতে হয়। নৌকায় উঠতে পছন্দ করেনা এরকম মানুষ হয়তো বা খুবই কম আছে আমরা সকলেই নদীর উপরে নৌকা নিয়ে ভেসে বেড়াতে অনেক বেশি পছন্দ করি।
সত্যি বলতে যখন বাসায় থাকতাম তখন নদীতে যখন নতুন পানি আসতো তখনই ছোট্ট ডিঙি নৌকা নিয়ে কয়েকজন ভাই ব্রাদার মিলে একত্রে বিকেল বেলা নদীর বুকে নৌকা নিয়ে ভাসতে ভাসতে অনেক দূর চলে যেতাম। আবার সন্ধ্যা হওয়ার আগ মুহূর্তেই নিজেদের নৌকা ঘাটে এসে পৌঁছাতাম কতটা যে ভালোলাগার মুহূর্ত ছিল এটা হয়তোবা বলে বোঝানো সম্ভব নয় কখনোই। এখন মাঝে মাঝেই মন চায় নৌকাতে উড়তে নদী ভ্রমন করতে কিন্তু শহরে তো আর সেই রকম নদী নেই আর নদী থাকলেও সেখানে নৌকায় উঠে ভেসে বেড়ানোর মতো কোনো অবস্থা নেই। যদিও বা আছে তবে নিজের ব্যস্ততা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে সেই রকম সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার মত সময় এখন আর নেই তারপরেও সব সময় চেষ্টা করি প্রকৃতিক পরিবেশের মাঝে সময় কাটানোর। বাসায় গিয়ে বাবার সাথে করে নিজেদের জমি দেখতে বের হয়েছিলাম মাঝখানে ই ছোট্ট একটা নদী ছিল সেই নদী পার হতে হবে আমাদেরকে নৌকা করে। যেহেতু অনেকদিন হলো নৌকা চালানো হয় না তাই আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি নৌকা চালাবো। আমি আর আমার আব্বু হাঁটতে হাঁটতে যখন নদীর পাড়ে গিয়ে পৌঁছায় দেখি নদীর ঘাটে নৌকা বাধা আছে।
ঘাটে নৌকা বাধা দেখেই আমার আব্বু সেই নৌকায় গিয়ে বসল এরপরে আমি তাকে জানাই যে আমি অনেকদিন নৌকা চালাই না তুমি বসে থাকো আমি নৌকা চালাবো। সেদিন আবার অনেক বেশি বাতাস ছিল, আব্বু বারবার আমাকে এটাই বলছিল যে আমি নাকি নৌকা চালাতে পারব না কারণ প্রচন্ড বাতাসে নৌকা এদিকে ওদিকে নিয়ে যাবে এরপরে আমি তাকে জানাই আমি আগেও অনেক নৌকা চালিয়েছি কিছুই হবে না আমার কাছেই বৈঠা দাও, এরপরে আমি বৈঠা নিয়ে নৌকা চালাতে শুরু করলাম কিন্তু এতটা বেশি বাতাস ছিল যে নৌকা এদিকে ওদিকে চলে যাচ্ছিল আর এটা দেখে আমার আব্বু খুবই হাসাহাসি করছিল এবং বলছিল যে শহরে গিয়ে নাকি আমি নৌকা চালানো ভুলে গেছি। এরপরে অনেকটা শক্তি দিয়ে যখন নৌকা চালানো শুরু করলাম তখন ঠিকই সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। সত্যি বলতে অনেক দিন পরে নৌকায় নদী পারাপার হতে অনেক বেশি ভালো লাগছিল কারণ অনেকদিন হলো এরকম সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করা হয় না। খুব মন চায় বারবার এরকম সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করতে কিন্তু সবকিছুই তো আর সব সময় পূরণ হয় না যার কারণে এরকম সুন্দর মুহূর্ত সচরাচর এখন আর কাটানো হয়ে ওঠে না।
যাইহোক অনেকটা সময় নিয়ে আস্তে আস্তে নৌকা চালিয়ে আমরা নদীর ওপারে গেলাম। নদীর ওপারে গিয়েই দেখি যে ধানের চারা বপন করা হয়েছে মূলত এটা বপন করা হয়। এই যে বর্ষা মৌসুম শেষ হয়ে গিয়েছে কিছুদিন পরেই কৃষকেরা মাঠে ধান চাষ করবে আর ধান চাষ করার আগেই ধানের বীজ কাদার উপরে বপন করা হয় এবং সেটা কিছুদিন পরে অঙ্কিরূত হয়ে গাছের সৃষ্টি হয় আর সেই ধানের গাছ যখন সেখান থেকে তুলেন গিয়ে অন্য জমিতে লাগানো হয় সেখান থেকেই মূলত ধানের সৃষ্টি হয়। নদী পার হয়ে দেখি যে একজন কৃষক তার বপন করা ধানের চারায় পানি দিচ্ছে মূলত যখন ধানের চারা বপন করা হয় তখন মাঝে মাঝে পানি দিয়ে সেগুলো জীবিত রাখা হয়। যদি ঠিকঠাক মত পানি এবং কীটনাশক না দেওয়া হয় তাহলে সেই ধানের চারা খুব একটা ভালো হয় না এবং মারা যাওয়ারও একটা সম্ভাবনা থাকে। সেখানে আমাদেরও ধানের চারা গাছ বপন করা হয়েছিল আব্বু ওই কাজগুলো করছিল আর আমি বসে বসে এদিকে ওদিকে ফটোগ্রাফি করছিলাম বেশ ভালই লাগছিল পুরো মুহূর্তটা দারুন ভাবে উপভোগ করেছিলাম।
সত্যি বলতে মাঠে এরকম কাজ করার দৃশ্য দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগে কৃষকেরা কিভাবে কষ্ট করে তাদের ফসল ফলায় এবং কত রকমের পদ্ধতি অবলম্বন করে তারা তাদের কাজকর্ম সমাধান করে থাকে। এই দৃশ্যগুলো যদি আপনি কাছ থেকে নিজে দেখেন তাহলে আপনার ভিতরে এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করবে সেই সাথে আপনি তাদের কষ্ট সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। যাইহোক অনেকদিন পরে নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হয়ে সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম এরকম মুহূর্ত বারবার কাটাতে মন চায়, যাইহোক এটাই ছিল আমার আজকের নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হওয়ার সুন্দর মুহূর্তের গল্প আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে নতুন ভাবে নতুন রূপে, ততক্ষণ পর্যন্ত সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে...!!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
| বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
|---|---|
| বিষয় | নৌকা দিয়ে নদী পারাপার এর মুহূর্ত। |
| পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
| অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness

OR


















You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
নদীর বুকে নৌকায় চড়ে ভেসে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। তবে এটা ফাল্গুন মাসের আরও বেশি ভালো লাগে। ওই সময় নদীতে পানি কম থাকে। ঝিরি ঝিরি বাতাস হয়। ভালো লাগলো আপনার নদী পারাপার আর সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ফটোগুলো।
নদীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পারাপারের সময় খুব সুন্দর সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়। ভীষণ ভালো লাগে নদীর চরের মধ্যে চাষিরা কাজ করে থাকেন। মাঝখানে ছোট একটা নদী চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো খুবই সুন্দর। এই নদী থাকার কারণে দুই প্রান্তের জায়গাগুলো আরো অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছু দেখতে পেয়েছি।
বেশ সুন্দর নদীর ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। আপনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই অসাধারণ হয়েছে। নৌকা করে নদী পার হতে খুব ভালো লাগে। এতো চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলে অনেকদিন নৌকায় চড়া হয় না কিন্তু ফেরি পারাপার করে প্রায়। এ তো সেদিন ছেড়ে পার করে ঢাকা থেকে মেহেরপুর আবার মেহেরপুর থেকে ঢাকায় গমন করলাম। কিন্তু নৌকায় চলার মজা আলাদা। নদীর এপারের ওপারের অনেক কিছু দেখতে পারা যায় নিরবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক ইনজয় করেছেন বুঝলাম।