১৬-ই ডিসেম্বর উপলক্ষে আলোর মেলা
আজ--১০ পৌষ | ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |বুধবার | শীতকাল|
আসসালামু ওয়ালাইকুম,আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নাম @jibon47। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
- প্রিয় কমিউনিটি,আমার বাংলা ব্লগ
- ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে আলোর মেলা।
- আজ--১০মপৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
- বুধবার
তো চলুন শুরু করা যাক...!
শুভ রাত্রি সবাইকে......!!
গত ১৬ ই ডিসেম্বর ছিল আমাদের বিজয় দিবস। এই বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রত্যেকটা বছরেই নতুনভাবে প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে উদযাপন করা হয়। চারিদিকে আলোর মেলা আলোর খেলা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে রক্ত হয়ে যুদ্ধের পরে পেয়েছিলাম আমরা আমাদের এই স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় জাতি হিসেবে আমরা কতটা ধন্য। স্বাধীন বাংলাদেশে নিজের মনের মত করে নিজের মায়ের ভাষায় কথা বলার মাঝে রয়েছে এক অন্যরকমের আনন্দ। এই আনন্দটা হয়তোবা আমরা পেতাম না যদি সেই সময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন না হতো। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আমরা হয়তোবা পেয়েছি মায়ের ভাষা যেই মায়ের ভাষাতে আমরা আমাদের নিজেদের মনের ভাব সুন্দর সাবলীলভাবে প্রকাশ করতে পারি। বিজয় দিবসের দিনে অনেকেই অনেক ধরনের প্রোগ্রাম করে থাকে। কারণ বছরের মাত্র একটা দিনই আমরা বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করে থাকি আর ওই দিনটা আমাদের কাছে অনেক বেশি স্পেশাল হয়ে থাকে অন্যান্য দিনের থেকে। তাই প্রতিটা বছরেই বিজয় দিবসকে নতুনভাবে উদযাপন করার মাঝে রয়েছে অন্য রকমের এক আনন্দ। যদিও যখন স্কুলে লেখাপড়া করতাম তখন এই বিজয় উপলক্ষে স্কুল বন্ধ থাকতো যার কারণে সেই রকম ভাবে পালন করা হতো না তবে পলিটেকনিকে যাওয়ার পর থেকে বিজয় দিবসকে খুবই জাঁকজমক ভাবে পালন করা হতো।
পলিটেকনিক শেষ করার পরে আর সেই রকম ভাবে বিজয় দিবস উপলক্ষে কোন আনন্দ উৎসবের আয়োজন করা হয়নি। এবারও ঠিক তেমনটাই ছিল তবে দিনশেষে অনেকটাই সারপ্রাইজড হয়ে গিয়েছিলাম কখনোই ভাবেনি এরকম ভাবে বিজয় দিবসের আনন্দ উপভোগ করা হবে ফ্যাক্টরিতে। বিজয় দিবসের দিনটা ছিল একটু অন্যরকম, যেহেতু বিজয় দিবস বলে কথা যার কারণে রাতের বেলা ঘুমাতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল অনেকটা রাত অনলাইনে থেকে ছিলাম একটু লেট নাইটে ঘুমাতে গিয়েছিলাম। লেট নাইটে ঘুমাতে গেলে সকালবেলা উঠতে একটু দেরি হবে এটাই স্বাভাবিক যার কারণে উঠতে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছিল। দ্রুত রেডি হয়ে ফ্যাক্টরিতে চলে গেলাম ফ্যাক্টরিতে গিয়ে প্রতিদিনের যে রকম কাজকর্ম থাকে সে রকম ভাবেই কাজকর্ম করছিলাম তবে সেদিন কাজের তীব্রতা অনেক বেশি ছিল। লাঞ্চ করার জন্য শুধুমাত্র আধা ঘন্টা সময় পেয়েছিলাম আর সকাল ন'টা থেকে শুরু করে প্রায় সন্দেহ অব্দি কোন না কোন কাজের মাধ্যমেই দিন অতিবাহিত করতে হয়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় সরকারি ছুটির দিনে ফ্যাক্টরিতে কাজের তীব্রতা আরও বেশি থাকে কারণ মেশিনগুলো অফ থাকে যার কারণে কোন মেশিনের কোন সমস্যা সেটা সমাধান করতে হয় সেই দিনেই।
যার কারনে ফ্যাক্টরির গেটের সামনে আসতে পারিনি শুধুমাত্র আধা ঘন্টার জন্য বাহিরে গিয়েছিলাম খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার কাজে মনোনিবেশ করেছিলাম। সন্ধ্যার আজান হবার সঙ্গে সঙ্গেই কাজের চাপ কিছুটা কমে গিয়েছিল সারাদিন অনেক বেশি ব্যস্ত ছিলাম ব্যস্ত থাকার কারণে সে রকম ভাবে কারো সঙ্গে দেখা হয়নি কথাও হয়নি অবশেষে যখন অফিস রুমে প্রবেশ করলাম দেখলাম সকলেই বসে আছে সকলের মাঝেই এক ক্লান্তির ছায়া। বোঝাই যাচ্ছে সকলে অনেক বেশি পরিশ্রম করেছে বসে বসে একে অপরের সঙ্গে গল্প করেছিল আমি ফ্রেশ হয়ে একটা চেয়ারে বসে ফোন স্কলিং করছিলাম। সাথে সকলের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম বিজয় দিবস নিয়ে অনেকেই অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলছিল বিশেষ করে ১৯৭১ সালে কিরকম ভাবে আমাদের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল এই ব্যাপারটা নিয়ে ফ্যাক্টরির প্রবীণ কলিগেরা কথা বলছিল বেশ ভালই লাগছিল সেসব কথা শুনতে।
যেহেতু অনেক বেশি পরিশ্রম করেছিলাম সেদিন যার কারণে ভেবেছিলাম যে আজকে অনেক আগেই বাসায় চলে যাব যার কারণে ফেস পাঞ্চ করে রুমের বাহিরে এসে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়াতেই অনেকটা বেশি সারপ্রাইজড হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ ফ্যাক্টরির চারিদিকে এত সুন্দর ভাবে লাইটিং করা হয়েছে যে আমরা বুঝতেই পারিনি যে কখন লাইটিং করা হয়েছে। মেইন অফিসের সামনে থেকে শুরু করে একদম অফিসের গেট পর্যন্ত দারুণভাবে লাইটিং করা হয়েছিল। সেই সাথে মেইন অফিসের সামনে যেই গাছ রয়েছে সেই গাছের প্রতিটি ডালের সঙ্গে সুন্দর সুন্দর লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে সত্যি বলতে সারাদিন কাজের এত বেশি চার্জ ছিল যে কখন এই কাজগুলো করা হয়েছে সেটা আমরা বুঝতেই পারিনি। আমরা তিন থেকে চার জন যখন ফ্যাক্টরির মেইন অফিসের সামনে আসলাম তখন সকলের রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম এবং একে অপরের এটাই জিজ্ঞেস করছিলাম কখন এরকম লাইটিং করা হলো কিছুই তো বুঝতে পারলাম না। যেহেতু এই অফিসে জয়েন করার পরে এটাই ছিল প্রথম ১৬ই ডিসেম্বরের দিন যার কারণে এরকমভাবে আগেও সাজানো হতো কিনা সেটা জানিনা তবে জিজ্ঞেস করার পরে অনেকেই বলল প্রত্যেক বছরেই নাকি এরকম ভাবে সাজানো হয় এটা জেনে বেশ ভালই লেগেছিল।
যেহেতু ফ্যাক্টরিটা একটু নতুনভাবে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে যার কারণে আমরা সকলেই বসে বসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আবার একটু সময় অতিবাহিত করছিলাম। যেহেতু এখন শীতকাল চলে এসেছে আর শীতকালে সন্ধের পরে একটু শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়, সেদিনও ভালোই শীতের তীব্রতা ছিল কিন্তু যেহেতু ফ্যাক্টরিতে এরকম ভাবে আলোর মেলার আয়োজন করা হয়েছে আর এখানে যদি একটু সময় না কাটাই তাহলে ব্যাপারটা একটু অন্যরকম হয়ে যায় যার কারণে সকলে মিলেই পুরো ফ্যাক্টরির লাইটিং ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম বেশ ভালই লাগছিল। সেদিন আবার ছিল পূর্ণিমার চাঁদ আকাশে অনেক বড় একটা চাঁদ উঠেছিল চাঁদ দেখতে বেশ ভালই লাগছিল। অনেকটা সময় মেন অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে গল্প করতে করতে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম এখন বাসায় ফিরতে হবে। এরপরে আর সেরকমভাবে বেশি সময় সেখানে কাটানো হয়নি আধা ঘন্টা সময় সেখানে কাটিয়ে আমরা যে যার মত বাসায় ফিরে গিয়েছিলাম।
বিজয় দিবস বাঙালির কাছে এক গৌরবের বিষয়। কারণ বাঙ্গালী এই দিন পেয়েছিল তাদের নিজস্ব মাতৃভাষা আর নিজস্ব মাতৃভাষায় কথাবলার মাঝে যে আনন্দটা এটা আমরা এখন উপলব্ধি করতে পারি। ১৯৭১ সালে ওই মানুষগুলো যদি বাংলাদেশ স্বাধীন না করতো তাহলে হয়তোবা আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব কখনোই পেতাম না। সবসময়ই আমাদেরকে পরাধীন একটা রাষ্ট্রের অধীনে বড় হতে হতো আমরা নিজেদের ইচ্ছেমতো কিছুই করতে পারতাম না সবকিছুই থাকতো অন্যজনের কর্তৃত্বে। যেহেতু আমরা যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন একটা রাষ্ট্র পেয়েছি স্বাধীন একটা সার্বভৌমত্ব পেয়েছি স্বাধীন একটা মানচিত্র পেয়েছি এর থেকে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে আপনারাই বলুন। স্বাধীন বাংলাদেশের নিজেকে স্বাধীনভাবে প্রতিষ্ঠিত করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক এই কামনা করি সব সময়। আশা করছি আমার এই পোস্ট আপনাদের সকলের অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আজ আর নয় এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি পরিবারের সঙ্গেই থাকুন। ধন্যবাদ সকলকে....!!
আমার পোষ্ট দেখার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্ট খুবই ভালো লেগেছে। আমার এই পোস্ট পরে সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করবেন বলে আশা রাখি। আপনার সুন্দর মন্তব্যই আমার কাজ করার অনুপ্রেরণা
বিভাগ | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
বিষয় | ১৬ই ডিসেম্বর উপলক্ষে আলোর মেলা। |
পোস্ট এর কারিগর | @jibon47 |
অবস্থান | [সংযুক্তি]source |
আমি জীবন মাহমুদ, আমার ইউজার নেম @jibon47। আমি মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে অনেক বেশি ভালোবাসি। আব্বু আম্মু আর ছোট বোনকে নিয়েই আমার পরিবার। এই তিনজন মানুষকে কেন্দ্র করেই আমার পৃথিবী।একসাথে সবাইকে খুশি করা তো সম্ভব নয়, তারপরও আমি চেষ্টা করি পরিবারের সবাইকে খুশি রাখার। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে।আমি বর্তমানে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং লেখাপড়া করছি। আমি গান গাইতে, কবিতা লিখতে, এবং ভাই ব্রাদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। সত্যি বলতে আমি প্রচন্ড রকমের অভিমানী, হতে পারে এটা আমার একটা বদ অভ্যাস। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব,"আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।
@jibon47
VOTE @bangla.witness as witness
OR
বিজয় দিবস বাঙালির কাছে সত্যিই অত্যন্ত গৌরবের দিবস। তাই সেই দিবস উপলক্ষে সারা দেশ জুড়ে জায়গায় জায়গায় আলোর রোসনাই দেখলে মনে হয় আমাদের জাতীয়তাবাদ মুছে যায়নি। আপনার প্রতিটি ছবি অসাধারণ লাগলো এবং বিজয় দিবস কে যে সবাই এভাবে সম্মান জানাচ্ছে দেখে আপ্লুত হলাম।
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে সমস্ত বাংলাদেশ সজ্জা করা হয়েছিল। আপনাদের আপনাদের ওখানে আলোক সজ্জা করা হয়েছিল যেন বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
১৬ ই ডিসেম্বর আমাদের জন্য স্মরনীয় একটি দিন। এই দিনকে কেন্দ্র করে সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাছাড়া রাতের অন্ধকারকে বিভিন্ন আলোর মাধ্যমে আলোকিত করা হয়। আপনাদের ফ্যাক্টরিতেও লাইটিং করা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
সরকারি ছুটি থাকলেও প্রাইভেট সেক্টর গুলোতে একদম ছুটি নেই। নিজেদের কাজগুলো ঠিক ভাবে করে যেতে হয়। ভাইয়া আপনি অনেক ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন বুঝতে পারছি। আর বিজয় দিবসে চারপাশ রঙিনভাবে সেজে উঠেছিল।
১৬ই ডিসেম্বর যেহেতু আমাদের মহান বিজয় দিবস, এই দিনটিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বেশ অনেক আয়োজন হয়ে থাকে। তবে তার মধ্যে বিশেষ কোনো স্থান এভাবে আলোর মেলায় আলোকিত করে। আজ আপনার মাধ্যমে কিন্তু না জানা বিজয় দিবস পালন জানার ও দেখার সুযোগ হলো।
অনেক সুন্দর ভাবে আলোক শয্যায় সজ্জিত করা হয়েছে দেখে ভালো লেগেছে। আসলে বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে অনেকেই আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছেন। অনেক প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে সাজিয়েছে। বেশ ভালো লাগলো দেখে।
মহান বিজয় দিবস ১৬-ই ডিসেম্বর উপলক্ষে আলোর মেলার আয়োজন করা হয়েছিল দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এই দিনটিকে ঘিরে সারা বাংলাদেশে অনেক জায়গায় অনেক কিছুর আয়োজন করা হয়ে থাকে। আপনার ফ্যাক্টরি অনেক সুন্দর ভাবে সাজানো হয়েছিল দেখে অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে