শিকার- ২য় পর্ব।।
বাংলা ভাষার কমিউনিটি
Image Source-https://pixabay.com/illustrations/ai-generated-drugs-drug-addiction-8992859/
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার শিকার গল্পের দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি।
প্রথম পর্বে আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করেছিলাম যে, কক্সবাজার-৪ আসনের এমপি হাজী খাইরুল আলমের ছেলে বদিউল আলম থাইল্যান্ডে বসে বাংলাদেশে আইস মাদক পাচার করে। তবে বাবা এবং ছেলে দুইজনই সবার ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকে। সাধারণ মানুষ কেউ জানতেও পারেনা বাবা এবং ছেলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কতটা নির্মম, নিষ্ঠুর ও লোভী হতে পারে। কিন্তু পুলিশ, গোয়েন্দা সহ নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে সব তথ্যই রয়েছে। কিন্তু সময় সুযোগ আর প্রমাণের অভাবে তাদেরকে ধরা সম্ভব হয় না। তাছাড়া তাদেরকে ধরতে হলে সাহসের প্রয়োজন রয়েছে।
এসপি সেলিম সব তথ্য নিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে। মাদকসহ যদি কোন ট্রলার, স্পিডবোর্ড অথবা নৌকা আটক করা হয়, তাহলে ক্ষমতার বলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তারা ছাড়া পেয়ে যায়। বদিউল আলম এবং খাইরুল আলম খুব শক্ত হাতেই এসব মাদক কারবার হ্যান্ডেল করে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় অর্থের মাধ্যমে সবাইকে হাত করে নিয়েছে। কিন্তু অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক না কেন একদিন ঠিকই ধরা পড়তে হয়। এসপি সেলিম বদিউল আলম এবং খাইরুল আলম সহ এই মাদক কারবারের সাথে যারা জড়িত রয়েছে, সবার ডাটা সংগ্রহ করলেন। যদিও এই কাজগুলো করতে এসপি সেলিমের ওপর দিয়ে অনেক বিপদ এসেছে। তারপরও সে খুব সাহসিকতার সাথে এ তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছেন। তার ইচ্ছা এ সম্পূর্ণ তথ্য সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পেশ করবে। সেখান থেকে যেন জড়িত অপারাধীদের উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করা যায়।
এসপি সেলিম এসবগুলো তথ্য খুব গোপনীয়তার সাথে সংগ্রহ করেছে। কিন্তু তারপরেও হাজী খাইরুল আলম ঘুষখোর কিছু পুলিশ এবং গোয়েন্দার মাধ্যমে এসপি সেলিমের সব কার্যকলাপ সম্পর্কে জেনে যাই। খাইরুল আলম তখন চিন্তা করে, যদি তাকে এখান থেকে ট্রান্সফার ও করা হয়, তাহলে তার কাছে যে তথ্য রয়েছে, সেটা যদি কোন ভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যেতে পারে তাহলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। সেজন্য তারা৷ সেলিমকে নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করলেন। হাজী সেলিম একদিন খবর পেলেন দেশের বাহির থেকে বঙ্গোপসাগর দিয়ে জাহাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে মাদকের বড় একটি চালান আসতেছে। এ খবর পাওয়ার সাথে সাথে এসপি সেলিম কয়েকজন পুলিশকে নিয়ে স্পিডবোর্ড নিয়ে বঙ্গোপসাগরে নেমে পড়লেন।
প্রায় ৪০ মিনিট যাওয়ার পরে এসপি সেলিম পর্যটক বাহির একটি জাহাজ দেখতে পেলেন।এসপি সেলিম সেই জাহাজকে টার্গেট করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলেন। একসময় এসপি সেলিম চিন্তা করে এ জাহাজের মাধ্যমে মাদক আসার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ যদি এ জাহাজের মাধ্যমে মাদক আসতো তাহলে কোন না কোন ভাবে অবশ্যই নৌ বাহিনীর সদস্যদের কাছে খবর পৌঁছে যেতো। যেহেতো আশেপাশে কোন নৌবাহিনীর জাহাজ নেই, এর মাধ্যমে বোঝা যায় ওই জাহাজের মধ্যে মাদক থাকতে পারে না। তারপরও এসপি সেলিম চেকিং করার জন্য সে জাহাজের দিকে এগিয়ে গেলেন।
স্পিডবোর্ড থেকে এসপি সেলিম সহ সব পুলিশ সেই পর্যটক বাহির জাহাজে প্রবেশ করলেন। কিন্তু জাহাজের ভিতরে গিয়ে দেখেন সেখানে তেমন কোন পর্যটক নেই। তবে জাহাজের মধ্যে যাদেরকে দেখা যাচ্ছে, তাদের অধিকাংশ লোককে বিদেশি মনে হচ্ছে। থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার মানুষ মনে হচ্ছে। জাহাজে উঠার পরে এ মানুষগুলোকে দেখে এসপি সেলিম সহজেই বুঝতে পারে সে হয়তো কোন বিপদের সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। হয়তো তাকে কোনভাবে ষড়যন্ত্রের জালে ফাঁসানো হচ্ছে। এসপি সেলিম ওই পরিস্থিতি খুবই বিচক্ষণতার সাথে মোকাবেলা করলেও তার সাথের পুলিশগুলো বেইমানি করে। মূলত ঘুষখোর পুলিশ গুলো মিথ্যা তথ্য দিয়ে এসপি সেলিমকে মারার উদ্দেশ্যে এ জাহাজে নিয়ে এসেছে।
এসপি সেলিম পরিস্থিতি দেখে সে নিজের পিস্তল ব্যবহার করার আগেই পিছন থেকে তার শরীরে গুলি লাগে। পিছনে তাকিয়ে দেখে তার সাথের পুলিশগুলো হাজী খাইরুল আলম এর কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়ে গেছে। খাইরুল আলম টাকা দিয়ে এই পুলিশ গুলোকে কিনে নিয়েছে। যার ফলে সাথের পুলিশ গুলো সর্বপ্রথম এসপি সেলিম এর উপর গুলি চালাই। তারপর জাহাজে থাকা বিভিন্ন দেশের ভাড়াটিয়া গুন্ডা গুলো এসপি সেলিমকে মারতে থাকে। একসময় গুন্ডারা দেখে এসপি সেলিম মারা গেছে। তখন গুন্ডারা তার শরীর থেকে পুলিশের পোশাক টেনে খুলে ফেলে। তারপর এসপি সেলিমকে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে ফেলে দেয়। আর এসপি সেলিমের ইউনিফর্ম আলাদাভাবে সাগরের পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। যেন সবাই বুঝতে পারে এসপি সেলিমকে সাগরের মাছে খেয়ে ফেলেছে। এসপি সেলিমের সাথে থাকা পুলিশগুলো থানায় ফিরে গিয়ে এ তথ্যই প্রচার করে। আজ এ পর্যন্তই। তৃতীয় পর্বের জন্য দয়া করে অপেক্ষা করুন। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Taak Done