ফটোগ্রাফি- সাতটি রেনডম ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে একটি অ্যালবাম।

আসালামুআলাইকুম

হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই,আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। সবাই জানেন যে এখন রমজান মাস চলতেছে। আশা রাখি সৃষ্টিকর্তা যেন এই রমজান মাসে সব মুসলমানদেরকে মাফ করে ফুলের মত পবিত্র করে দেন। আমি আজকে আপনাদের সাথে কিছু সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন দেখা যাক কি কি ফুল আছে আজকের ঝুড়িতে।

আমি প্রায় সময় প্রথম আলো পত্রিকা পড়ি। প্রথম আলো পত্রিকার মধ্যে ফটোগ্রাফি নিয়ে ধারুন একটি চ্যাপটার আছে। তাদের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে মন চাই একটি ডিএসএলার ক্যামরা নিয়ে ঘর বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে দেখলে হৃদয় ছুয়েঁ যায়। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্ব থেকে ফটো সংগ্রহ করে ঐ পত্রিকায় এড করা হয়। আমি প্রায় সময় তাদের ফটো গুলো দেখি।

আমার ইচ্ছা আছে এক সময় আমিও সারা বাংলাদেশ ঘুরে ঘুরে ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করবো। ভ্রমন করলে অনেক লাভ। জ্ঞান অর্জন হয় আবার অনেক কিছু দেখা যায়। যাদের কারি কারি টাকা আছে তারা কেন ভ্রমন করে না সেটা আমার বুঝে আসে না। যায়হোক আর বাড়াবো না পরে আবার অনধিকার চর্চা হয়ে যাবে।

Location
Device-Redmi Note-8 Time-4.30pm

ডালিয়া ফুলের মন মাতানো রং সবাইকে আকৃষ্ট করে। এ ফুল চাষ করা খুবই সহজ। টবেও এটি চাষ করা যায়। ডালিয়া ফুলের উৎপত্তিস্থল মেক্সিকো। তবে বাংলাদেশের আবহাওয়াতে ডালিয়া ফুল ভালো জন্মে। অন্যান্য ফুলের চেয়ে ডালিয়া ফুলের দাম একটু বেশি। প্রতিটি ফুল স্টিক হিসাবে খুচরা ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হয়। ডালিয়ার জন্য উপযোগী তাপমাত্রা ১৫-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি বৃদ্ধির জন্য উজ্জ্বল সূর্যালোক ও হালকা বৃষ্টিপাত প্রয়োজন। ছায়ায় থাকলে ডালিয়া ফুল গাছ দুর্বল ও লম্বা হয়। সেই সঙ্গে ফুল কম ও ছোট হয় এবং রঙের উজ্জ্বলতা কম হয়।

Location
Device-Redmi Note-8 Time-4.30pm

ছোট থেকে বড় সব বাগানের অভিজাত ফুল হলো ক্যালেন্ডুলা। আর এই ফুল ছাড়া বাগানের সৌন্দর্য যেন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বাংলাদেশে অনেক আগেই এসেছে ক্যালেন্ডুলা। শহর এবং গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে এই ফুলটি। এছাড়াও এই ফুলের আরও নতুন নতুন জাত আসছে। ব্রিটেনে একসময় এই ফুলের পাপড়ি দিয়ে সাবান তৈরি হতো বলে তারা এই ফুলকে পট মেরিগোল্ড নামেও ডাকতো। শুধু তাই নয় ঔষধি গুণের জন্যও ব্যবহৃত হয় এই ফুল।

Location
Device-Redmi Note-8 Time-4.30pm

গাদা ফুল খুব কমন ফুল। সব জাগায় দেখা যায়। গাদা ফুলের ফটোগ্রাফি করার ইচ্ছা আমার ছিল না। তবে এক সাথে এত গুলো ফুল দেখে মনকে আর মানাতে পারলাম না। তাই ক্লিক করে একটি ফটো নিয়ে নিলাম। গাদা ফুল চুলের যত্নেও ব্যবহার করা হয়। বাগানের শোভা বর্ধন ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বন ও গৃহসজ্জায় গাঁদার ব্যাপক ব্যবহার ফুলটিকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে।

Location
Device-Redmi Note-8 Time-4.30pm

সালভিয়া ফুল। এই ফুলের নামটা আমি জানতাম না। অনেক খুজাখুজির পরে এই ফুলের নামটা বের করেছি। শীত মৌসুমের মনমাতানো ফুল সালভিয়া । গাছ দুই ইঞ্চি থেকে দুই ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। পাতাহীন গাছটিতে ফুলকলিতে ভরা থাকে। নিচের দিক থেকে ফুল ফুটতে ফুটতে ওপরের দিকে যায়। মজার বিষয় হলো সালভিয়ার ফুল, কলি, মঞ্জরি সবই একই রঙের। দেখে মনে হয় একটি ফুলের তোড়া। সাধারণত টকটকে লাল ফুলটিই বেশি দেখা যায়। এছাড়াও খয়েরি, ভায়েলোট, ঘি-সাদা ফুলের দেখা ও পাওয়া যায়।

Location
Device-Redmi Note-8 Time-4.30pm

অলকানন্দা ফুল। সবুজ পাতার মাঝে অলকানন্দা ফুলের বেগুনি রূপে সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। অলকানন্দা ফুলের আদি নিবাস ম্যাক্সিকো ও আর্জেন্টিনা হলেও বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে এ ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হচ্ছে। অলকানন্দা ফুল ফোটার পর খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঝরে যায়। আমাদের দেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিসের বাগানে অনেক যত্নে অলকানন্দা ফুলের চাষ হয়ে থাকে।

Location
Device-Redmi Note-8 Time-4.30pm

এটি হলো অলকানন্দা ফুলের অন্য আরেকটি রুপ। উপরের ফটোতে দেখতে পাচ্ছেন বেগুনি কালার আর এটি হলো লাল কালার। এক সাথে দুইটি গাছ দেখেছিলাম। এগুলোকে আবার কেউ কেউ মাইক ফুলও বলে থাকে। আমি স্বচক্ষে দেখেছি কিছু কিছু ফুল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

Location
Device-Redmi Note-8 Time-4.30pm

জিনিয়া ফুল মূলত এর বাহারি রঙের ফুলের জন্য সুপরিচিত। মৌসুমী ফুলের মধ্যে এটি বেশ সুন্দর ও আকর্ষণীয় একটি ফুল। তবে এর কোন গন্ধ নেই। এর আদি নিবাস মেক্সিকো। জিনিয়া ফুল সাদা, হলুদ, লাল, বাদামি, বেগুণি, কমলা, সবুজসহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। মেক্সিকোর এই ফুল এখন সারা পৃথিবীতে চাষ করা হয়। অন্তত ২০ প্রজাতির জিনিয়া ফুল এ পর্যন্ত দেখা গেছে।

বন্ধুরা আজ এখান থেকেই বিদায় নিতেছি। আশা করি আমার অগুছালো কথা ও বর্ণনা গুলো আপনাদের মনে একটু হলেও জায়গা নিতে পারবে। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। ভুল হলে ক্ষমা করবেন। কারন ক্ষমা মহৎ গুন।

আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।