লাইফ স্টাইল // বিকেল বেলায় মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার কিছু মুহূর্ত
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (১০-১২-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি লাইফ স্টাইল // বিকেল বেলায় মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার কিছু মুহূর্ত। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে, ফ্রেশ হয়ে প্রথমে বাইরে একটু হাঁটাহাঁটি করছিলাম। তারপরে হঠাৎ বাড়ি থেকে বাইক বের করে মাছের পুকুর দেখার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। মাছের পুকুর দেখাশোনা করার শেষ করে বাড়িতে এসে দেখি এখনো নাস্তা তৈরি হয়নি তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে আগে পোস্ট শেয়ার করি। রুমে এসে বসে গেলাম পোস্ট লেখার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক.........
আপনার উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে মাছের খাবারের বস্তা পুকুরপাড়ে নিয়ে এসে রাখার পরে চমৎকারভাবে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে আমাদের পুকুরে বিকেল বেলায় দুই ধরনের খাবার দেওয়া হতো। একটা ছিল ভাসমান ফিড আরেকটা ছিল পুকুরের মধ্যে ফেলার সাথে সাথে ডুবে যেত। আমি দুটি বস্তার মুখ খুলে ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। খাবারগুলো পুকুর পাড়ে নিয়ে এসে রাখার পরে মাছগুলো সব গুছিয়ে এক জায়গায় চলে এসেছিল আমি পুকুরের ছবি তুলে অনেক সুন্দর ভাবে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে বিকেল বেলায় মনোরম পরিবেশে পুকুরপাড়ে বসে থেকে মাছগুলোকে খাবার দিতে প্রতিনিয়ত আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। আমি চেষ্টা করি বাবার কৃষি কাজে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করার জন্য। আসলে আমাদের পুকুরে বেশিরভাগ সময় পাঙ্গাস মাছ চাষ করা হয়। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় পাঙ্গাস মাছ চাষ করা হয়েছে। মাছে বেশ ভালো একটা লাভবান হয় যদি ভালোভাবে চাষ করা যায়।
এবার আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি মাছের খাবার দেওয়া শুরু করেছিলাম। আমি মাছের খাবার দেওয়ার সময় বাড়ি থেকে একটি প্লেট নিয়ে যেতাম প্লেটে করে খাবার তুলে পুকুরের মধ্যে দিয়ে দিতাম সত্যি মাছগুলো যখন ভাসমান খাবার খেত দেখতে কি যে ভালো লাগতো বলে বোঝানো যাবে না। আমার সাথে আরো অনেক মানুষ যেত সেখানে সবাই মিলে আমরা সুন্দরভাবে সেই বিকেল বেলায় মাছের খাবার দিতাম এবং আনন্দ উপভোগ সকলে একসাথে ভাগাভাগি করে নিতাম। আসলে সকলের সাথে এরকম আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করতে সত্যি বেশ ভালো লাগে। আসলে ভাসমান ফিড আমি হাতে নিয়েও সেখানে ছবি তুলেছিলাম। আসলে সেই ফিড গুলো তেলেভাজা তাই পুকুরের মধ্যে যাওয়ার সাথে সাথে ভেসে বেড়ায়। বস্তা খোলার সাথে সাথে ভাসমান ফিড দিয়ে সেই সুগন্ধ একটা বাসনা বের হয় বেশ ভালো লাগে। আপনারা যদি কেউ কখনো মাছ চাষ করে থাকেন তাহলে দেখেছেন।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে দুটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরাবন্দি করে শেয়ার করেছি। আমি যখন মাছের খাবার দিচ্ছিলাম মাছগুলো তখন খুবই সুন্দরভাবে পুকুরের মধ্যে খাচ্ছিল আমি তখন মাছগুলোর খাওয়ার ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরা বন্দী করেছিলাম। এবং সেই সময় সেখানে দাঁড়িয়ে আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি সেলফি নিয়েছিলাম। আসলে আমি চেষ্টা করি আমার যেকোনো পোস্টের নিচে সেলফি শেয়ার করার জন্য। শীতের বিকালে পুকুর পাড়ে বসে রোদ পোহাতে এবং মাছের খাবার দিতে সত্যিই আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। আশা করি আজকের লেখা পোস্টটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
x-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক দিন এভাবে মাছের খাবার দেওয়ার চিত্র দেখতে পাইনাহ।আগে স্কুলে যাওয়ার পথে অনেক দেখতাম এভাবে সবাই মাছে খাবার দেয়।আপনার পোস্টের মাধ্যমে ছোটবেলায় ফিরে গেলাম।আসলেই মাছের খাবার দেওয়ার মুহুর্তটা অপূর্ব।
ধন্যবাদ আপু আপনার গঠনমূলক মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
বিকেল বেলা মাছের পুকুরে খাবার দেয়ার সময় দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সত্যি বলতে এরকম ভাবে একত্রে মাছ কখনোই দেখা হয়নি আর খাবার যখন দেওয়া হয় তখন মাছ উপরে উঠে আসে এবং লাফালাফি করে এই দৃশ্যটা আসলেই অনেক বেশি দারুণ। আপনি খুব কাছ থেকে এরকম সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
মাছগুলো যখন খাবার খেতে আসে তখন দেখতে সত্যি বেশ ভালো লাগে।
ছোটবেলায় যখন গ্রামের বাসায় যেতাম তখন এরকম দৃশ্য গুলো অনেক দেখতাম। মাছের খাবার দেওয়ার সাথে সাথে মাছগুলো উপরে চলে আসতো। আর দূর থেকেই এই ভাসোমান মাছগুলো দেখা যেত। মাছের খাবার দেয়ার মুহূর্ত গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
আসলে গ্রাম অঞ্চলে বেশিরভাগই মাছ চাষ হয়। মাছের খাবার দেয়ার মুহূর্ত দেখার থেকে যদি খাবার দেওয়া যায় বেশি ভালো লাগে।
বিকেল বেলায় মাছের পুকুরে খাবার দেওয়ার মুহূর্ত দেখে খুবই ভালো লাগলো। ভাসমান ফিড গুলো মাছের জন্য খুবই প্রিয়। তাই আপনি খাবার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবগুলো পাঙ্গাস মাছ এসে ভিড় জমিয় দিল। অনেকদিন পর আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই ধরনের দৃশ্য দেখতে পেলাম। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর করে গুছিয়ে পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
খাবার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাছগুলো যখন এক জায়গায় এসে খাচ্ছিল দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।