ভ্রমণ পোস্ট // সিলেট ভ্রমণের ৩৫ তম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৮-১১-২০২৪)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি সিলেট ভ্রমণের ৩৫ তম পর্ব। আজকে সকাল বেলা থেকে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আসলে যেহেতু এখন পরীক্ষা শেষ লেখাপড়া মোটামুটি বেশ কিছুদিন বন্ধ রয়েছে আবারও নতুন কলেজে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া শুরু করতে হবে তার আগ পর্যন্ত একটু বলা চলে ফ্রি আছি। সেজন্য চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত বাবার কাজে কিছুটা হলেও সহযোগিতা করার জন্য। ঘুম থেকে উঠে প্রথমে মাছের পুকুরে খাবার দিতে গিয়েছিলাম। আসলে প্রতিনিয়ত সকালবেলায় মাছের পুকুরে খাবার দিতে যেতে সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। মাছগুলো যখন এক জায়গায় এসে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে দেখে বেশ মন ভরে ওঠে। খাবার দেওয়া শেষ করে আবারও বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছি। বাড়িতে এসে হাতমুখ ধুয়ে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ভাবলাম আজকে একটু বাজারে যেতে হবে। তখনই মনে পড়ল তার আগেই একটা পোস্ট শেয়ার করি। তাই চলে আসলাম আজকে আপনাদের মাঝে সিলেট ভ্রমণের পোস্ট শেয়ার করার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট শেয়ার করা যাক.........
আপনারা প্রথমে উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে দুটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। ছবি দুটো তোলা হয়েছিল সিলেট জাফলং থেকে। আসলে আমরা মূলত সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলাম আমাদের কলেজ থেকে বন্ধু-বান্ধব এবং স্যার- ম্যাডাম সকলে একসাথে। সত্যিই সকলে একসাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়া কি যে মজা বলে বোঝানো যাবে না। বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঘোরাঘুরির কথা আমি মনে করি প্রত্যেকেরই মনে থাকবে সারা জীবন। সিলেট ভ্রমণের প্রথম স্পট ছিল আমাদের জাফলং। সেখানে পৌঁছানোর পরে সকালবেলায় হাত মুখ ধুয়ে একটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম তারপরে আমরা জাফলং এর নদীর মধ্যে গোসল শেষ করে নৌকা পথ পাড়ি দিয়ে পাহাড়ি ঝর্না দেখার জন্য গিয়েছিলাম। পাহাড়ে ওঠার আগ মুহূর্তেই নিচে দাড়ি যখন আমি আমার শার্ট ঠিক করছিলাম তখন আমার বন্ধু পারভেজ চমৎকার একটি ছবি তুলে দিয়েছিল। তারপরে আমরা দুজন সহ আমাদের বন্ধু-বান্ধব সকলে মিলে পাহাড়ের উপরে ওঠার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। সত্যি বেশ চমৎকার সময় কাটিয়েছিলাম তিন থেকে চার দিন সিলেট ভ্রমণে।
আপনারে এবার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমরা বন্ধুরা যখন নৌকায় নদী পথ ভ্রমণ করছিলাম তখন একটি সেলফি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। সিলেট ভ্রমণে প্রথম দিন যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে তখন আমরা আবারো সিলেট শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সিলেট শহরে এসে সন্ধ্যাবেলায় আমরা হযরত শাহজালাল মাজার এবং হযরত শাহাপরান মাজার দেখেছিলাম। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন সেখানে দাঁড়িয়ে আমি একটি ছবিও তুলেছিলাম সেটিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এই মাজারের সামনে কিছু ভন্ড মানুষ ছিল তারা সত্যিই ব্যবসা খুলে বসেছে অভিনব কায়দায়। আমরা সেখানে অপরিচিত মানুষ গিয়েছিলাম দেখে আমাদের হাত ধরে টেনে একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে বসিয়েছিল এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের কথা বলেছিল এবং আমাদেরকে আংটি নেওয়ার কথা বলেছিল সেখান থেকে। কিন্তু আমরা তো এইসব বিষয়ে অনেক আগে থেকেই অবগত ছিলাম তাই সেখানে কোন ফাঁদে পা না দিয়ে আমরা সেখান থেকে দ্রুত চলে আসি। সেই রাতে সিলেট শহরে আমরা একটি হোটেল ভাড়া নিয়েছিলাম এবং সকলে একসাথে ছিলাম আসলে রাতে বন্ধু-বান্ধব একসাথে থাকা কি যে মজা বলে বোঝানো যাবে না। আমরা সকলে সারারাত গল্পে আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম।
আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি চমৎকারভাবে আমার নিজের দুটি ছবি ক্যামেরা বন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। এই দুটি ছবি তোলা হয়েছিল ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর থেকে। দ্বিতীয় দিন আমরা ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর দেখতে গিয়েছিলাম। আসলে এখান থেকে বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্ত খুবই কাছাকাছি। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের পাহাড়ের উপর থেকে ইন্ডিয়ার মানুষ এবং যানবাহন চলাচল করছিল রাস্তা দিয়ে সবকিছু দেখা যাচ্ছিল সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল। তখনই মনে মনে চিন্তাভাবনা করেছিলাম আমি একদিন ইন্ডিয়াতে ঘুরতে যাব। হয়তো সেই আশা খুব দ্রুত সত্যি হবে আমি পাসপোর্ট তৈরি করতে দিয়েছি আশা করি খুব দ্রুত ইন্ডিয়াতে বেড়াতে যাওয়া হবে। ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরে আমরা বন্ধুবান্ধব সকলের মিলে একসাথে গোসল করেছিলাম আসলে সেখানে পানির স্রোত ছিল প্রবল গতিতে। সেখানে গিয়ে আমরা নামলেই পানের স্রোত আমাদের নদীর মাঝখানে নিয়ে যাচ্ছে তবে সেখানে একটি সুবিধা ছিল খুব বেশি পানি ছিল না। তবে প্রথম প্রথম আমরা সকলেই বেশ ভয় পেয়েছিলাম। সেখানে অনেক পর্যটক ছিল সকলের বেশ আনন্দ উদযাপন করছিল। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচের কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
শ্রেণী | সিলেট ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | oppo f21s pro / ডিএসএলআর |
লেখক | @kibreay001 |
লোকেশন | সিলেট |
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনা করছি। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
x-promotion
যেভাবে সিরিয়ালি সিলেট ভ্রমণের গল্প বলছেন, এবার সম্পূর্ণ সিরিজটি দিয়ে একটি বই প্রকাশ করে ফেলুন ভাই। দারুন সুন্দর ভাবে সিরিজের মত সম্পূর্ণ বিষয়টি প্রকাশ করছেন। আপনার সিলেটের গল্প পড়তে আমারও খুব ভালো লাগছে। জাফলং নদীর কথা পড়েও ভালো লাগলো। সিলেট সত্যিই খুব সুন্দর জায়গা। ছবিগুলিও খুব ভালো লাগলো।।
বই লিখতে গেলে কথার মনে আসে না ভাই ।পরীক্ষার খাতায় এমনিতেই মনে থাকে না কোন কিছু ।