দীপান্বিতা কালীপুজো
নমস্কার বন্ধুরা,
দীপান্বিতা আক্ষরিক অর্থ হলো দীপের রাত্রি। দীপাবলীর অমাবস্যার রাত, বছরের সবচাইতে অন্ধকার অমবস্যা হয়ে থাকে। আর এই অমাবস্যার রাতে আলোকিত করে পালিত হয় দীপাবলি। দীপাবলীর রাত বহু অর্থে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে যেমন দীপাবলীর রাত্রে বাঙালিরা কালীপুজো করে তেমনি ভারতের বিভিন্ন জায়গায় হয় দেবী শ্রী লক্ষ্মীর ও দেবতা গণেশের পুজো। আবার আজকের দিনে ভগবান শ্রীরাম ১৪ বছর বনবাস শেষ করে অযোধ্যায় ফিরেছিলেন। সেই জন্য আজকের রাত্রি করে রাখা হয় আলোকিত। বাঙ্গালীরা মূলত দীপান্বিতা কালীপুজো হিসেবেই পালিত করে। দীপ জ্বালিয়ে ঘুটঘুটে কালো অন্ধকার রাত্তির কাটিয়ে সারারাত ধরে হয় মায়ের পুজো। মা কালী হলেন আদ্যা শক্তি। তিনি ১০ মহাবিদ্যার প্রথম দেবী, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টির আদি।
কালীপুজোর রাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে, রঙ বেরঙের আলো জ্বালিয়ে, বাজি ফাটিয়ে সর্বসাধারণ মানুষ পালন করে। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে পালন হলেও বাঙালিরা মাতৃ শক্তির আরাধনায় মগ্ন থাকে। কালী পুজোর প্রচলন ঠিক কবে থেকে বাঙালি সমাজে শুরু হয়েছে সেটির সঠিক তারিখ পাওয়া না গেলেও মাতৃ শক্তির আরাধনায় বাঙালি সর্বাগ্রে।
পুজোর রাতে আমি প্রচুর বাজে ফাটিয়ে খুব মজা করলাম। সেই সাথে দেখালাম প্রচুর বাজি ফাটানো। কালীপুজো দেখতে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম আমার দাদার শশুর বাড়ি থেকে। দাদার শশুর বাড়িতে দুর্গা পুজো, কালীপুজো সবই হয়। আমি সন্ধ্যাবেলায় পৌঁছে গিয়েছিলাম সেখানে। তখন দেখি পুজোর যোগাড় হচ্ছে। ধীরে ধীরে পুরোহিত মশাই পুজোতে বসবেন। আমরা পৌঁছেই বাজি ফাটানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। নানান ধরনের বাজি ফাটালাম।
এমন হলো যে, বাজি ফাটাতে ফাটাতে এক সময় বেশ খিদে পেয়ে গেলো। পুজোর দিন লুচি, আলুর দম, মটর ডাল আর ফুলকপির তরকারি দিয়ে ভোজ হলো। সাথে গরম রসগোল্লা। খাবার খেয়ে কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করে ফের শুরু হলো বাজি ফাটানো। যা চললো রাত্রি সাড়ে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাজি ফোটানোর দৃশ্য দেখতে কিন্তু বেশ ভালোই লাগে। তাছাড়া বাজি ফোটাতে আমিও খুব পছন্দ করি। কালীপূজায় তো দেখছি বাজি ফোটানোর পাশাপাশি মজার মজার খাবার খেয়েছেন দাদা। সবমিলিয়ে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।