রেসিপি : বাটা মাছের ঝাল // ১০% পেআউট লাজুক খ্যাঁক-কে
নমস্কার,
কদিন আগেও রবিবার মানেই মুরগির মাংস একপ্রকার নিশ্চিত ছিলো। যদিও বিগত সপ্তাহ গুলোয় সেটায় একটু বদল এসেছে। বদল আনতে বাধ্য হতে হয়েছে, মাংস খেয়ে খেয়ে বাড়ির সবার মাংসে একপ্রকার অনীহা চলে এসেছে। সেই পুজো থেকে শুরু হয়ে প্রতি সপ্তাহেই অন্তত দু-তিনবার মাংস খাওয়া চলছিলো। অতিরিক্ত খেলে যা হয় আরকি!
মাংস মেনু থেকে বাদ তাই সকাল সকাল ভাবছিলাম কি রান্না করা যায়! আমার একটা বদ অভ্যেস আছে মাথায় কিছু না এলে ফ্রিজ খুলে ঘাটাঘাটি করি।
ইউরেকা! ফ্রিজে অনেকগুলো বাটা মাছ। দুঃখের বিষয় মাছ গুলো অনেকদিন আগে আনা হয়েছিলো কিন্তু রান্না করার কথা কারোরই মনে নেই। আমি বাটা মাছ গুলো বের করে নিয়ে পিসিকে বললাম, আজ বাটা মাছের কোনো পদ করলেই তো হয়। পিসি প্রায় তখনই বলে উঠলো, সবজি দিয়ে বাসী মাছ মোটেই ভালো লাগবে না, ঝাল রান্না করা যেতে পারে। আমিও লেগে পড়লাম, আলু দিয়ে বাটা মাছের রান্না করতে।
- বাটা মাছ
- নুন
- হলুদ
- পেঁয়াজ
- রসুন
- আদা
- কাঁচা লঙ্কা
- আলু
- কালো জিরে
- হলুদ গুঁড়ো
- জিরে গুঁড়ো
- লঙ্কার গুঁড়ো
- তেল
ধাপ ১
- বাটা মাছ গুলো ধুঁয়ে নুন এবং হলুদ দিয়ে মাখিয়ে রেখে দেবো। তারপর গ্যাস জ্বালিয়ে তাতে একটা কড়াই চাপিয়ে কিছুটা তেল গরম হতে ছেড়ে দেবো।
ধাপ ২
- তেল গরম হয়ে গেলে নুন ও হলুদ মাখিয়ে রাখা মাছ এক এক করে কড়াইতে দিয়ে অল্প আঁচে মাছ ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৩
- মাছ গুলোকে ভাজা হয়ে গেলে একটা পাত্রে নামিয়ে রাখবো।
ধাপ ৪
- ভাজা মাছের তেলেই আরেকটু তেল দিয়ে কালো জিরে ফোড়ন দেবো।
ধাপ ৫
- ফোড়ন হয়ে গেলে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা বাটা, স্বাদমতো নুন ও পরিমান মতো হলুদ দিয়ে সবকিছু ভাজতে শুরু করবো।
ধাপ ৬
- আলু, পেঁয়াজ ও রসুন ভাজা হতেই জিরে গুঁড়ো ও লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মসলা ভাজবো।
ধাপ ৭
- মসলা ভাজা হয়ে গেলে দিয়ে হাফ কাপ জল দিয়ে কষতে দেবো।
ধাপ ৮
- আলু ও পেঁয়াজ কষে গেলে তিন কাপ জল দিয়ে ফুটতে ছেড়ে দেবো।
ধাপ ৯
- ঝোল ভালোমতো ফুটে গেলে ভেজে রাখা মাছ গুলোকে ঝোলে দিয়ে দেবো।
ধাপ ১০
- মিনিট পাঁচেক নিম্ন আঁচে ঝোল ফুটে যেতেই আমাদের বাটা মাছের ঝাল তৈরী।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বাটা মাছের ঝাল রেসিপি অনেক মজাদার একটি লোভনীয় রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দাদা। বাটা মাছ বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল সেই সাথে অনেক লোভনীয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাটা মাছের ঝাল রেসিপি টা অনেক সুন্দর হয়েছে। বাটা মাছ তেলে ভেজে গরম গরম ভাতের সাথে খেতে খুব টেষ্ট লাগে। আপনি সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি করেছেন দেখেই জিহ্বায় জল চলে আসছে। খুব লোভনীয় লাগছে দেখতে রেসিপি। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল দাদা।
বাটা মাছের ঝোল রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আসলে ঝাল ঝাল মাছের রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে রেসিপিটি উপস্থাপন করলেন। আপনার উপস্থাপন দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
দাদা বাটা মাছ আমার ভীষণ পছন্দের। আর এই মাছটি এপার বাংলা ওপার বাংলা 2 জায়গাতেই একই নামে পরিচিত। দুঃখের বিষয় আমি পছন্দ করলেও আমার বাসায় তেমন কেউ পছন্দ করেনা। তাই খুব বেশি খাওয়া হয়না। আপনার রেসিপিটি দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
অও,বাটা মাছের তরকারীটি যা হয়েছে না জিভে জল আসার মতো।দেখেই লোভ লেগে গেল।আলু আমার খুব ভালো লাগে খেতে।খুবই সুন্দর হয়েছে তরকারীটি, ধন্যবাদ দাদা।
বাটা মাছ অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে এই মাছটি আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুস্বাদু একটি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি আপনার রান্নার পদ্ধতিটা আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খুবই সুন্দর ভাবে বাটা মাছের ঝোল রান্না করেছেন দাদা। সপ্তাহের অন্যান্য সময়ে মাংস খেতে খেতে আর ইচ্ছা করে না মাংস খেতে তখন একটু ভিন্ন ধর্মে কোন খাবার গ্রহণ করতে হয়। আর যদি সেটা হয়ে থাকে বাটা মাছের ঝোল তাহলে তো কোন কথাই থাকে না। এই বাটা মাছের ঝোল রান্না টা আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে খুবই ভালো লাগে। আপনি যতটা সুন্দর ভাবে বাটা মাছের ঝোল রান্নার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে আমার লোভ লেগে যাচ্ছে দাদা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা এমন সুন্দর একটা লোভনীয় খাবার আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাই সাপ্তাহে মাংস বেশি খাওয়া হলে তারপর আর মাংস খেতে ইচ্ছা করে না। অন্য কিছু ট্রাই করার প্রয়োজন আছে। আপনার মাছের রেসিপি খুবই চমৎকার হয়েছে এবং খুব সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন। তবে আমার তরকারি থেকে তেলে ভাজা মাছটি বেশি ভালো লাগে।
দাদা আপনি ঠিক কথাই বলেছেন সব সময় মাংস খেতে ভালো লাগে না। মাঝে মাঝে খেলেই বেশি ভালো লাগে। তবে আপনি আজকে বাটা মাছের যে মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন সেটি দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। বাটা মাছের ঝাল রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। অনেক মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দাদা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দাদা এতো গুলো ভাজা মাছ এক সাথে দেখে যেন লোভ সামলাতে পারছিনা।বাটা মাছের রেসিপি মোটামুটি ভালোই লাগে আর আপনার রেসিপি টা তো অনেক লোভনীয় লাগছে।