পুজো পরিক্রমা ২০২৪: বাদামতলা আষাঢ় সংঘ
নমস্কার বন্ধুরা,
যান্ত্রিকতায় মুড়ে যাওয়া আমাদের জীবনে দুর্গা পুজো কাছে আসলেই মন ভালো করে দেয়। পুজোর হাওয়া বাতাসে লাগলে পুজোর কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া মণ্ডপ তৈরি, বিগ্রহ তৈরি, ইলেকট্রিশিয়ান নিরাপত্তারক্ষী পুরোহিত দের ব্যস্ততা, নতুন সিনেমার মুক্তি, বিভিন্ন পূজা বার্ষিকী এবং বিজ্ঞাপনে মুখ ঢাকতে থাকা শহর থেকে শহরতলীরা বুঝিয়ে দেয় আসন্ন মায়ের কথা। যা উৎসবের "চালচিত্রে" আরো রঙিন হয়ে ওঠে। পশ্চিমবঙ্গে দুর্গা পুজো প্রকৃত পক্ষে এক বিরাট ইন্ডাস্ট্রি। দুর্গাপুজার সাথে বঙ্গের অর্থনীতি যেমন জড়িয়ে রয়েছে তেমনি বহু মানুষের কর্মসংস্থান রুটি রুজি সব কিছুই নির্ভর করছে। "বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী" সেইমতো বঙ্গের দুর্গা পুজো আমাদের সমাজের বিশাল অংশের লক্ষ্মীলাভ। দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে চা থেকে ফুলের দোকান, মাছ থেকে মিষ্টির দোকান, বেচাকেনা কিংবা অফিস ফেরত পুজোর বোনাস সারা বছর অল্প অল্প জমিয়ে রাখা অর্থ দেবী বোধনের সন্ধিক্ষণে জনজীবনে প্রতি অংশে আলো নিয়ে আসে।
এভাবেই প্রতিবছর উৎসবের চালচিত্রে উমা ঘরে ঘরে বেঁচে থাকার রসদ নিয়ে আসে। অর্থাৎ দুর্গাপুজো একাধারে যেমন বঙ্গ জীবনের শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব ঠিক তেমনি অন্য ধারে অনেকের সারা বছরের বাঁচার রসদ। এবং ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় শিল্পের সোজাসুজি বিনিয়োগের জায়গা। যখন তাদের আয় বৃদ্ধি হবে, স্বাভাবিক ভাবেই কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, ব্যয় বৃদ্ধি ঘটে। বাঙালির প্রাণ প্রিয় উৎসবে তৎপর আগমনী গানের ছন্দে ঘোরে অর্থনীতির কালচক্র।
দক্ষিণ কলকাতার নামকরা পুজো গুলোর মধ্যে অন্যতম, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ। তাদের এবছরের পুজোর মাধ্যমে মানুষকে প্রকৃতিকে রক্ষা করার জন্য সচেতন করেছে। ৮৬ তম বর্ষে পা দেওয়া বাদামতলা আষাঢ় সংঘের এবারের পুজো ছিলো এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই, "উৎসবের চালচিত্র"। দুর্গাপুজো পশ্চিমবঙ্গ তথা বাঙালির কাছে শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় সামাজিক অনুষ্ঠান নয় এটি আমাদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ওঠা জীবনের একাংশ। সমাজের প্রত্যেকটা স্তরের মানুষ পুরো পুজোর সাথে জড়িত হতে পারে। মানুষ সারা বছর এই সময়টার জন্যই অপেক্ষা করতে থাকে তারা নিজেদের জমানো অর্থ এই সময়ে খরচ করবে ভেবে জমিয়ে রাখে। বছরের একটা একটা করে জমানো পয়সা জমিয়ে রেখে দুর্গাপুজোর সময় ভালো কিছু জিনিসপত্র কিনবে। তাই দুর্গা পুজো শুধুমাত্র একটি পুজা নয়, এটি আমাদের রাজ্যের মানুষের জীবনের একটি "চালচিত্র"।
চালচিত্রকেই প্রকাশ করার জন্য বাদামতলা পুজো মণ্ডপটিকে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন অংশের মতো সমাজ জীবনে যেভাবে দুর্গাপুজো অর্থনৈতিক এবং সামাজিকভাবে এবং ধর্মীয়ভাবে যে বিষয়গুলো অনুপ্রেরণা দেয় যেভাবে পরিচালনা করে সেই অংশগুলোকে তুলে ধরা হয়েছে। মন্ডপটা বানানো হয়েছে টিন কেটে, টিনের বিভিন্ন মুড়ে। আর আলো আঁধারির মাধ্যমে এই পুজোর চালচিত্রকে চলচ্চিত্র আকারে ফোটানো হয়েছে। যেখানে মানুষের জীবনের সাথে দুর্গা পুজো কিভাবে জড়িয়ে আছে সেটা তুলে ধরা হয়েছে।
মন্ডপের ভাবনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিগ্রহ বানানো হয়েছে টিনের বিভিন্ন অংশকে মায়ের বিগ্রহের মাপে কেটে।
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির প্রথম MEME Token : $PUSS by RME দাদা
"আমার বাংলা ব্লগের" প্রথম FUN MEME টোকেন $PUSS এখন SUNSWAP -এ লিস্টেড by RME দাদা
X-প্রোমশনের ক্ষেত্রে যে ট্যাগ গুলো ব্যবহার করবেন,
@sunpumpmeme @trondao $PUSS












Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বিগত বছর বাদামতলা আষাঢ় সংঘের ঠাকুরটি আমিও দেখতে গিয়েছিলাম।। এদের বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী থিমের উপর দারুন সুন্দর প্যান্ডেল সাজানো হয়েছিল। এই পূজাটি দক্ষিণ কলকাতার একটি অন্যতম বড় পুজো। তার ছবি দিয়ে এবং বর্ণনা সমেত আপনি ভীষণ সুন্দর করে সম্পূর্ণ পুজো পরিক্রমাটি করালেন।
আপনারা যেমন দূর্গা পূজার জন্য সারাবছর টাকা জমিয়ে রাখেন, তেমনি আমরা ঈদের জন্য সারাবছর টাকা জমিয়ে রাখি। যাইহোক বাদামতলা আষাঢ় সংঘের থিমটা সত্যিই দারুণ। তাছাড়া তাদের আয়োজন ভীষণ সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি দেখে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।