31/10/2024. Betterlife. সুন্দর একটি দিনে পিজি হাসপাতালে ঘুরে আসলাম। এইচপিভি ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ গ্রহণ করিলাম।
I am @kuhinoor From Bangladesh.
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে সবাই ভাল থাকেন সেটাই আমার শুভকামনা।
আমার জীবনে দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি হসপিটালে গিয়েছিলাম মূলত ডাক্তার দেখানোর জন্য। সকাল সাতটা বাজে বাসা থেকে বের হই। সাইনবোর্ড যেতেই প্রায় ৩০ মিনিটের মত জ্যামে পড়ে গেলাম। জ্যামে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার ফলে খুব খারাপ লাগছে।
কিছুক্ষণ পর জ্যাম কেটে গেল। ফ্লাইওভারে উঠে গেল গাড়ি এখন আর গাড়ি চলতে সমস্যা হবে না ইনশাল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবে। গুলিস্তান গোলাপ শাহর মাজারের কাছে গিয়ে গাড়ি থামায়। সেখান থেকে নেমে আমরা পিজি হসপিটালে দিকে রওনা দিলাম। সময় লেগেছে ২৫ মিনিটের মত।
আমি হসপিটালে সকাল নয়টার দিকে পৌঁছলাম। তারপরে এক নাম্বার ভবনে ঢুকে আমি টিকিট সংগ্রহ করলাম। টিকিট ফ্রি ৩০ টাকা পরিশোধ করতে হলো। টিকিট কাউন্টারের কাছে বেশি সিরিয়াল ছিল না। তাই দ্রুত আমি টিকিট কাটতে পারলাম।
- চার তালায় ৩০৬ নাম্বার ভবনে আমি ডাক্তার দেখানোর জন্য সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে ছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টার মতো আমার সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। পরে আমি আমার সমস্ত দেখালাম এবং সাথে কথা বললাম। ডাক্তার আমাকে ভ্যাকসিনের জন্য পরামর্শ দিল। এটি ছিল জরায়ুর মুখে ক্যান্সার প্রতিরোধের ভ্যাকসিন। দুই নাম্বার ভবনে গিয়ে আমাকে টিকা গুলা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিলেন।
আমি অনেক ঘুরাঘুরির পর দুই নাম্বার ভবন খুঁজে পেলাম। কিন্তু তারপরেও ভ্যাকসিন সেন্টার খুঁজে পাইনি। দীর্ঘক্ষণ ঘোরাঘুরির পর আমি সেই ভাইরোলজি বিভাগ খুঁজে পেলাম। তারপর আমি সেখানে গিয়ে আমার সমস্ত কাগজপত্র দেখাই। তিনি আমাকে ব্যাংক ড্রাপ পরামর্শ দেন। ২৩৫০ টাকার ব্যাংকে জমা দিয়ে আসি করে আসি।এসে আমি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেই।
সকাল থেকে আমি এখনো নাস্তা খাইনি। পিজি হসপিটাল এর ক্যান্টিনে গিয়ে আমি নাস্তা খেয়ে নিলাম। সেখানে অনেক ভিড় ছিল প্রথমে আমার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো। নাস্তা সেরে আমি ভ্যাকসিন সেন্টারে চলে আসি।ম্যাম আমাকে দেরি না করে ভ্যাকসিন দিয়ে দেয়। এবং আমাকে ভ্যাকসিনের কার্ড দিয়ে দেয় এবং কার্ডের ভিতর পরবর্তী ভ্যাকসিন গ্রহণ করা তারিখ গুলো লিখে দেয়। আমি ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে এক নাম্বার ভবনে আসি, সেখান থেকে আমি মেডিসিন বিভাগে আবার যাই।
দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রম করার পর আমার খুব ক্লান্ত লাগে। হসপিটালে সামনে আমি শরবত ক্রয় করি। সেখানে দাঁড়িয়ে আমি একলা শরবত খাই। তারপর আমি আবার হসপিটালের কাছে আসি। আমার একটি পরীক্ষা ছিল সেটা আমি আজকে সেটা করে যাব।
পিজি হসপিটালে কাজ শেষ করে আমি দেশের রওনা দেই। তখন বেলা ২: ৩০ মিনিট প্রায়। আমার প্রচন্ড ক্ষুধাও লেগেছে। আমরা গুলিস্তানে এসে একটি রেস্তোরায় ঢুকি দুপুরে খাবার শেষ করি। খাসির মাংস, ভাজি, কচুশাক,ভাত, ডাল, এবং ১ লিটার পানি ক্রয় করি। খাবার মূল্য আসে ৭৫০ টাকা।
খাবার শেষ করে আমরা আবার রিকশায় করে বাস স্ট্যান্ডে আসি। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি রাস্তা থেকে ক্রয় করি। খাই খুব মজা আনারসের সাথে কাসুন্দি মাখা। এখন বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পাশে উঠে বসি সময় এখন তিনটা ৩০ মিনিট। ফ্লাইওভারে উঠতে না উঠতে আবার জ্যাম শুরু হয়ে গেল। যাই হোক নারায়ণগঞ্জ সিটি চিটাগাং রোড এসে পৌছালাম। পরে ডাক্তারের দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ করে করি। কারণ আমার শরীরটা অনেক খারাপ ছিল রিপোর্ট অনুযায়ী আমাকে ওষুধ দেয়া হয়েছেয়ে। ভ্যাকসিন দেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, তাই আমি সেটা গ্রহণ করলাম।
এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন জরায়ুর মুখ ক্যান্সার রুখে দিন
জরায় মুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত নিরাপদ, ও কার্যকর 💐💐
- তাই আমি দ্রুত এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছি। আশা করি আপনি গ্রহণ করিবেন। নিরাপদে থাকিবেন, সুস্থ থাকিবেন। 🤲🤲
আজকের জন্য এখানে শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের প্রতি যত্ন নিবেন। যেকোনো রোগ বালাইয়ের ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন থাকবেন।
নারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সম্পর্কে আপনার পোস্টে উল্লেখ করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
X promote
https://x.com/Kuhinoor95/status/1853367407768924258?t=l1hy5S0jOXGscJIfaciy3w&s=19