ব্যস্ততা যেন কমছেই না
কেমন আছেন সবাই? আশা করবো যে যেখানে থাকেন না কেন বেশ ভালোই আছেন। মানুষের জীবন সব সময় এক রকমের যায় না। এই ভালো তো এই মন্দ। আর ভালো মন্দের জোয়ার ভাটায় জীবনটাই হয়ে পড়ে নিস্তেজ। তবুও এত কিছুর মাঝেও মানুষ প্রতিনিয়ত জীবন যদ্ধে লিপ্ত থাকে বেচেঁ থাকার জন্য। কারন একমাত্র মানুষই স্বপ্ন বিলাসী। তাই তো সবার মত আমিও হাজার ব্যস্ততা কে ছাপিয়ে বেচেঁ থাকতে চাই হাজার বছর।
আমি @maksudakawsar, বাংলাদেশ হতে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগের একজন নিয়মিত ইউজার।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে নতুন নতুন এবং ভিন্ন কিছু পোস্ট নিয়ে উপস্থিত হতে। সত্যি বলতে ভালো মন্দ যাই লিখি না কেন, চেষ্টা করি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। জানিনা কতটুকু আমার লেখা গুলো আপনাদের কে ছুঁয়ে দিতে পারে। আজও আবার চলে আসলাম আপনাদের মাঝে।আজ চেষ্টা করছি আপনাদের মাঝে একটি লাইফ স্টাইল শেয়ার করতে।
বেশ কিছুদিন হলো একের পর এক ব্যস্ততা আমার জীবনে লেগেই আছে। কেন জানি কোন ভাবেই ব্যস্ত জীবন থেকে আর মুক্তি পাচ্ছি না। আজ এটা তো কাল সেটা।এমন করেই কেটে যাচেছ দিন। প্রতিদিন সেই সকালে বাসা হতে বের হই আর বাসায় ফিরতে ফিরতে সেই রাত। কি আর করার আমাকে এর মধ্য দিয়েই কাটিয়ে দিতে হচ্ছে দিন গুলো। আর এরই মাঝে আবার নতুন একটি ঝামেলা এসে ঘাড়ে পড়লো। সেই সাথে বিশাল এক চিন্তার পাহাড়। আসলে আমার মেঝ আপু হঠাৎ সেদিন চোখের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল। তো ডাক্তার সাহেব বেশ করে চোখ পরীক্ষা করে বললেন যে আপুর চোখের রেটিনাটি একটু পরীক্ষা করে নিতে। তাও নাকি আবার আগাঁরগাও এর চক্ষু হাসপাতাল হতে। বেশ চিন্তায় পড়ে গেলাম। কি করবো আর ভাবলাম আমিই নিয়ে যাই।
আপু কে নিয়ে গেলাম। তারপর সেখানে গিয়ে দশ টাকার টিকেট কেটে নিয়ে আমার একজন পরিচিত ডাক্তার সাহেবের কাছে গেলাম। তিনি বেশ সুন্দর করে পরীক্ষা করে দেখলেন যে আপুর রেটিনাতে কোন সমস্যা আছে কিনা। তারপর তিনি আরও একটু ভালো করে পরীক্ষা করে দেখার জন্য তার একজন অভিজ্ঞ বন্ধুর কাছে পাঠালেন। আর আমরাও গেলাম সেখানে। ডাক্তার সাহেব বেশ করে চোখ পরীক্ষা করে দেখলেন। তারপর তিনি বললেন যে না তিনি কোন প্রবলেম খুঁজে পাননি। তিনি বেশ সুন্দর করে বিষয়টি আমাদের কে বুঝিয়ে বলে দিলেন। ডাক্তার সাহেবের কথা শুনে আমরাও বেশ খুশি হলাম আর মনের মধ্যে একটু স্বস্থি পেলাম।
এরপর আমরা যখন হাসপাতাল থেকে বের হলাম তখন ভাবলাম যে সরকারি হাসপাতাল হলেও একেবারে দেখতে প্রাইভেট হাসপাতালের মত পরিবেশ। তাই আমরা হাসপাতালের বাহিরের পরিবেশ বেশ ভালো করে ঘুরে দেখলাম।খুব সুন্দর গাছপালা চারদিকে। আমি চেষ্টা করলাম চারদিকের পরিবেশের কিছু ফটোগ্রাফি করে আপনাদের কে দেখাতে যে কি দারুন পরিবেশ হাসপাতালটির চারদিকের। যে কেউ দেখলেই মনে করবে যে এটি কোন বিদেশী দেশের হাসপাতাল। যাই হোক বেশ কিছুটা সময় সেখানে থাকার পর আমরা আবার আমার অফিসে চলে গেলাম।
শেষ কথা
শেষ কথা
কেমন লাগলো আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্টটি। আশা করি আমার পোস্ট টি পড়ে আপনাদের কাছে বেশ ভালোই লেগেছে।জানার অপেক্ষায় রইল।
আমি মাকসুদা আক্তার। স্টিমিট প্লাটফর্মে আমি @maksudakawsar হিসাবে পরিচিত। ঢাকা হতে আমি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত আছি। আমি একজন গৃহিনী এবং চাকরিজীবী। তারপরও আমি ভালোবাসি আমার মাতৃভাষা বাংলায় নিজের মনের কথা গুলো আমার বাংলা ব্লগের প্লাটফর্মে শেয়ার করতে। আমি ভালোবাসি গান শুনতে এবং গাইতে। আমি অবসর সময়ে ভ্রমন করতে এবং সেই সাথে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি নিজের ক্যামেরায় বন্দী করতে ও ভালোবাসি। মাঝে মাঝে নিজের মনের আবেগ দিয়ে দু চার লাইন কবিতা লিখতে কিন্তু আমার বেশ ভালোই লাগে। সর্বোপরি আমি ভালোবাসি আমার প্রাণপ্রিয় মাকে।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
চোখ খুবই সেন্সিটিভ অঙ্গ। অবহেলা না করে সঙ্গে সঙ্গেই যে ডাক্তারের কাছে গেছেন এবং পরামর্শ নিয়েছেন এটাই আনন্দের। সাবধানে রাখবেন ওনাকে। আর আপনার মেজ আপুকে বলবেন চোখের যত্ন নিতে।
ধন্যবাদ দিদি আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আসলেই আপনার দিনগুলো আজকাল বেশ ব্যস্ত যাচ্ছে। সবার জন্য বেশ দৌড় ঝাপ করেন আপনি। সেদিন আপু কে নিয়ে চক্ষু হাসপাতালেও অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন। যাক আপু খুব তাড়াতাড়ি এখন মেজু আপু অপারেশন হলেই ভালো।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।