জেনারেল রাইটিং-সাতশত টাকার মাছ কাটতে গিয়ে দুই হাজার টাকার ঔষুধ খাওয়ার গল্প|
আসসালামু আলাইকুম
আমি @maria47।আমি একজন বাংলাদেশী। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আমিও ভালো আছি।গতকাল ব্যস্ততার কারণে পোস্ট করতে পারি নি।আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য। আজকে আমি ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজকে আমি সকলের সাথে সাতশত টাকার মাছ কাটতে গিয়ে দুই হাজার টাকার ঔষুধ খাওয়ার গল্প শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের কাছে ভালো লাগবে।
সাতশত টাকার মাছ কাটতে গিয়ে দুই হাজার টাকার ঔষুধ খাওয়ার গল্প:
Source
বেশ কয়েকদিন আগের ঘটনা।এটি কষ্টের গল্প বলবো না দুঃখের গল্প বলবো জানি না। টাইটেল টি দেখে অবশ্য সবাই বুঝতে পেরেছেন কি নিয়ে আজকে আমি লিখতে যাচ্ছি।যেটার মূল কারণ হলো মাছ।বাসায় আমার মেজো চাচার আসার কথা।তাই সকাল সকাল হাজবেন্ড বাজার করতে চলে যায়।যেহেতু দুপুরে আসবে তাই সে সকালেই বের হয় বাজারের উদ্দেশে।যেহেতু চাচা নদীর মাছ ছাড়া অন্য কোনো কিছুই খান না।
তাই চাচার জন্য আমার হাজবেন্ড অনেক ধরণের মাছ এনেছিল।সব মাছ কাটা শেষে যখন টেংরা মাছ কাটি এমনকি কাটা শেষ হয়েছিল।কিন্তু শেষের মাছ গুলো কাটার সময় একটু হাতে কাটা লেগে রক্ত বের হয়ে যায়।খুবই স্বাভাবিক ছিল সেইদিন।কোনো কিছুই মনে হয় নি।কিন্তু ঠিক দুই দিন পরে যেই জায়গায় কাটা ফুটেছিল সেই জায়গাটা পেকে যায়।কিছুই ধরতে পাচ্ছিলাম না
সারারাত হাতের ব্যথায় ঘুম আসতে পারি নি।সারারাত পেকে হাত একদম অনেকটা ফুলে গিয়েছিল।যেই ব্যথাটা সহ্য করা খুবই কষ্টকর ছিল।মাঝে রাতে উঠে।সুই গরম গরম করে পানি গুলো বের করে দেই।এরপর কিছুটা ব্যথা কমে যায়।একদম ফুলটা টাও কমে যায়।ভেবেছিলাম আর কোনো সমস্যা হবে না।এমনিতেই ব্যথার ঔষুধ খেয়েছিলাম।বেশ আরাম পেয়েছিলাম।
কিন্তু ঠিক আবার রাতের বেলায় আবার ওই জায়গায় থেকে একটু নিচে পেকে একদম আগের দিনের মতোই ফুলে উঠে।এরপর সারারাত কোনোরকম পার করে সকালেই ডাক্তার এর কাছে যাই।যাওয়ার পরেও ডাক্তার দেখে বলেন হাতে ইনফেকশন হয়েছে।এরপর তিনি ঔষুধ লিখে দেন।সব মিলিয়ে দুই হাজার টাকার ঔষুধ কিনেছিলাম।এই কথা গুলো মনে হলে গা শিওরে উঠে।সামান্য একটা কাটা থেকে কি ভয়ংকর বিপদ হতে চলেছিল।এরপর থেকে মাছ দেখলেই আমার ভীষণ ভয় লাগে।এটাই ছিল আমার আজকের পোস্ট।ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি মারিয়া মুক্তি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @maria47। আমি রান্না করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমার ভালো লাগে। আমি ঘুরতে যেতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়াও ছবি তুলতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কোন ভিন্ন ধরনের কিছু দেখলেই আমি সেটির ছবি তুলে রাখি। নিত্য নতুন জিনিস বানাতেও ভীষণ ভালো লাগে। এছাড়াও নিত্য নতুন আর্ট করতে আমার খুবই ভালো লাগে।
এরকম বিপদের কথা শুনলে সত্যি অনেক খারাপ লাগে। আপনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন। হঠাৎ করেই আসলে এরকম দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তবে প্রথম থেকেই যদি আপনি সাবধান হতেন তাহলে এতটা কষ্ট পেতে হতো না।
দুঃখজনক ঘটনা। তবে এমনটা মাঝে মধ্যেই ঘটে মা বোনদের ক্ষেত্রে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই তেমন কোন সমস্যা হয় না কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভোগান্তি হয়, যেমন হয়েছে আপনার ক্ষেত্রে। যাহোক, এন্টিবায়োটিক খেয়ে ভাল হয়েছে, এটা এক দিক দিয়ে ভাল। অনেকে অবহেলা করে ডাক্তার দেখায় না, পরে আরো জটিল হয়ে যায় বিষয়টা।
ভাল থাকুন
আসলে কোনটা থেকে কোনটা হয়ে যায় আমরা কেউ বলতে পারি না।আর বিপদ বলে কয়ে আসেনা।আপনার পোস্টি পড়ে অনেক কষ্ট লাগলো।এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে আমাদের নিজের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।আসলে ছোটখাটো জিনিসগুলো আমরা পাত্তা দেই না যার কারণে আমাদের বিভিন্ন রকমের সমস্যা হয়।অনেক ধন্যবাদ আপু সতর্কতামূলক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বিপদ আসতে কোন কারণ লাগে না। ছোট্ট বিষয় থেকেই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যায়। হয়তো মাছ কাটতে গিয়ে কাটা আপনার ভিতরে রয়ে গিয়েছিল। এজন্যই ইনফেকশন হয়ে গিয়েছে। মাস কাটার সময় তো অনেকে ময়লা থাকে। যাক তারপরও ডাক্তারের কাছে ট্রিটমেন্ট নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আশাকরি এখন হাত আগের থেকে ভালো হয়ে গিয়েছে।
৭০০ টাকার মাছ কাটতে গিয়ে আপনি তো বেশ বিপদের মধ্যে পড়ে গেছিলেন আপু। এমন ভোগান্তি খুবই কষ্টের। তবে এমন ঘটনা বাড়ির মেয়েদের সঙ্গে মাঝে মাঝেই ঘটে। বিভিন্ন মাছ কাটতে গিয়ে হাত কেটে ফেলা বা হাতে কাটা ফুটে যাওয়া এই বাংলায় ঘরে ঘরে হয়। আর তারপর যন্ত্রণার শেষ থাকে না। আশা করি আপনি সেরে উঠেছেন।
আসলে সবাই কিন্তু মাছ কাটতে পারে না
আসলে মাছ কাটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।তাই খুবই সাবধানে কাটতে হয়,আপনার ঘটনাটি পড়ে খারাপ লাগলো।ভবিষ্যতে সতর্কতা অবলম্বন করবেন আশা করি, শুভকামনা রইলো আপু।