হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলু ও পটল দিয়ে মাছের ডিম ভাজি রেসিপি শেয়ার করব। মাছের ডিম ভাজি খেতে হয়তো সকলে অনেক পছন্দ করে। আমার কাছেও মাছের ডিম ভাজি খেতে অনেক ভালো লাগে। আজকে সকালবেলায় ইচ্ছা হলো মাছের ডিম ভাজির সাথে গরম গরম রুটি খেতে। তখন আমি ভাবলাম মাঝেমধ্যে আমি আলু দিয়ে মাছের ডিম ভেজে থাকি। আজকে আমি মাছের ডিমের সঙ্গে আলুও পটল দিব ।মাঝেমধ্যে রেসিপিটা যদি একটু ইউনিক হয় তাহলে রেসিপির স্বাদ যেন আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায় ।এমনিতেই আমার ইউনিক কোন কিছু খেতে অনেক ভালো লাগে ।মনে হয় একটা অন্যরকম নতুন স্বাদ পাই ।যখন আমি আলু পটল দিয়ে মাছের ডিম ভাজলাম তখন মনে করলাম না জানি খেতে কেমন লাগবে। যখন রেসিপিটা ভাজা সম্পূর্ণ হলো তখন রুটি দিয়ে খেতে আসলেই অনেক মজাদার লাগছিল ।আমি নিজেও বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে ডিমের সঙ্গে পটল দিয়ে খেতে এত বেশি মজাদার লাগে। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে মাছের ডিম দিয়ে আলু পটল ভাজি রেসিপি দেখে আসা যাক।
•••• ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুল••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
১ | মাছের ডিম | পরিমাণমতো |
২ | পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণমতো |
৩ | লবণ | স্বাদমতো |
৪ | জিরা | পরিমাণমতো |
৫ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণমতো |
৬ | হলুদের গুড়া | পরিমাণমতো |
৭ | রসুন কুচি | পরিমাণমতো |
৮ | রসুন আলু | পরিমাণ মতো |
৯ | পটল | পরিমাণমতো |
১০ | সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
প্রথমে আমি দুইটা আলু ও দুইটা পটল নিয়ে নিয়েছি ।আপনারা যতটুকু পরিমাণ ভাজি করতে চান সেই পরিমাণ আলু পটল নিতে পারেন ।
এবার আমি আলু ও পটলগুলো অনেক সুন্দর ভাবে সাইজ করে ছোট ছোট করে কেটে নিব ।কাটা হয়ে গেলে পানি দিয়ে অনেকবার ধুয়ে নিব ।
এবার আমি পরিমাণমতো জিরা নিয়ে নিব। পরিমাণমতো জিরা নেওয়ার পর পাটার সাহায্যে অনেক সুন্দর ভাবে জিরা পেটে নিব।
এবার আমি পরিমাণমতো পেঁয়াজ কুচি, পরিমাণমতো কাঁচা মরিচ, পরিমাণমতো রসুন কুচি, পরিমাণমতো হলুদের গুড়া, পরিমাণমতো লবণ ,পরিমাণমতো জিরা নিয়ে নিয়েছি। ।
এবার আমি মাছের ডিম গুলো অনেক সুন্দর ভাবে পানি দিয়ে অনেকবার ধুয়ে নিব। যাতে মাছের ডিমের নোংরা বের হয়ে যায় ।
এবার আমি প্রয়োজনীয় উপকরণগুলোর ভেতর মাছের ডিম সয়াবিন তেল দিয়ে দিব ।এবং অল্প একটু পানি দিব যাতে আলু পটলগুলো অনেক সুন্দর ভাবে সিদ্ধ হয়ে যায়।
এইতো অনেক সুন্দর ভাবে আলু পটল ও মাছের ডিম সিদ্ধ হয়ে এসেছে ।আপনারা চাইলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলে খুব তাড়াতাড়ি আলু পটল মাছের ডিম সিদ্ধ হয়ে যাবে।
অনেকক্ষণ নাড়াচাড়া করার পর দেখবেন আলুও পটলগুলো কেমন একটা লালচে লালচে হয়ে গিয়েছে। তখন জানবেন আলু পটল দিয়ে মাছের ডিম ভাজি হয়ে গিয়েছে। ।
এইতো অনেক সুন্দর ভাবে আলু পটল দিয়ে মাছের ডিম ভাজি হয়ে গিয়েছে । রান্না করার পর আমি একটা পাত্রে তুলে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি ।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আশা করি মাছের ডিম দিয়ে আলুও পটল ভাজি আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix note 11pro |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।
মাছের ডিম আলু দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়েছে তবে এর সাথে কখনো পটল দিয়ে খাওয়া হয়নি। এভাবে খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু ছিল। ভালো লাগলো আপনার পুরো রেসিপিটা দেখে। খুবই লোভনীয় লাগছে এই রেসিপিটা দেখতে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু এবং লোভনীয় এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু রেসিপিটা খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
মাছের ডিমের সাথে যে কোন রেসিপি এডজাস্ট করলে সেটা অনেক বেশি মজা লাগে আলু ভাজির সাথে মাছের ডিমের রেসিপি কম্বিনেশনটা বেশ লোভনীয় লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। লোভনীয় রেসিপিটি তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া রেসিপিটি ভালো লাগার জন্য।
মাছের ডিমের সাথে আলু ভাজি খেতে দারুন লাগে। আমি যখন হোস্টেলে থাকতাম এ রান্নাটা আমার সব থেকে প্রিয় ছিলো।হোস্টেলের খালা মাঝে মাঝে এ রান্নাটা করতো।আজ আপনি মাছের ডিম দিয়ে আলু পটল ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন। অসাধারণ এবং লেভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু হোস্টেলের খালা অনেক সুন্দর ভাবে মাছের ডিম ভাজি করতো।
মাছের ডিম খেতে খুবই ভালো লাগে। আর আলু দিয়ে ভাজি করলে আরো বেশি ভালো লাগে। সাথে আবার পটল দিয়েছেন। মনে হচ্ছে আলু এবং পটলের সমন্বয়ে ভাজি করা মাছের ডিম খেতে খুবই ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আসলেই রেসিপিটা খেতে অনেক ভালো ছিল ভাইয়া।
মাছের ডিম আমি অনেক পছন্দ করি। আর এ মাছের ডিম যদি একটু সুন্দরভাবে ভাজি করে রান্না করা হয় তাহলে পেতে ভালো লাগে। ঠিক তেমনি সুন্দর রেসিপি করছে দেখে অনেক ভালো লাগলো। আশা করি খুব সুস্বাদু ছিল।
জি ভাইয়া খেতে অনেক মজাদার ছিল।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে মাছের ডিম দিয়ে আলু ও পটল ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার হাতে তৈরি করা এতো সুন্দর একটি রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি প্রতিটি উপকরণ একদম সমান ভাবে মিশ্রণ করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া রেসিপিটি মনোযোগ সহকারে দেখার জন্য।
মাছের ডিম খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনি মাছের ডিমের খুবই মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপিটি দেখেই ভীষণ লোভ লেগে গেল।খুব সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির প্রতিটা ধাপ উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনারা মাছের ডিম কে নানান পদ্ধতিতে রান্না করেন আমি দেখছি। আমরা কেবলমাত্র বড়া ভাজা বানাই নইলে বড়ার টক নইলে ঝাল। কিন্তু আপনাদের থেকে এই মাছের ডিমের নানান ধরনের রেসিপি শিখে বাড়িতেও মাঝে মাঝে রান্না করি। ভালোই লাগে খেতে। আপনার এই রেসিপিটি ও দেখে মনে হচ্ছে বেশ ভালই হয়েছে।
রেসিপিটি ভালো লাগার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাছের ডিমের সমন্বয়ে আলু ও পটল ভাজি তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি।তবে আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে খেতে মনে হয় বেশি মজা।যাইহোক মজাদার এবং নতুন এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে এত সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রেসিপিটা তৈরি করে খেয়ে দেখবে আসলেই খেতে অনেক ভালো লাগে।
আলু ও পটল ভাজি করলে খেতে এমনিতে মজা লাগে। আর আপনি ডিম আলু এবং পটল দিয়ে মজার রেসিপি করেছেন। আর এ ধরনের রেসিপি দিয়ে গরম রুটি এবং গরম ডাল দিয়ে ভাত খেতে বেশ মজাই লাগে। এমনিতে ভাজি রেসিপি আমার খুব প্রিয়। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া এমন ধরনের রেসিপি গরম রুটি বা ডালের সঙ্গে খেতে অনেক ভালো লাগে।