হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আশাকরি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যবৃন্দু আল্লাহর রহমতে ভালো আছে। আমার নাম ইমা অন্য দিনের মতো আজও আমি আপনাদের সাথে নতুন কিছু শেয়ার করতে এসেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলু ও ঢেঁড়স দিয়ে পুটি মাছ চচ্চড়ি শেয়ার করব। চচ্চড়ি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে ।সেটা যদি কোন সবজি দিয়ে হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই। প্রতিবছর বর্ষার সময় অনেক ছোট মাছ দেখতে পাওয়া যায় ।এবার এতো পচুর পরিমাণ বৃষ্টির হয়েছে যে বর্ষার সময় তেমন একটা মাছ ধরা হয়নি। এখন প্রায় শীতকাল চলে এসেছি অনেক ছোট মাছ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কিছুদিন আগে টাক ভর্তি করে ছোট মাছ আসছিল। সেখান থেকে আমি কিছু ছোট মাছ কিনেছি। দেখতে পেলাম অনেক সুন্দর সুন্দর পুটি মাছ বিক্রয় করছিল। তাই ভাবলাম কিছু পুটি মাছ কিনে নিই। তাহলে চচ্চড়ি করে খাওয়া যাবে। আমি প্রায় ৩ কেজি পুটি মাছ কিনেছি ।কিনে পরিষ্কার করে ফিরিয়ে রেখে দিয়েছি। আজকে ফ্রিজ থেকে কিছু পুটি মাছ বের করে আলু ও ঢেঁড়স দিয়ে চচ্চড়ি করেছি। তাহলে চলুন বন্ধুরা দেরি না করে দেখে আসা যাক। রেসিপিটা কিভাবে আমি তৈরি করেছি।
•••• ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় উপকরণগুল••••
ক্রমিক নম্বর | উপাদান | পরিমাণ |
১ | পটিমাছ | পরিমাণমতো |
২ | পেঁয়াজ কুচি | পরিমাণমতো |
৩ | লবণ | স্বাদমতো |
৪ | জিরা | পরিমাণমতো |
৫ | কাঁচা মরিচ | পরিমাণমতো |
৬ | হলুদের গুড়া | পরিমাণমতো |
৭ | রসুন কুচি | পরিমাণমতো |
৮ | আলু | পরিমাণমতো |
৯ | ঢেঁড়স | পরিমাণমতো |
১০ | সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
প্রথমে আমি দুইটা আলু ও ঢেঁড়স নিয়ে নিয়েছি। আপনারা যতটুকু পরিমাণ চচ্চড়ি করতে চান সেই পরিমাণ আলু নিতে পারেন।
এবার আমি ঢেঁড়স গুলো আগে থেকেই ধুয়ে নিব। ধুয়ে নেওয়া হয়ে গেলে অনেক সুন্দর ভাবে ছোট করে কেটে নিব ।কাটা হয়ে গেলে আলুগুলো খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ।ছোট করে কেটে নিয়ে পানির ভেতরে অনেক বার ধরে নিব ।
এবার আমি কাঁচা মরিচ ,পেঁয়াজকুচি ,রসুনকুচি নিয়ে নিব ।
এবার আমি হলুদের গুঁড়া ,শুকনা মরিচের গুড়া, পরিমাণমতো লবণ নিয়ে নিব। আপনারা শুকনা মরিচের গুড়া না দিতেও পারেন । কাঁচা মরিচ অল্প থাকার কারণে আমি একটু শুকনা মরিচের গুঁড়া এখানে ব্যবহার করেছি ।যাতে একটু ঝাল বেশি হয় ঝাল কম হলে চচ্চড়ি খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না ।
এবার আমি পুটি মাছ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিব ।
এবার আমি পুটি মাছ গুলোতে হলুদের গুঁড়া লবণ মাখিয়ে নিব।
এবার আমি চুলাইয়ে রাখা কড়াইয়ে পরিমাণমতো সয়াবিন তেল দিয়ে দিব। সয়াবিন তেল দেওয়া হয়ে গেলে কেটে রাখা প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো তেলের উপর দিয়ে দিব ।
এবার আমি প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো তেল দিয়ে একটু কষিয়ে নিব ।ছবিতে আপনারা যেরকম দেখতে পাচ্ছেন ।
এবার আমি প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সিদ্ধ করার জন্য অল্প পরিমাণ পানি দিব। পানি দেওয়া হয়ে গেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিব। যাতে খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয়ে যায় ।
এইতো অনেক সুন্দর ভাবে চচ্চড়ি রান্না করা হয়ে গিয়েছে ।আমি চচ্চড়িতে অল্প একটু গা মাখামাখা জল রেখেছি যাতে খেতে অনেক ভালো লাগে ।
রান্না করার পর একটা পাত্রে তুলে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি ।
🌹 ধন্যবাদ সবাইকে🌹
আশা করি আমার আলু ও ঢেঁড়স দিয়ে পুটি মাছ চচ্চড়ি রান্না আপনাদের ভালো লাগবে । আজকে এই পর্যন্ত শেষ করছি অন্য দিন নতুন কিছু নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব।
ব্লগার | @mdemaislam00 |
ব্লগিং ডিভাইস | infinix not 11 |
অনুবাদে | মোছাঃ ইমা খাতুন |
আমার নাম মোছাঃ ইমা খাতুন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বর্তমান ঠিকানা ষোলটাকা, গাংনী মেহেরপুর। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি করতে অনেক পছন্দ করি এছাড়াও আমি লেখালেখি এবং ডাই পোস্ট করতে ভালোবাসি। আমি এসএসসি পাশ করেছি আমাদের গ্রাম থেকে এবং পাশাপাশি ব্লগিং করি এবং নিজের যোগ্যতাকে যোগ্য অবস্থান দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি বিশ্বাস করি মানুষ একদিন হয়তো থাকবে না কিন্তু মানুষের কর্ম সারা জীবন থেকে যাবে এই জন্য আমি কাজের ভিতরে আসল শান্তি খুঁজে পাই।
আচ্ছা আপু আপনি যদি ভুল করে কাটার পরে দিতেন তখন আপনার কি হাল হতো একবার ভেবে দেখেছেন? হা হা হা
আমি একবার এরকম করেছিলাম। তখন অবশ্য ভালোভাবে রান্না করতে শিখিনি। এরকম রান্না নিয়ে অনেক মজার কথা মনে পড়ে যায় মাঝে মধ্যে হা হা হা।
আপনার এই রান্নাটা ভালোই লাগছে দেখতে এবং প্রসেসটাও বেশ সুন্দর চটজলদি রান্নার পক্ষে তো খুবই ভালো। তবে এর মধ্যে সামান্য একটু সর্ষে পোস্ত বাটা দিয়ে দেখবেন খেতে আরো ভালো লাগবে।
আলু ঢেরস দিয়ে চমৎকার সুন্দর করে পুঁটি মাছের রেসিপি করেছেন। অনেক লোভনীয় হয়েছে আপনার রেসিপিটি। আমার এই রেসিপিটি ভীষণ পছন্দের। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
এবার অনেক ছোট মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আসলে তাজা পুটি ভেজে কিংবা চচ্চড়ি করে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপি নিশ্চয় অনেক মজার ছিল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আলু এবং ঢেঁড়স দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে পুঁটি মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। পুঁটি মাছ ভাজি অনেক ভালো লাগে খেতে।সকাল বেলা মায়ের অন্য কিছু রান্না করতে দেরি হয়ে যেতো বলে পুঁটি মাছ ভাজি দিয়ে ভাত খেয়ে কতো স্কুলে গিয়েছি।আপনার তৈরি করা রেসিপিটি লোভনীয় লাগছে। লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে ঢেঁড়সের সাথে এই ছোট মাছ রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। আলু আর ঢেঁড়সের সমন্বয়ে পুটি মাছের চমৎকার রেসিপি তৈরি করতে দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো। রান্না কৌশলটা অসাধারণ ছিল। অনেক অনেক ভালো লাগলো দেখে, আশা করি খুব সুস্বাদু হয়েছে।
ছোট পুটি মাছের রেসিপি খেতে বেশ ভালোই লাগে আমার কাছে। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে আলু ও ঢেঁড়স দিয়ে পুটি মাছ চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল।আর আপনি রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো।
পুটি মাছের চচ্চড়ি আমার খুবই পছন্দের আপু। আপনি তো দেখে খুব ইচ্ছা মত তার ভাবে এটি উপস্থাপন করেছেন। ধাপে ধাপে খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন। আসলে এ ধরনের রেসিপিগুলো সবাই অনেক বেশি পছন্দ করে। বিশেষ করে দুপুরবেলায় ভাতের সাথে খেতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।
আমরা পুটি মাছ গুলো বেশিরভাগ সময় আলু দিয়ে চচ্চড়ি করি। আপনি আজকে আলু এবং ঢেঁড়স দিয়ে একসাথে চচ্চড়ি করেছেন। রেসিপি টা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপির কালার টা খুব লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পুঁটি মাছ ভাজা খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আর আলু এবং ঢেঁড়স দিয়ে রান্না করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে এভাবে রান্না করলেও খেতে ভালো লাগবে। একদিন বাসায় রান্না করে খেয়ে দেখব আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
পুঁটি মাছ দুই বাংলাতেই খুব জনপ্রিয় একটি মাছ। আমি বাজার থেকে প্রায়ই এই মাছ কিনে আনি। আপনি যেভাবে আলু ঢেঁড়স দিয়ে পুটি মাছ গুলিকে রান্না করেছেন তা সত্যিই বেশ সুস্বাদু হয়েছে বলেই মনে হল। সুন্দর করে ধাপে ধাপে রেসিপি বানিয়ে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ।