মশার উৎপাত।
আমি নতুন বাসায় উঠেছি এক মাস হল। এই বাসায় সব ঠিক আছে শুধু একটি ছাড়া আর সেটি হচ্ছে মশার উপদ্রব। আমার আগের বাসায় মশা ছিল না। আসলে জানালায় নেট থাকায় মশা ঢুকতে পারত না। এই বাসায় ও নেট আছে তবে কোন দিক দিয়ে মশা ঢুকে যায় সেটাই বের করতে পারছি না। প্রথম দিন মশার কামড়ে বাসার সবার হাতে পায়ে লাল লাল অনেক দাগ উঠেছিল।
পরদিন কোন উপায় না পেয়ে নিয়ে এসেছি মশা মারার স্প্রে। একদম প্রতি রুমে রুমে স্প্রে করে স্প্রে এর বোতল ১/৪ ভাগ শেষ করেছি এই ভেবে যে ঘরের ভেতরের মশা মরে গেলে নেটের ভিতর দিয়ে আর মশা আসতে পারবে না। রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম মাঝরাতে মশার কামড়ে তড়িঘড়ি করে উঠে লাইট জ্বালিয়ে দেখি আমার আশেপাশে অনেক মশা ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোন রকম রাত পার করলাম।
দিনের বেলায় মশার তেমন থাকে না। তারপরও বাসায় গুডনাইট এর মেশিন কিনে নিয়ে এসেছি। ভাবলাম আজ শান্তির ঘুম ঘুমাবো। সন্ধার পর থেকে মশার পরিমাণ বাড়তে শুরু করেছে। রাতে গুডনাইট জ্বালিয়ে শুয়ে পড়লাম। মাঝরাতে ঘুম ভেংগে গেল মানে আবার সেই মশা।
পরদিন অফিস থেকে আসার সময় কয়েল নিয়ে আসলাম। দোকানদারকে বললাম মশা মেরে ফেলবে এরকম কয়েল দেন। কয়েল নিয়ে বাসায় এসেছি। কয়েল জ্বালানোর কিছুক্ষণ পর আমার মেয়ে বলছে তার চোখ জ্বলছে এবং মাথা ব্যাথা করছে। তাড়াতাড়ি কয়েল বন্ধ করে দিলাম। সেই রাতটাও অনেক কষ্টে পার করেছি।
মেয়ের হাত পা মশার কামড়ে লাল হয়েছে এবং ফুলে গিয়েছিল। ফার্মেসি থেকে মশা কাছে না আসার জন্য রোল অন কিনে এনে মেয়ের গায়ে পায়ে হাতে মেখে দিয়েছি। কিছুক্ষণ পর খেয়াল করলাম যেখানে রোল অন লাগিয়েছি সেখানেই মশা বসে আছে। উপায় না পেয়ে সোজা মার্কেট এ চলে গেলাম এবং মশারি আর মশা মারার ব্যাট কিনে এনেছি। প্রায় ১৪-১৫ বছর পর আবার মশারি টানিয়ে ঘুমানোর ব্যবস্থা করেছি। মশারি টানানোর পর সেদিন রাতে শান্তির ঘুম ঘুমিয়েছি। পাশাপশি মশা মারার ব্যাট খুব ভালো কাজে দিয়েছে। তবে মশা কোন দিক দিয়ে ঢুকছে এখনও খুঁজে পাচ্ছি না।
এখানে শিক্ষণীয় একটি ব্যাপার হচ্ছে মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে মশারি।
আশা করি আমার পোস্ট আপনাদের ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ সবাইকে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যে হারে মশার উপদ্রব তাতে মশারি ছাড়া আর কোন কিছুই কাজে দেয় না,এখন যে কয়েল বের হয়েছে তাতে মানুষ টিকতে পারে না ঠিক কিন্তু মশা ঠিকই থাকতে পারে।তাতে বরং সম্যাসা সমাধানের চেয়ে সমস্যা বাড়ে।মশার কাছে কোন কিছুই কাজ করে না তবে বেশি মশা হলে মশারীর ভিতরেও কেমন করে জানি ভিতরে প্রবেশ করে।
ভাইয়া আপনার লেখা পড়ে যা বুঝতে পারলাম আপনারা এই কয়দিন যে পরিমাণ মশার কামড় খেয়েছেন তাতে তো আপনাদের ডেঙ্গু হবে মনে হচ্ছে । এত কিছু কিনেছেন তবুও মশার উপদ্রপ থেকে রক্ষা পাননি। অবশেষে মশারি কিনতে হল। এই কাজটা যদি আগে করতেন তাহলে এতগুলো মশার কামড় খেতে হতো না। আসলে মশারিই একমাত্র মাধ্যম মশার থেকে বাঁচার। যার মধ্যে শুতে ইচ্ছা না করলেও বাধ্য হয়ে এখন সবাই মশারি টানিয়ে শুচ্ছে। বাচ্চাদেরকে নিরাপদে রাখবেন এবং নিজেও নিরাপদে থাকবেন। অবশেষে আবার আমার বাংলা ব্লগে ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ।
নতুন বাসায় উঠে তো তাহলে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়ে আছেন ভাইয়া। একদিকে কয়েল জ্বালাতে পারছেন না অন্যদিকে ঘুমাতেও পারছেন না। সব মিলিয়ে বেশ সমস্যার মধ্যে আছেন। আর মেয়েটাকেও মশা কামড়াচ্ছে। অনেক বিপদের মধ্যে আছেন তাহলে। 😔
বর্তমানে মশা আমাদের জন্য খুব বিপদজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দেশে বর্তমানে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি। নতুন বাসায় নতুন নতুন মশার আমদানি ঘটছে। যাইহোক ভাই আপনি আবার কাজে ফিরেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি সত্যি বলেছেন ভাই মশা থেকে বাঁচতে একমাত্র মশারি উত্তম। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
এটা আপনি কেমন কথা বললেন ভাইয়া এই ডেঙ্গু ভয়াবহ সমস্যার ভিতরে আপনি এতগুলো মশার কামড় খেলেন তারপর আবার বাচ্চাসহ । এটা কিন্তু আমার কাছে ভালো লাগছে না । এখনকার দিনে মশা কামড়ানো মানে বিরাট ভয়ের ব্যাপার । আগে থেকে সাবধান হওয়ার দরকার ছিল । যাক তারপরও যে মশারি নিয়ে এসেছেন এটাই বড় কথা । সাবধানে থাকার চেষ্টা করবেন বিশেষ করে বাচ্চাদেরকে নিয়ে ।